3486

04/20/2024

অগ্নি বীমায় রেটিং পদ্ধতি তথা সেন্ট্রাল রেটিং কমিটির ভূমিকা

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২১

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: বাংলাদেশ বীমা খাত ট্যারিফ মার্কেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

নন-ট্যারিফ মার্কেটে ঝুঁকির গুণগত বা মানগত পরীক্ষার ভিত্তিতে রেট, শর্তাবলী বা বিশেষ শর্তাবলী নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।

গুণগত মানের দিক থেকে একই ধরণের ঝুঁকি যেমন- গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, জুটমিল, খাদ্য প্রক্রিয়াজাত কারখানা, ওষুধ উৎপাদনকারী কারখানা ইত্যাদির ঝুঁকি ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।

গুণগত মান বলতে এখানে সাধারণত সার্বিক ব্যবস্থাপনা, অগ্নি নিরাপদ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইত্যাদিকে বুঝানো হয়েছে।

নন-ট্যারিফ মার্কেটে রেটিংয়ের ক্ষেত্রে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

’প্রি-ইন্সপেকশন’ একটি প্রয়োজনীয় পদ্ধতি, যা ঝুঁকির গুণগত মান নির্ণয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।

দৃষ্টান্তস্বরূপ:

ফ্যাক্টরি নাম্বার- ১ এর বেলায় কর্তৃপক্ষ যেমন- ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক অনুমোদিত অগ্নি নিরাপদ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার সন্তোষজনক এবং অন্য একটি ফ্যাক্টরিতে- ফ্যাক্টরি নং- ২ এর ক্ষেত্রে স্বল্পতা থাকতে পারে।

গুণগত দিক থেকে যদি ফ্যাক্টরি নং -১ কে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ধরা হয় তাহলে রেটিংয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই ফ্যাক্টরি নং ২ এর বেলায় ফ্যাক্টরি নং ১ এর জন্য অনুমোদিত রেটের উপরে ’লোডিং’ রাখার ব্যবস্থা এবং সেই সাথে বিশেষ শর্তাবলী আরোপ করতে হবে। 

উপরে উল্লেখিত দু’টি ফ্যাক্টরিকে একই মানদণ্ডে পরিমাপ বা বিচার করা সঠিক হবে না। তা না হলে এই দু’টি ঝুঁকিকে একই ব্রাশ বা তুলি দিয়ে একই রঙে রাঙানোর মতো ব্যাপার হবে!

এখন অন্য একটি ফ্যাক্টরির উদাহরণ দেয়া যাক (ফ্যাক্টরি নং ৩)।

ধরা যাক এই ফ্যাক্টরিতে প্রয়োজনের তুলনায় অগ্নি নিরাপদ ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল বা অপ্রতুল।

এই ফ্যাাক্টরির বেলায় অগ্নি নিরাপদ ব্যবস্থা যথেষ্ট শক্তিশালী এবং সেটা সুনিশ্চিত না করা পর্যন্ত এই ঝুঁকি বীমার অযোগ্য হিসেবে গণ্য বা বিবেচনা করতে হবে।

আশাকরি সেন্ট্রাল রেটিং কমিটি সমগ্র বিষয়টি আমলে নিয়ে বর্তমান রেটিং পদ্ধতিতে কোন ধরনের দুর্বলতা বা ঘাটতি থাকলে তা পর্যালোচনা করে দেখবে এবং এর সংশোধনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।