3800

04/20/2024

দক্ষ জনবল তৈরি করতে না পারলে বীমা খাত ধরে রাখা সম্ভব না: সোহরাব উদ্দিন একচ্যুয়ারি

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমা খাতে দক্ষ জনবল তৈরি করতে না পারলে এ খাত হয়তো ধরে রাখা সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন একচ্যুয়ারি। তিনি বলেন, একচ্যুয়ারি হচ্ছে বীমা খাতের প্রাণ। অথচ বাংলাদেশের বীমা খাতে একচ্যুয়ারি সংকট প্রকট। একচ্যুয়ারি ছাড়া দেশের বীমা খাত কিভাবে চলছে সে বিষয়ে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন।

আজ সোমবার (২০ ডিসেম্বর) ‘বীমা শিল্পে স্বচ্ছতা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট ফর প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট (বিআইপিডি) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি অনলাইন মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক কাজী মো. মোরতুজা আলী।

বীমা খাতে একচ্যুয়ারির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, বিদেশি প্রতিষ্ঠান মেটলাইফের বিশ্বজুড়ে বারো হাজারের মতো একচ্যুয়ারি রয়েছে। আর বাংলাদেশে তাদের অর্থায়ন ও প্রচেষ্টায় ডজন খানেকের বেশি একচ্যুয়ারি তৈরি হচ্ছে।  দেশের অন্যান্য বীমা কোম্পানিগুলো এ বিষয়ে কি উদ্যোগ নিয়েছে, তিনি জানতে চান।

পঞ্চাশ বছর আগের তৈরি মরটালিটি টেবিল আজো ব্যবহার হচ্ছে উল্লেখ করে ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, প্রতি পাঁচ বছরে এই মরটালিটি টেবিলের রিভিউ করার নিয়ম।  অথচ ৫০ বছরেও তা রিভিউ হচ্ছে না।  তিনি বলেন, মরটিালিটি টেবিল ছাড়াই চলছে বাংলাদেশের বীমা খাত।  তাহলে কিভাবে এ খাতের উন্নতি আশা করা যায়।

ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সার্কুলার জারি করে প্রতিটি বীমা কোম্পানিতে একচ্যুয়ারিয়াল ডিপার্টমেন্ট চালু করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সে নির্দেশ কতটা বাস্তবায়ন করা হয়েছে তা নিয়ে সংশয়ের অবকাশ রয়েছে।

তিনি বলেন, বীমা খাতের একটি প্রধান সমস্যা হচ্ছে প্রশিক্ষণের অভাব। এ খাতের সাথে যারা সংশ্লিষ্ট আছে তারা এ বিষয়ে কোন গুরুত্ব আরোপ করেন না।  অবস্থা দেখে মনে, বীমা খাতে প্রশিক্ষণের কোন প্রয়োজন নেই। তারা সব জানে। একচ্যুয়ারি ছাড়া বীমা খাত চলতে পারে, এটা আমার কল্পনার বাইরে।