3185

03/19/2024

বীমার আওতায় না থাকায় নিরবে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ

প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমার আওতায় না থাকায় নিরবে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ। জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষ্যে গতকাল অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন, এফসিএ।

বীমা একটি দেশের অর্থনীতিতে কীভাবে ভূমিকা রাখে তা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, একটি পরিবারে একজন উপার্জনক্ষম মানুষ যখন অসুস্থ হয়ে পরে তখন একদিকে পরিবারের উপার্জন কমে যায়। অন্যদিকে চিকিৎসা খরচ মেটাতে সেই পরিবারের ব্যয় বেড়ে যায়। এই খরচ মেটাতে পরিবারটি ঋণ বা সহায় সম্পদ জমিজামা বিক্রি করে দেয়।

ফলে দেখা যায় পরিবারটি ধীরে ধীরে স্বচ্ছলতা থেকে গরীব, গরীব থেকে আরো গরীব হয়ে পড়ে। এটি অহরহই আমাদের সামনে ঘটছে। কিন্তু আমরা হয়ত বুঝতে পারছি না। আমাদের চারপাশে একটু খেয়াল করলেই আমরা এমন চিত্র দেখতে পারব। আমি এ অবস্থাটিকে নিরবে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া বলছি। আমি মনে করি আর এ থেকে উত্তোরণের একটি পথ জীবন বীমা। জীবন বীমার একটি পলিসি একটি পরিবারকে নিঃস্ব হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারে।

ড. এম মোশাররফ বলেন, নানাবিধ কারণে আমাদের দেশে জীবন বীমার উপকারিতা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা নেই। দেশে জীবন বীমা কোনো একটি পরিকল্প বাধ্যতামূলক করা হলে বীমা বিষয়ে সাধারণ মানুষের ইতিবাচক ধারণা তৈরি হতো।

তিনি আরো বলেন, একটি পরিবারে একজন সদস্যের একটি জীবন বীমা পলিসি থাকলে কোন কারণে  পরিবারের সেই ব্যক্তি অসুস্থ হলে বা মারা গেলে বীমা থেকে যে টাকা সে পাবে তাকে অনেক খানি আর্থিক নিরাপত্তা দেবে। আর এ কারণেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জীবন বীমার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।

ড. এম মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীমাখাতের অবদান রয়েছে। তাই আমাদের দায়িত্ব অনেক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীমা পেশার আড়ালে স্বাধীনতা সংগ্রামের কাজ করে গেছেন। দেশে স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুই প্রথম বীমাখাতের সংস্কারে হাত দেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার বীমাখাতের উন্নয়নে যুগান্তকারি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

সরকার নিজস্ব অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা চালু করতে যাচ্ছে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিতে ১৬ লাখের বেশি প্রতিবন্ধী শিশুকে বীমার আওতায় আনার উদ্যোগ হিসেবে সরকার চালু করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্যবীমা। বঙ্গবন্ধু ক্রিড়া প্রেমী ছিলেন, তাই তার প্রতি সম্মান জানাতে বঙ্গবন্ধু স্পোর্টসম্যান ইন্স্যুরেন্স চালু করা হয়েছে। এ ছাড়াও চালু করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা, যুক্ত করেন ড. এম মোশাররফ হোসেন।