3210

04/16/2024

হত্যার পর দুর্ঘটনা বলে বীমার টাকা দাবি, চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২১

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: হত্যার পর সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে প্রচার করে বীমা সুবিধা আদায়ের অভিযোগে জালিয়াত চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতের দক্ষিণাঞ্জলীয় রাজ্য তেলেঙ্গানার নলগোন্ডা জেলার পুলিশ মঙ্গলবার তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি জানিয়েছে।

পুলিশ বলছে, চক্রটি অসুস্থ ও মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের নামে প্রথমে লাইফ বীমা পলিসি করাতো। এরপর তাদের হত্যা করে সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে প্রচার করে বীমা দাবির টাকা আদায় করতো। হত্যার শিকার ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় তারা এই কাজ করতো বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।

নালাগোন্ডার জেলা পুলিশ সুপার এ ভি রাঙ্গনাথ বলেছেন, প্রতারকরা নিহতের পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় এই বীমা দাবি উত্থাপন করে। অন্যান্য বিভিন্ন বেসরকারি বীমা কোম্পানির কাছ থেকে ১.৫৯ কোটি রুপির বেশিসহ সড়ক দুর্ঘটনার বীমা দাবি উত্থাপন করে ৩.৯৯ কোটি রুপি।

পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার আগে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছে প্রধান আসামি। পরে অন্যান্য আসামির সাথে মিলে এই ষড়যন্ত্র করে এবং ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তারা কমপক্ষে পাঁচটি অপরাধ করেছে। এর মধ্যে চারটি খুন এবং একটি সাধারণ মৃত্যুকে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হিসেবে চিত্রায়িত করা হয়েছে।

জালিয়াত চক্রটি সাধারণত অসুস্থ এবং মদ্যপানে আসক্ত ব্যক্তিদের নির্বাচন করত। এরপর তাদের পরিবারের সদস্যদের বোঝাত এবং তাদের পক্ষে প্রিমিয়াম প্রদান করে মেয়াদী বীমা পলিসি গ্রহণ করে।

পুলিশ জানিয়েছে, মেয়াদী পলিসি গ্রহণের পর এসব বীমা গ্রাহকদের হত্যা করতো এবং বীমা কোম্পানিগুলোর কাছে দ্বিগুণ পরিমাণ বীমা দাবি উত্থাপনের জন্য এটাকে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হিসেবে চিত্রিত করতো। আর বীমা দাবি পাওয়ার পরে পরিবারের সদস্য ও অন্যদের সাথে তা ভাগ করে নিতো।

তবে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি তাদের এই কার্যপ্রণালী প্রকাশ পেয়ে যায়; যখন পুলিশ জানতে পেরে যে, একজন ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু তার মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে এবং মেডিকেল ও ময়না তদন্তের রিপোর্টে জানা যায় যে, অন্যের আঘাতের কারণে লোকটির মৃত্যু হয়েছে।

ঘটনার তদন্ত এবং নিহত লোকটির পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে যে, তারা এই বীমা জালিয়াতির বিষয়ে বীমা কোম্পানির তদন্ত কর্মকর্তা, এজেন্ট, একজন ব্যাংক কর্মকর্তা এবং কিছু বয়স্ক ব্যক্তিসহ অন্যদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে। (সূত্র: মিন্ট)