3713

03/28/2024

সিইও-সচিব ছাড়া হতে পারবে না বীমা কোম্পানির উপদেষ্টা

প্রকাশ: ৮ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: একই শ্রেণীর বীমা কোম্পানিতে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে ১০ বছর সফলভাবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা অথবা বীমা বিষয়ক কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সরকারের অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিব বা তদুর্ধ্ব কর্মকর্তাদের বীমাকারীর উপদেষ্টা নিয়োগের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হচ্ছে।

এরইমধ্যে ‘বীমাকারীর উপদেষ্টা নিয়োগ প্রবিধানমালা, ২০২১’ নামে এ সংক্রান্ত একটি প্রবিধানমালার খসড়া প্রকাশ করেছে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। আজ সোমবার (৮ নভেম্বর, ২০২১) প্রবিধানমালাটির খসড়া বীমা কোম্পানিগুলোকে পাঠিয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে মতামত আহবান করা হয়েছে।

খসড়া প্রবিধানমালা অনুসারে, উপদেষ্টা নিয়োগের মেয়াদ হবে ৩ বছর এবং কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের ভিত্তিতে উক্ত মেয়াদ নবায়ন করা যাবে। তবে কোন ব্যক্তি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগলাভের জন্য যোগ্য হবেন না, যদি তিনি বা তার পরিবারের কোন সদস্য সংশ্লিষ্ট বীমাকারীর শেয়ারহোল্ডার কিংবা পরিচালক কিংবা মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হন;

অথবা তিনি অন্য কোন বীমা কোম্পানি বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোন পদে থাকাকালীন তাহার পদের ক্ষমতার অপব্যবহার বা দুর্নীতির কারণে অপসারিত হয়ে থাকেন; অথবা তিনি কোন ব্যাংক, বীমা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হন; অথবা তিনি কোন কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগের অযোগ্য বলে বিবেচিত হন।

প্রবিধি ৪(১) এ বলা হয়েছে, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ প্রবিধানমালা, ২০১২ এর প্রবিধি-৩ এ বর্ণিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি যিনি একই শ্রেণীর বীমা ব্যবসায়ের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ চুক্তির শর্ত মোতাবেক ১০ বৎসর সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ আবেদনের যোগ্য বলে গণ্য হবেন।

প্রবিধি ৪(২) এ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের জন্য নির্ধারিত ১১টি পেশাগত ডিগ্রির ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত অভিজ্ঞতার মেয়াদ শিথিলের পাশাপাশি বিদেশে বীমা (লাইফ বা নন-লাইফ) বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রিসহ বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি; বা আইনজ্ঞ, জরিপকারী, মূল্যায়নকারী এবং ইসলামী শরীয়াহ বিশেষজ্ঞদের অগ্রাধিকার প্রদানের সুযোগ রাখা হয়েছে।

এ ছাড়াও প্রবিধি ৪(৩) এ বলা হয়েছে, সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কোন যুগ্মসচিব বা তদুর্ধ্ব কর্মকর্তা যার কাজ করার সক্ষমতা রয়েছে এবং মন্ত্রণালয় বা মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত প্রতিষ্ঠানে বীমা বিষয়ক কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তিনি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের জন্য যোগ্য বলে গণ্য হবেন।

খসড়া প্রবিধানমালা অনুসারে, বীমাকারীর পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক উপদেষ্টার দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়োগ চুক্তিপত্রে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। উপদেষ্টা বীমাকারীর বিনিয়োগ ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা , প্রশাসনিক কার্যক্রম, ব্যবসায় উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা ব্যয় নিয়ন্ত্রণসহ বীমা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক বিষয়ে পরিচালনা পর্যদ এবং মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাকে উপদেশ ও পরামর্শ প্রদান করবেন।

তবে, বীমা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় বীমা গ্রাহকের স্বার্থের পরিপন্থি কোন বিষয় পরিলক্ষিত হলে তা পরিচালনা পর্ষদ এবং কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। প্রবিধানমালা অনুসারে, নির্ধারিত কারণে কোন বীমা কোম্পানি কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে উপদেষ্টাকে অপসারণও করতে পারবে।