3184

03/28/2024

ইসলামী বীমা উন্নয়নে ভাবনা ও প্রস্তাবনা

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ড. আ ই ম নেছার উদ্দিন: বাংলাদেশে বীমাখাতে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে ২০২০ সালের ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস উদযাপনের মাধ্যমে। এ বছরও দ্বিতীয় বারের মতো জাতীয় বীমা দিবস ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে পালিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস উদযাপনে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার পেছনে ঐতিহাসিক কারণ জড়িত রয়েছে।

বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ১৯৬০ সালে তৎকালীন আলফা ইস্যুরেন্সের পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য ১ মার্চ তারিখে যোগদান করেন। দিনটিকে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখার জন্য জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে এই তারিখ পালনের জন্য বর্তমান সরকার যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

বর্তমান সরকার ২০১০ সালে ১৯৩৮ সালের বীমা আইনকে বাতিল করে বীমা আইন ২০১০ পাশ করে এবং বীমা অধিদপ্তরকে আধুনিকায়ন ও শক্তিশালী করণের জন্য বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইন ২০১০ সালে পাশ করার মাধ্যমে ২০১১ সালে অধিদপ্তর বিলুপ্ত করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়। কর্তৃপক্ষ নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে বীমা সেক্টরের উন্নয়নে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বর্তমান সরকারের বীমা সেক্টরের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ নিঃসন্দেহে প্রশংসা পাওয়ার দাবী রাখে।

বীমা আইন ২০১০ এর সংজ্ঞা অংশের ৭ নং অনুচ্ছেদে ইসলামী বীমার সংজ্ঞা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ১৯৩৮ সালের বীমা আইনের অধীনে যারা বীমা ব্যবসায় ইসলামী নামকরণের মাধ্যমে ব্যবসা করে আসছিল, তারা এই আইনে ইসলামী বীমা কোম্পানী হিসেবে ব্যবসা করার সুযোগ লাভ করে।

আইনে ইসলামী করার জন্য আগ্রহী কোন কোম্পানী এই আইন পাশ করার ছয় মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করে অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে মর্মে বলা হয়। উক্ত আইনে ইসলামী বীমা ও প্রচলিত বীমা দুটি একসঙ্গে চালাতে পারবে না মর্মে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়। কিন্তু আইনটি বলবৎ হওয়ার প্রায় ১ যুগ হতে চললেও এখনও ইসলামী বীমার জন্য কোন সুনির্দিষ্ট প্রবিধান তৈরী হয়নি।

প্রচলিত বীমার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ অনেকগুলো প্রবিধান তৈরী করলেও ইসলামী বীমার জন্য কোন নীতিমালা বা বিধান / প্রবিধান জারী করা হয়নি। অথচ এই আইন পাশ করার পর চতুর্থ প্রজন্মের বেশ কয়েকটি কোম্পানী (সাধারণ ও জীবনবীমা) ইসলামী বীমা ব্যবসা করার অনুমোদন লাভ করে। ইতোমধ্যে প্রচলিত বীমার অনুমোদন প্রাপ্ত বেশ কয়েকটি কোম্পানীকে কর্তৃপক্ষ ইসলামী করার অনুমোদন দিয়েছে।

অপরদিকে পূর্ব থেকে ইসলামী উইং / উইন্ডো দ্বারা পরিচালিত কোম্পানীগুলো পূর্ববৎ অবস্থায় রয়ে গেছে। আবার দু একটি প্রচলিত বীমা কোম্পানী ইসলামী উইং বা উইন্ডো খুলে ইসলামী বীমা হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। সব মিলিয়ে সরকার বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদ্দেশ্য নিয়ে বীমা আইন পাশ করেছেনে ইসলামী বীমার ক্ষেত্রে তা প্রতিফলিত হয়নি। বীমা সেক্টরের উন্নয়নে তিনি খুবই আন্তরিক।

বর্তমানে ইসলামী জীবন বীমা মোট জীবন বীমার প্রিমিয়ামের প্রায় ৫০ % প্রিমিয়াম ইসলামী বীমার নামে প্রতি বছর অর্জিত হচ্ছে। সাধারণ বীমায় এর পরিমাণ কম হলেও তা উল্লেখযোগ্য। সেই ইসলামী বীমা খাত বাংলাদেশে একটি হ - য - ব - র - ল অবস্থায় চলছে। জাতীয় বীমা দিবসের প্রাককালে আমি বিবেকের তাড়নায় এ বিষয়ে কিছু লিখার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

প্রথমত: কর্তৃপক্ষ যেহেতু বীমা খাতের দেশী বিদেশীসহ ৭৯ টি কোম্পানী নিয়ন্ত্রণ করে সেহেতু আইনে ইসলামী বীমার স্বীকৃতি থাকার পরও এর জন্য কোন বিভাগ আইডিআরএ চালু করা হয়নি। ফলে ইসলামী বীমায় এত বৃহৎ প্রিমিয়াম অর্জনকারী খাতে বিশাল জনগণের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অথচ আইডিআরএ ইসলামী বীমা বিভাগ নামে পৃথক কর্মতৎপরতা না থাকায় একটি অপাংতেয় বিষয় হিসেবে ইসলামী বীমা পরিচালিত হচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনকই নয় বরং দেশের ইসলাম প্রিয় জনগণের সাথে এক ধরণের তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।

দ্বিতীয়ত: ইসলামী বীমা শুধু যে বাংলাদেশে চলছে তা নয় পৃথিবীর প্রায় সব মুসলিম দেশে ইসলামী বীমা খুব চমৎকার ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। ১৯৬০ এর দশকে বিভিন্ন দেশে ইসলামী বীমার উপর নিরন্তর গবেষণা করে একটি দিক নির্দেশনা ইসলামী স্কলারগণ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার আইন ও বিধি দ্বারা ইসলামী বীমাকে সহায়তা দেয়ার ফলে আজ ইসলামী বীমা বিশ্বব্যাপী বিশেষভাবে সমাদৃত।

এখানে আরও একটি বিষয় বলা দরকার ১৯৮০ সালের ওআইসির মক্কা ঘোষণায় বলা হয়েছিল মুসলিম দেশগুলোতে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং তার পাশাপাশি সকল দেশে ইসলামী বীমা প্রতিষ্ঠা করা হবে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল ইসলামী ব্যাংকের পাশাপাশি ইসলামী বীমা প্রতিষ্ঠা করা না হলে ইসলামী অর্থনীতির ক্ষেত্রে পরিপূরক ব্যবস্থা তৈরী হবে না, যা প্রচলিত ব্যাংক ও বীমার ক্ষেত্রে রয়েছে।

তৃতীয়ত: ইসলামী বীমা আইনের স্বীকৃতি থাকার ফলে বিধি বিধান না থাকার অভাবে আমরা নৈতিক জায়গায় ভীষণ অপরাধী হয়ে যাচ্ছি। কেননা ইসলামী বীমা নামে আছে, কার্যত বিশ্বব্যাপী সমাদৃত কোন কর্মপদ্ধতি এখানে নেই বললেই চলে। এতে ইসলামী মূল্যবোধকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে, যার জন্য আমরা যারা যার অবস্থান থেকে দায়ী থেকে যাচ্ছি। আর এই কাজটি জেনে শুনে চালাবার কারণে আমরা একদিকে জনগণের বিশাল দায়িত্ব কাধে নিচ্ছি, অন্যদিকে মহান রাব্বল আলামীনের নিকট আমরা জাতীয় ভাবে দায়ী হয়ে যাচ্ছি। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন।

চতুর্থত: ইসলামী স্কলারগণ ইসলামী বীমার জন্য প্রচলিত বীমাকে ইসলামী করণের জন্য তিনটি কৌশল প্রদান করেছেন। ১) যেসব ক্ষেত্রে প্রচলিত বীমার বিষয়াবলী শরীয়াহর সাথে সাংঘর্ষিক নয় সেগুলো গ্রহণ করা ২) যেসব ক্ষেত্রে প্রচলিত বীমার সাথে ইসলামী বীমার সাংঘার্ষিক অবস্থা তৈরী হয়। সেগুলো পরিমার্জন করে ইসলামী করণ করা ৩) যে সকল বিষয় ইসলামী করণের জন্য নতুন করে প্রতিস্থাপন করা প্রয়ােজন তা প্রতিস্থাপণ করে শরীয়াহর দাবী পুরণ করা। এত সুন্দর একটি ফর্মুলা থাকার পরও বাংলাদেশে আইনী কাঠামোর সাথে সংগতি রেখে কেননা ইসলামী বিধিমালা দ্বারা ইসলামী বীমা কোম্পানীগুলো ব্যবসা করতে পারছেনা, তা সত্যিই হতাশাজনক।

পঞ্চমত: বিশ্বব্যাপী ইসলামী বীমার জন্য কয়েকটি মডেল রয়েছে। এগুলোর যেকোন একটি পালন করে যদি বীমা ব্যবসা করা হয় তাহলে প্রবৃদ্ধি ও সুযোগ সুবিধা অনেক বেশী যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ (যেমনঃ গ্রাহক, মালিক ও কর্মচারী ও কর্মকর্তা) লাভ করতে সক্ষম হতো।

ষষ্টত: বীমা খাত পুরোটাই একটি কারিগরী (টেকনিক্যাল) বিষয়। একে ইসলামী করণের জন্য প্রাপ্ত ও দক্ষ জনশক্তির খুবই প্রয়োজন। যারা প্র্যাক্টিকেল কাজ করেন, তাদের প্রশিক্ষিত করার কোনো ব্যবস্থা নেই। যারা পরিচালনা করেন তাদের মধ্যে কমসংখ্যক ব্যক্তি ইসলামী বীমা সম্পর্কে ধারণা রাখেন। ফলে একটি শরীয়াহ কাউন্সিল থাকার রেওয়াজ থাকলেও এ দিয়ে মূলতঃ ইসলামীর বীমার কোন অগ্রগতিতে অবদান রাখতে পারছেনা। আর শরীয়াহ কাউন্সিলের সদস্যগণেরও অনেকেরই এ বিষয়ে ধারণা লাভ করা প্রয়োজন। কারণ না জেনে না বুঝে ইসলামী বীমা বলে আমার মনে হয় সংশ্লিষ্ট সকলেই একধরনের অপরাধে অপরাধী হয়ে আমরা দেশে ইসলামী বীমা পরিচালনা করছি। নৈতিক ও ঈমানের দিক থেকে এটি মোটেও সমীচিন নয়।

সপ্তমত: ইসলামী বীমার ক্ষেত্র মুসলমান ছাড়া অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্যও উন্মুক্ত। আমার জানা মতে এ ধরণের বীমা গ্রাহক অনেক যারা অন্য ধর্মাবলম্বী হওয়ার পরও ইসলামী বীমায় পলিসি নিয়েছেন। তাদের সাথে আমার আলাপ হয়েছে। আমি জানতে চেয়েছি, আপনারা কেন ইসলামী বীমাকে পছন্দ করলেন? তারা বলেছেন, ইসলামী বীমায় নিরাপত্তা ও লাভ বেশী পাওয়ার জন্য আমাদের পছন্দ। সত্যিকারার্থে যদি ইসলামী বীমাকে সঠিকভাবে কমিটমেন্ট ও আন্তরিকতার সাথে পরিচালনা করা যায়, তাহলে আজ দেশে বীমা দাবী (মেয়াদোত্তর, মৃত্যুদাবী ও অন্যান্য দাবী) পরিশোধের ক্ষেত্রে যে জটিলতা ও সংকট রয়েছে, ইসলামী বীমায় তা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আর একথা উল্লেখ করা প্রয়োজন, সারা পৃথিবীর বহু অমুসলিম দেশে ইসলামী বীমা সার্থক ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। অথচ বর্তমানে অর্থমন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক দুটোই বীমা খাতকে নিয়ন্ত্রণ করে। ইসলামী ব্যাংকিং ইতমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও মন্ত্রণালয়ে নির্দিষ্ট বিভাগ দ্বারা পরিচালিত হলেও বীমা খাত অর্থমন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকে ইসলামী বীমার জন্য কোন দাপ্তরিক কার্যক্রম নেই।

এবারে আমি সম্ভাবনাময় ইসলামী বীমা খাতের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য এবং বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে পরিচালনার নিমিত্তে কতিপয় প্রস্তাবনা পেশ করছি।

১। ২০১০ এর আইনের অধীনে ইসলামী বীমার জন্য শরীয়াহ ও আধুনিক বীমার সমন্বয়ে একটি প্রবিধান মালা দ্রুত সময়ের মধ্যে পাশ করার ব্যবস্থা করা।

২। ২০১০ এর আইনে বর্ণিত ইসলামী ও প্রচলিত বীমার ব্যবসা করতে আগ্রহীদের নির্দিষ্ট করার ব্যবস্থা করা।

৩। আইডিআরএ , অর্থমন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকে ইসলামী বীমার দাপ্তরিক কার্যক্রম চালুর ব্যবস্থা করা।

৪। ইসলামী বীমার জন্য আইডিআরএ - এর অধীনে ইসলামী শরীয়াহ বিশেষজ্ঞ, প্রচলিত আইনজ্ঞ এবং প্রচলিত ও ইসলামী বীমা বিশেষজ্ঞ গণের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী শরীয়াহ সুপার ভাইজারী বোর্ড গঠন করা। আইন ও বিধির অধীনে তারা সকল কোম্পানীর শরীয়াহ কাউন্সিলে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিবেন।

৫। ইসলামী বীমার জন্য সুস্পষ্ট বিনিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করা, যাতে শরীয়াহ সম্মত বিনিয়োগের মাধ্যমে অধিক মুনাফা অর্জন করা যায় এবং সংশ্লিষ্টদের আশা আক্ষাকার প্রতিফলন ঘটে।

৬। ইসলামী সাধারণ বীমার জন্য তাবাররু ও সাদাকাহ তহবিল গঠন বাধ্যতামূলক করা এবং জীবন বীমার জন্য মুদারাবা, তাবাররু ও সাদাকাহ তহবিল গঠন বাধ্যতামূলক করা। সাথে সাথে এগুলোর আইনী কাঠামোর মধ্যে কার্যত পরিচালনার ব্যবস্থা করা।

৭। ইসলামী বীমার জন্য পৃথক রেট - চার্ট তৈরী করার ব্যবস্থা করা। কেননা প্রচলিত রেট চার্ট সুদ ভিত্তিক বিধায় লভ্যাংশ ভিত্তিক না হলে শরীয়াহ তা অনুমোদন করে না।

৮। ইসলামী বীমা গুলোর মুখ্য নির্বাহী নিয়োগে ইসলামী বীমা সম্পর্কিত লেখাপড়া এবং কুরআন সুন্নাহ জ্ঞান সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি বিধি হিসেবে প্রণয়ন করা। কারণ মুখ্য নির্বাহী যদি ইসলামী বীমার কিছুই না জানেন তাহলে তিনি এর উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে অবদান রাখতে পারবেন না। প্রচলিত ও ইসলামী বীমায় পারদর্শী ব্যক্তিবর্গই ইসলামী বীমার জন্য বিবেচ্য হওয়া প্রয়োজন। একটি বীমা কোম্পানীর মুখ্য নির্বাহীর ভূমিকা প্রধান নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে।

৯। বাংলাদেশ ইনসিওরেন্স একাডেমী বীমার জন্য একমাত্র সরকারী প্রতিষ্ঠান। সেখানে ইসলামী বীমার দক্ষ জনশক্তি তৈরীতে কোন স্থায়ী ব্যবস্থা নেই। ইসলামী বীমা যেহেতু এখন একটি বাস্তব ও উল্লেখযোগ্য বিষয়, তাই ইসলামী বীমার জন্য পৃথক বিভাগ থাকা জরুরি। প্রয়োজনে ইসলামী বীমা ও প্রচলিত বীমার সমন্বয়ে একটি পৃথক ডিপ্লোমা কোর্স চালু করতে পারে। অন্যান্য বেসরকারী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান যারা বীমার উপর কাজ করেন, তাদের এবিষয়ে অবদান রাখা সময়ের দাবী।

পরিশেষে আলোচনা সংক্ষেপ করার জন্য এটুকু বলব, একটি নবতর ব্যবস্থা গড়ে উঠতে সময় প্রয়োজন। তবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা জরুরি। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু বীমা সংশ্লিষ্ট থাকার কারণে অনেক কাজ বীমার জন্য করে গেছেন। বর্তমান সরকার বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বীমা সেক্টরের উন্নয়নে অনেক আন্তরিক বিধায় ইসলামী বীমার বিষয়েও দৃষ্টি দেয়ার আহ্বান জানাই। এতে অন্যান্য বিষয়ের মতো ইসলামী বীমাও বিশ্বের কাছে মডেল হতে পারে। আর এ কাজের জন্য জাতি অবশ্যই সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে।

লেখক: ডিএমডি, ইসলামী বীমা তাকাফুল, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, খণ্ডকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, লেখক ও গবেষক ।