3270

03/29/2024

বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের নামে প্রতারণা, চক্রের ২২ সদস্য কারাগারে

প্রকাশ: ৯ এপ্রিল ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের নামে প্রতারণার অভিযোগে দায়েরকৃত একটি মামলায় গ্রেফতারকৃত ২২ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গত ২৫ মার্চ সাভারের হেমায়েতপুরের একটি অফিস থেকে তাদেরকে আটক করে র‌্যাব-৪ (মিরপুর-১) ।

প্রতারক চক্রটির বিরুদ্ধে সাভারের হেমায়েতপুর নতুনপাড়া পূর্বহাটিরোডে চৌধুরী কমপ্লেক্সের ৫ম তলায় বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের নামে অফিস খুলে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা এবং বীমা পলিসি করানোর নামে টাকা আত্মসাৎসহ মারপিটের অভিযোগ রয়েছে।

সাভার মডেল থানায় ৪০৬, ৪২০, ৩৪২, ৩২৩ এবং ৫০৬ ধারায় গত ২৬ মার্চ মামলাটি (নং ৪৮) দায়ের করেন মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার নহাটা গ্রামের বাসিন্দা সোহানুর রহমান সোহান। এ ছাড়াও প্রতারক চক্রের হাতে ভুক্তভোগী আরো ৮৬ জনকে ওই মামলার সাক্ষী করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন- মো. আলামিন মিয়াজী (৩৮), মো. নাঈম শেখ (২৪), মো. ইসমাইল হোসেন (২১), মো. সজীব শেখ (২০), মো. রাশেদ (২৩), মো. ইমরান বাবু (২৩), মোরশেদ মণ্ডল (২০), মো.এরশাদ শেখ (৩০), হরিচাঁদ বিশ্বাস (২২), মো. খাইরুল ইসলাম (২৭), মো. শহিদুল্লাহ সরদার (২২) মো. আরিফুল ইসলাম (২৮), মো. শিপন হাওলাদার (৩৫);

মো. মুশফিকুর রহিম (২৫), শফিকুল ইসলাম (২৩), অনিমেষ কুমার (৩৪), মো. মেহেদী হাসান (১৮), মো. বিল্লাল হোসেন (২০), কবিরুল ইসলাম (২০), মো. সাজু হোসেন (২০), মো. রিপন হোসেন (১৮) এবং মো. শহিদুল ইসলাম (২০) । গ্রেফতারকৃত এসব আসামির বাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায় হলেও বর্তমানে তারা সাভার এলাকায় বসবাস করছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদী সোহানুর রহমান গত ১৩ মার্চ চাকরির জন্য বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড নামের অফিসটিতে যান। সেখানে তার ফরম, সিভি এবং ইন্টারভিউ বাবদ পনের হাজার টাকা দাবি করেন। সে মোতাবেক টাকা পরিশোধের পর পরবর্তী ১ এপ্রিল তাকে অফিসে যোগান করতে বলে। কিন্তু যোগদানপত্র চাওয়া তাকে আটকে রেখে মারপিট ও বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেন আসামিরা।

বাদী পরবর্তীতে জানতে পারেন বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স নামের অফিসটি ভূয়া এবং চক্রটি ঢাকা বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে অফিস খুলে চাকরি দেয়ার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণা করে আসছে। এ ছাড়াও বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সে জীবন বীমা পলিসি খোলার নামে টাকা আদায় করে তাদেরকে আটকে রেখে আরো নতুন লোক আনার জন্য চাপ দেয় ওই প্রতারক চক্র।  

মামলার বাদী সোহানুর রহমান সোহান ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’কে বলেন, আমাকে তারা অফিসে থাকা-খাওয়াসহ চাকরির প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু তাদের প্রতারণার ঘটনা বুঝতে পেরে আমি সেখান থেকে পালিয়ে এসে র‌্যাবের কাছে খবর দেই। সে মোতাবেক গত ২৫ মার্চ ওই অফিসে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরদিন সাভার মডেল থানায় মামলা দায়েরসহ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মো. জুলফিকার আলী সরদার বলেন, ভুক্তভোগী একজনের অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ (মিরপুর-১) হেমায়েতপুর থেকে ওই ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে। পরে সাভার থানায় মামলা করে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। লকডাউনের কারণে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।

বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, কোম্পানিটিতে আমি নতুন যোগদান করেছি। তবে যতদূর জানি সাভারের হেমায়েতপুরে বেস্ট লাইফের কোন অফিস নেই এবং সেখানে আমাদের কোন কর্মী বা কর্মকর্তা গ্রেফতারের খবরও আমারে কাছে আসেনি। রোববার অফিসে গেলে এ বিষয়ে আরো নিশ্চিত হতে পারবো।