3297

03/29/2024

প্রতিষ্ঠার ৩ যুগে ন্যাশনাল লাইফের যত অর্জন

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: সফলতার ৩ যুগ পেরিয়ে ৪ যুগে পদার্পন করল ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ১৯৮৫ সালের আজকের এই দিনে অর্থাৎ ২৩ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে বেসরকারি এ লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ এই ৩৬ বছরে মানসম্মত সেবায় আস্থা অর্জন করেছে গ্রাহকের। এ জন্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারও জুটেছে কোম্পানিটির।

গ্রাহকদের আস্থা ধরে রাখতে বদ্ধ পরিকর ন্যাশনাল লাইফ কর্তৃপক্ষ বলছে, অতীতে তারা গ্রাহকদের যেভাবে সেবা দিয়েছে, ভবিষ্যতে তার চেয়ে আরো ভালো সেবা দেয়ার চেষ্টা করবে। বীমার মাধ্যমে অধিক ঝুঁকি নির্বাহের জন্য প্রয়োজনে আরো নতুন প্রোডাক্ট চালু করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে ৪ যুগে পদার্পনকারী এ বীমা প্রতিষ্ঠান।

ন্যাশনাল লাইফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দীর্ঘ এই ৩৬ বছরে তারা প্রায় ৫৬ লাখ বীমা পলিসি বিক্রি করেছে এবং গ্রাহকদের কাছ থেকে ১২ হাজার ১১২ কোটি টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে। অন্যদিকে সারভাইভাল বেনিফিট, মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মৃত্যুদাবিসহ সর্বমোট ৬ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা বীমা দাবি পরিশোধ করেছে। 

প্রদত্ত তথ্য মতে, ন্যাশাল লাইফের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৫ হাজার ৯০ কোটি টাকা। সরকার নির্ধারিত বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছে ৪ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ৪ হাজার ৪ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ১০৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ন্যাশনাল লাইফ কাওরানবাজারস্থ ১২ তলা নিজস্ব ভবন এনএলআই টাওয়ারে প্রধান কার্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। একই সাথে ১০ তলা বিশিষ্ট নিজস্ব বাণিজ্যিক ভবন ফেনীতে এনএলআই টাওয়ার-২, খুলনায় এনএলআই টাওয়ার-৩, ও যশোরে এনএলআই টাওয়ার-৪ এবং দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলায় নিজস্ব ফ্লোর স্পেসে অফিস কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
 
কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাজিম উদ্দিন বলেন, আজ ন্যাশনাল লাইফের অগ্রগতি ও সাফল্যের ৩৬ বছর পূর্ণ হলো। আল্লাহর অশেষ রহমতে বেসরকারি খাতের জীবন বীমা শিল্পে একমাত্র ন্যাশনাল লাইফ এই গৌরবময় সাফল্যের অধিকারী হলো। ৩ যুগ পূর্তির এই আনন্দঘন মুহূর্তে আমি আইডিআরএ, বিআইএ, কোম্পানির পরিচালক ও উদ্যোক্তাবৃন্দ, শেয়ারহোল্ডার, শুভানুধ্যায়ীসহ কোম্পানির সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
 
তিনি বলেন, সঞ্চয় বিনিয়োগ কর্মসংস্থানে তিনটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিয়ে ১৯৮৫ সালের ২৩ এপ্রিল কোম্পানির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। সুদীর্ঘ তিন যুগে ন্যাশনাল লাইফ ‘ঘরে ঘরে এনএলআই, জনে জনে এনএলআই’ এই শ্লোগান নিয়ে বিপুল জনগোষ্ঠীর সঞ্চয় করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সর্বোচ্চ প্রিমিয়াম আয়, দ্রুত বীমা দাবি পরিশোধ ও সঠিক কর্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে ন্যাশনাল লাইফ ব্যবসায়ীক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে।
 
কাজিম উদ্দিন বলেন, জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বীমার গুরুত্ব অপরিসীম। অর্থনীতিতে বীমার অবদান যত বেশি হবে অর্থনীতির ভিত্তি তত সুদৃঢ় হবে। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বীমা খাতের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার বীমা আইন, বীমা নীতি প্রণয়নসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করেছে। যার ফলে বীমার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি এর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
 
কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কাজিম উদ্দিন বলেন, বীমা খাতে সরকারের কর্মপরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের উপযোগী নতুন বীমা পরিকল্পনা প্রণয়ন, স্বাস্থ্য বীমার প্রসার, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা, প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ বীমা, প্রবাসী কর্মীদের জন্য প্রবাসী বীমা, ব্যাংকাস্যুরেন্স ও বিনিয়োগ বহুমুখীকরণের মাধ্যমে সরকারের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ, নিজস্ব প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রতিষ্ঠা এবং দক্ষ বীমাকর্মী গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশব্যাপী জীবন বীমার সুবিধা প্রসারের ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা রয়েছে।