3851

03/28/2024

টাকা ‍তুলে নিল জনতা ইন্স্যুরেন্স, উল্টো গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারী ২০২২

তাফহিমুল ইসলাম (সুজন) : ফরিদপুরের সাতৈর বাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭টি পাটের গুদাম পুড়ে যায়। গুদামগুলোর মালিক মেসার্স বেস্ট অব দ্যা বেস্ট গোল্ডেন ফাইবার্স। অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনা ঘটে ২০১৪ সালের ২৭ জানুয়ারি। বেস্ট অব দ্যা বেস্ট গোল্ডেন ফাইবার্স আগুন লাগার ৪দিন আগে গুদামগুলোর বীমা করেছিল জনতা ইন্স্যুরেন্সে।

আগুনে পাট গুদামগুলোর ক্ষতি হয় ৪ কোটি ৯৮ লাখ ৫১ হাজার ৪৮৯ টাকা। এর মধ্যে পুনর্বীমার অংশ ৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা পরিশোধ করে সাধারণ বীমা করপোরেশন। করপোরেশন ওই বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টারের (রি-ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম বাবদ জনতা ইন্স্যুরেন্সের কাছে পাওনা) হিসাবের সাথে সমন্বয় করার অনুমোদন দেয়। এই অনুমোদন দেয়া হয় ২০১৮ সালে ১৬ আগস্ট।

কিন্তু সেই টাকা আজও গ্রাহককে দেয়নি বীমা কোম্পানিটি। শুধু তাই নয়, এসবিসির কাছ থেকে বীমা দাবির টাকা তুলে নেয়ার পর সেই গ্রাহকের নামেই ভুয়া বীমা দাবি করার অভিযোগ এনে উল্টো মামলা করেছে জনতা ইন্স্যুরেন্স। তবে ৮ বছর পর ভুয়া বীমা দাবি করার অভিযোগ এনে মামলা করা টাকা আত্মসাতের কূটকৌশল বলে মনে করছে ভুক্তভোগী বীমা গ্রাহক। ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি'র অনুসন্ধানে গ্রাহক হয়রানির এমন চিত্র উঠে এসেছে।

পুনর্বীমাকারীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা গ্রাহককে না দেয়াকে প্রতারণা মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে চূড়ান্তভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের ৪ বছর পর দাবি পরিশোধকে বীমা আইনের লঙ্ঘন ও গ্রাহক হয়রানি বলছেন। আবার হঠাৎ করেই গ্রাহকের নামে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ এনে মামলা করা উদ্দেশ্যমূলক হতে পারে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

বীমা দাবির টাকা আদায়ে বেস্ট অফ দ্যা বেস্ট গোল্ডেন ফাইবার্স বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র কাছে প্রথম অভিযোগ করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে। এর প্রেক্ষিতে ৯ নভেম্বর জনতা ইন্স্যুরেন্সকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয় নিয়ন্ত্রক এ সংস্থা।

নোটিশের জবাবে জনতা ইন্স্যুরেন্স জানায়, তারা কয়েকদিনের মধ্যে বীমা দাবিটি আংশিক পরিশোধ করতে পারবে এবং পর্যায়ক্রমে তারা সম্পূর্ণ বীমা দাবির টাকা পরিশোধ করবে। ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর আইডিআরএ'কে লিখিতভাবে এ জবাব দেয় কোম্পানিটি।

এতে কোম্পানিটি আরো জানায়, তারা আর্থিক ও ব্যবসায়ীকভাবে খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে আছে। কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতাও দিতে পারছে না। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সাধারণ বীমা করপোরেশন থেকে ক্যাশ লস (বীমা দাবি বাবদ নগদ টাকা) নিয়ে তারা দাবি পরিশোধ করবে। কিন্তু সাধারণ বীমা করপোরেশন তা না দেয়ায় বীমা দাবির টাকা দিতে পারছে না।

তবে জনতা ইন্স্যুরেন্সের এসব কথা আমলে না নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে বীমা দাবিটি পরিশোধের নির্দেশ দেয় আইডিআরএ। এ নির্দেশ দেয়া হয় গত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে। এ সময়ের মধ্যে দাবি পরিশোধ করা না হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানায় আইডিআরএ। কিন্তু এরপরও দাবি পরিশোধ করেনি জনতা ইন্স্যুরেন্স। অপর দিকে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়নি আইডিআরএ।

বীমা দাবির টাকা না পেয়ে ৩ নভেম্বর ২০২১ সালে বীমা দাবির টাকা পায়নি বলে  আবারো অভিযোগ করে গোল্ডেন ফাইবার্স। এই অভিযোগের ১৮ দিন পর জনতা ইন্স্যুরেন্স গত ২১ নভেম্বর আইডিআরএকে লেখা এক চিঠিতে গ্রাহকের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বীমা দাবি উত্থাপনের অভিযোগ করে। জনতা ইন্স্যুরেন্সের অভিযোগ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় দায়ের করা জিডিতে ১১টি দোকান পুড়ে যাওয়ার তথ্য থাকলেও ৭টি গুদাম পুড়ে যাওয়ার কোনো তথ্য নেই বলে অভিযোগ করে কোম্পানিটি।

অপরদিকে যেদিন (২১ নভেম্বর,২০২১) জনতা ইন্স্যুরেন্স গ্রাহকের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বীমা দাবি করার অভিযোগ করা হয়। সেদিনই বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষের (বীমা গ্রাহক ও বীমা কোম্পানি) একটি শুনানী করেন। শুনানীতে গ্রাহকের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় জনতা ইন্স্যুরেন্সকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাবি পরিশোধের নির্দেশ দেয় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইডিআরএ। কিন্তু তা আমলে না নিয়ে দাবি পরিশোধের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার একদিন আগে জনতা ইন্স্যুরেন্স গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

গ্রাহকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ জনতা ইন্স্যুরেন্সের

জনতা ইন্স্যুরেন্সের অভিযোগ, কোম্পানির একজন শেয়ারহোল্ডার জানিয়েছেন- বীমা গ্রহীতা তার ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে বীমা দাবি পেশ করেছেন। বস্তুত সেখানে তার কোন ক্ষতি হয়নি। বীমা দাবিটি পরিশোধ করলে তিনি জনতা ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হবেন।

এই প্রেক্ষিতে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের মাধ্যমে বীমা দাবির বিপরীত কাগজপত্রের সঠিকতা যাচাই করা হয়। তবে সাতৈর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১১টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সেখানে বেস্ট অব দ্যা বেস্ট গোল্ডেন ফাইবার্সের মালিক লায়লা আরজুমানের নামে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা গুদামঘর ছিল না।

বীমা দাবি পরিশোধে যা বলা হয়েছে বীমা আইনে

কর্তৃপক্ষের নির্দেশ দেয়ার ৩ মাসের মধ্যে বীমা দাবি পরিশোধ করা না হলে সংশ্লিষ্ট বীমা কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করার এখতিয়ার দেয়া হয়েছে বীমা আইন ২০১০।  

লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিলকরণ সংক্রান্ত বীমা আইন ২০১০ এর ১০ ধারা (ঞ) তাহার উপর কোন বীমা পলিসির, বাংলাদেশে উদ্ভূত, কোন দাবি কোন আদালতের চূড়ান্ত রায়ের বা এই আইনের অধীন কর্তৃপক্ষের আদেশের পর ৩ (তিন) মাস পর্যন্ত অপরিশোধিত থাকে৷

অপর দিকে আইনের ৭২ ধারায় বলা হয়েছে, (১) বীমাকারী কর্তৃক ইস্যুকৃত পলিসির অধীন অর্থ প্রদেয় হয় এবং দাবি প্রদানের জন্য সমস্ত কাগজপত্র দাবিদার কর্তৃক দাখিল করা হইয়াছে এইরূপ ক্ষেত্রে বীমাকারী যদি দাবি পরিশোধের প্রাপ্য হওয়া বা দাবিদার কর্তৃক সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা পূরণের, যাহা পরে সংঘটিত হয়, ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে দাবি পরিশোধে ব্যর্থ হয় তাহা হইলে উপ-ধারা (২) এ নির্ধারিত সুদ পরিশোধ করিবে, যদি না বীমাকারী এইরূপ ব্যর্থতা তাহার নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত ছিল বলিয়া প্রমাণ করিতে পারে৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সুদ ব্যর্থতাজনিত চলমান সময়ের জন্য পরিশোধযোগ্য হইবে এবং প্রচলিত ব্যাংক রেটের অতিরিক্ত শতকরা ৫ (পাঁচ) ভাগ হারে মাসিক ভিত্তিতে হিসাব করিতে হইবে৷

আইনে সুদসহ দাবি পরিশোধ ও লাইসেন্স বাতিলে নির্দশ থাকলেও এর কোনোটিই করেনি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

বেস্ট অফ বেস্ট গোল্ডেন ফাইবার্স দাবি পরিশোধের প্রথম নির্দেশ দেয়া হয় ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে। ওই চিঠিতে সুদসহ দাবি পরিশোধের কোনো নির্দেশনা নেই। চিঠিতে ১৫ দিনের মধ্যে দাবি পরিশোধ করা না হলে বীমা আইন ২০১০ অনুসারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হলেও ২ বছরেও দাবি পরিশোধ না করা কোম্পানিটির বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

অপর দিকে এর ২ বছর যখন গ্রাহকের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ করা হয় তখন গ্রাহকের বিরুদ্ধে করা মিথ্য অভিযোগ গ্রহণযোগ্য না হওয়ার মতামত দিলেও সুদসহ দাবি পরিশোধের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে জনতা ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল রশিদীর সাথে আলাপকালে ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি'কে তিনি বলেন, ‘আমাদের কোম্পানি এটির বিষয়ে অলরেডি মামলা করেছে। কোম্পানি ধারণা করছে এটা ফলস ক্লেইম। তাদের যে জিডি’র কপি সেটা ফলস। ওই বাজারে তাদের কোন দোকান ছিল না, সেটি পুলিশের রিপোর্টে এসেছে। এ ধরণের তথ্যের ভিত্তিতে কোম্পানি মনে করছে- এটি একটি ফলস পার্টি, ফলস ক্লেইম নেয়ার চেষ্টা করছে। এ জন্য মামলা করেছে’। বিস্তারিত জানাতে তিনি অফিসে যেতে বলেন। কিন্তু তার অফিসে গেলে তিনি আর কথা বলেননি।

কোম্পানিটির এসিসট্যান্ট ম্যানেজার (ক্লেইমস এন্ড রি-ইন্স্যুরেন্স ডিপার্টমেন্ট) মোহাব্বত আলীর ইন্স্যুরেন্স নিউজবিডিকে বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। তাই খুব বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে আগের কেউ না থাকায় এর চেয়ে বেশি জানানোর সুযোগ নেই। গত ৩০ ডিসেম্বর সিএমএম আদালতে এই মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি ।

বেস্ট অব দ্যা বেস্ট গোল্ডেন ফাইবার্স যা বলছে

বেস্ট অব দ্যা বেস্ট গোল্ডেন ফাইবার্সে যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির প্রোপাইটর লায়লা আরজুমান বানু’র স্বামী সাবেক এমপি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম জানান, নিয়ন্ত্রক সংস্থার সর্বশেষ নির্দেশ পরিপালনের সময়ও অতিবাহিত হয়েছে গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে। কিন্তু এখনো বীমা দাবি পরিশোধ করেনি জনতা ইন্স্যুরেন্স।

তিনি বলেন, ৮ বছর ধরে বীমা কোম্পানির কাছে ধর্ণা দিয়েছি। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছেও আবেদন জানিয়েছি কয়েক দফা। এমনকি পুনর্বীমা কোম্পানির কাছেও গেছি। কিন্তু কোন কিছুইতে কাজ হচ্ছে না। বীমা কোম্পানিটি আইডিআরএ’র নির্দেশ মানছে না।

খন্দকার নাসিরুল ইসলাম আরো বলেন, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুঁজি হারিয়ে ব্যাংকের দেনায় জর্জরিত। ব্যবসা-বাণিজ্য দীর্ঘদিন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ। ব্যাংক আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম মামলা-মোকদ্দমার মাধ্যমে চরম হয়রানিতে ফেলে দিয়েছে। বীমার টাকা না দেয়ায় এখন- না পারছি ব্যাংকের টাকা সমন্বয় করতে, আর না পারছি পুনরায় ব্যবসা চালু করতে।

জনতা ইন্স্যুরেন্সের মামলার বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, এতো দিন পরে এসে এখন তারা নথি জালিয়াতির অভিযোগ তুলে মামলা করেছে। বিষয়টি হাস্যকর। তবে মামলার কোন কাগজপত্র এখনো আমার কাছে আসেনি। বীমা দাবি না দেয়ার জন্যই কোম্পানিটি এ ধরণের কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সাধারণ বীমা করপোরেশনের পুনর্বীমা বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার ওয়াসিফুল হক বলেন, বীমা কোম্পানির পক্ষ থেকে সব ধরণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করার পরই কেবল পুনর্বীমার টাকা পরিশোধ করা হয়। তাই পুনর্বীমার টাকা আদায়ের পর সেই বীমা দাবি নাকোচ করার কোন কারণ থাকার কথা নয়। তবে বীমা দাবিটির বিষয়ে জনতা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এখন পর্যন্ত আমাদের কিছু জানায়নি।

এসবিসি থেকে পুনর্বীমার টাকা নেয়ার পর তা গ্রাহককে না দেয়া এবং এর ৮ বছর পর গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা করা প্রতারণা কিনা এমন প্রশ্নে ওয়াসিফুল হক বলেন, এখানে প্রতারণার বিষয়টি আসতে পারে। তবে কিসের ভিত্তিতে তারা মামলা করেছে সেটা আগে আমাদের দেখতে হবে। যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে আমরা বীমা কোম্পানিটির বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে আইডিআরএ’র নির্বাহী পরিচালক (যুগ্মসচিব) ও মূখপাত্র এস এম শাকিল আখতার বলেন, দীর্ঘ দিন আগের এই বীমা দাবি পরিশোধের বিষয়ে আমরা জনতা ইন্স্যুরেন্সকে নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু কোম্পানিটি এই বীমা দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং দাবি পরিশোধ করেনি।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে আমরা শুনানি শেষে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছি। কিন্তু বীমা কোম্পানিটি তা মানছে না। এর আগে বিদেশি একটি কোম্পানির বীমা দাবি পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিল আইডিআরএ। কিন্তু সাধারণ বীমা করপোরেশন তা মানেনি।  

এক্ষেত্রে আমরা কি করতে পারি! পুরো সেক্টরে যখন শৃঙ্খলা নেই, সেক্ষেত্রে আমরা কতটা কঠোর হতে পারি! আমরা তো পুলিশের ভূমিকা পালন করতে পারি না। 

তাছাড়া সাধারণ বীমা করপোরেশন পুনর্বীমা দাবির টাকা যেভাবে সমন্বয় করে সেটা একটা অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া। অবিলম্বে এটার অটোমেশন দরকার।