3863

03/29/2024

ফারইস্ট লাইফের মুখ্য নির্বাহী পদে নিয়োগ, ওয়াসিউদ্দিনের যোগ্যতা নিয়ে যেসব প্রশ্ন

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারী ২০২২

আবদুর রহমান আবির: ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে চৌধুরী মোহাম্মদ ওয়াসিউদ্দিনকে নিয়োগ দিয়েছে কোম্পানিটির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ। এ নিয়োগ অনুমোদন দিতে গত ৬ জানুয়ারি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন গঠিত কোম্পানিটির বোর্ড চেয়ারম্যান ড. মো. রহমত উল্লাহ।  

তবে প্রশ্ন উঠেছে, বীমা কোম্পানিটির শীর্ষ এ পদে নিয়োগলাভের জন্য মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ প্রবিধানমালা ২০১২ তে যেসব শর্ত দেয়া হয়েছে সে অনুযায়ী চৌধুরী মোহাম্মদ ওয়াসিউদ্দিন যোগ্য কিনা।

প্রবিধানমালা অনুসারে মুখ্য নির্বাহী পদে নিয়োগ পেতে বীমা খাতে ১৫ বছর কর্ম অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে পেশাগত কিছু ডিগ্রির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার এ শর্ত ৩ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে।

চৌধুরী মোহাম্মদ ওয়াসিউদ্দিনের বীমা খাতে কর্ম অভিজ্ঞতা ৮ বছর। তবে ওয়াসিউদ্দিনের এফসিএ ডিগ্রি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার অব একচ্যুয়ারিয়াল সায়েন্স ডিগ্রি রয়েছে।

এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে ওয়াসিউদ্দিন দাবি করেন, এফসিএ ডিগ্রি ও মাস্টার অব একচ্যুয়ারিয়াল সায়েন্স ডিগ্রি থাকায় তার কর্ম অভিজ্ঞতা ৮ বছর শিথিলযোগ্য। তবে তার এ দাবির সাথে একমত নন আইনজীবী ও খাত সংশ্লিষ্টরা।

বিষয়টি নিয়ে বীমা আইন ও প্রচলিত আইন বিশেষজ্ঞদের সাথে আলাপ করে ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি। আলাপকালে তারা বলেন, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ প্রবিধানমালা ২০১২ এর ৩ এর (গ) তে ১১টি পেশাগত ডিগ্রির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের কথা বলা হয়েছে।

অপর দিকে কি ধরণের অগ্রাধিকার দেয়া হবে তার ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে (ঘ) ও (ঙ) অনুচ্ছেদে। মূলত এ ২টি অনুচ্ছেদে কর্ম অভিজ্ঞতা শিথিলের যে সুযোগ দেয়া হয়েছে তা পেশাগত ডিগ্রির ক্ষেত্রে।

৫ বছরের কর্ম অভিজ্ঞতা শিথিল করার সুযোগ দেয়া হয়েছে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ প্রবিধানমালা ২০১২ এর বিধি ৩ এর (ঘ) অনুচ্ছেদে। আর ৩ বছরের কর্ম অভিজ্ঞতা শিথিলের সুযোগ রাখা হয়েছে (ঙ) অনুচ্ছেদে।

প্রবিধানমালার ৩ এর (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে- (১) একচ্যুয়ারিয়াল বিজ্ঞানে ডিগ্রিধারী, (২) ইনস্টিটিউট এন্ড ফ্যাকাল্টি অব একচ্যুয়ারিস, ইউকে বা সোসাইটি অব একচ্যুয়ারিস, ইউএসএ এর ফেলো বা এসোসিয়েট ও (৩) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তালিকাভুক্ত কোন একচ্যুয়ারিয়াল বডি এর ফেলো বা এসোসিয়েট ডিগ্রিধারীদের কর্ম অভিজ্ঞতা ৫ বছর শিথিল করা যাবে।

অপর দিকে চৌধুরী মোহাম্মদ ওয়াসিউদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স ডিপার্টমেন্টের অধীনে মাস্টার অব একচ্যুয়ারিয়াল সায়েন্সে যে ডিগ্রি নিয়েছেন তা পেশাগত নয়, তা একাডেমিক।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স ডিপার্টমেন্টের মাস্টার অব একচ্যুয়ারিয়াল সায়েন্সের খণ্ডকালীন শিক্ষক এ কে এম এহসানুল হক এফসিআইআই বলেন, মাস্টার অব একচ্যুয়ারিয়াল সায়েন্স ডিগ্রিটি মূলত একাডেমিক ডিগ্রি। এটা পেশাগত ডিগ্রি নয়।

তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স ডিপার্টমেন্টের অধীন মাস্টার অব একচ্যুয়ারিয়াল সায়েন্স ডিগ্রিধারীরা প্রবিধানমালার কর্ম অভিজ্ঞতা শিথিল করার সুবিধা পাবেন কিনা তা প্রশ্নবিদ্ধ।

তবে প্রবিধানমালার অনুচ্ছেদ ৩ এর ঙ(৪) অনুসারে চৌধুরী মোহাম্মদ ওয়াসিউদিনের এফসিএ ডিগ্রি থাকায় কর্ম অভিজ্ঞতা ৩ বছর শিথিলের সুবিধা পাবেন।

ওয়াসিউদ্দিনের দাবি এফসিএ এবং মাস্টার অব একচ্যুয়ারিয়াল সায়েন্স ডিগ্রিধারীরা প্রবিধানমালা অনুসারে কর্ম অভিজ্ঞতা ৮ বছর শিথিলের সুযোগ পাবেন।

কিন্তু জীবন বৃত্তান্তে দেয়া তথ্য অনুসারে, ওয়াসিউদ্দিন এফসিএমএ ডিগ্রিধারীও। প্রতিটি পেশাদারি ডিগ্রিতে কর্ম অভিজ্ঞতা শিথিলের যে সুযোগ দেয়া হয়েছে তাতে এফসিএমএ ডিগ্রির জন্য আরো ৩ বছরের অভিজ্ঞতা শিথিলের সুযোগ পান তিনি।

তবে একাধিক পেশাদারি ডিগ্রিধারীরা কর্ম অভিজ্ঞতা শিথিলের সর্বোচ্চ সুবিধাটি-ই পাবেন বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, আইনে স্পষ্ট করে যদি উল্লেখ করা না থাকে প্রতিটি ডিগ্রির জন্য পৃথক সুবিধা পাবেন, তাহলে যে ডিগ্রির জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়া হয়েছে তার একটি সুবিধাই পাবেন। তিনি প্রতিটির জন্য পৃথক সুবিধা পাবেন না। একাধিক সুবিধার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চটিকেই অগ্রাধিকার দেয়া হয়। এটাই প্র্যাকটিস।

এ বিষয়ে মতামত দিতে গিয়ে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী তনয় কুমার সাহা বলেন, একই ব্যক্তির একাধিক ডিগ্রি থাকলে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চটির সুবিধাই পাবেন। এটা জেনারেল প্র্যাকটিস, সব বিষয়ে আইন দেখানোর সুযোগ নেই।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, সর্বোচ্চ নম্বর তথা পাঁচের মধ্যে তিন ঢুকবে। একসাথে হবে না দুটো। যেকোন একটা বিকল্প গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, যেখানে সর্বোচ্চ নম্বর ৫ বছর। সেখানে তাকে যদি ৫ বছর দেয়া হয় তাহলে তো আর শিথিল করার কিছু নেই। এক্ষেত্রে ৩ বছরটাকে ওর মধ্যে দিয়েই গণনা করা হচ্ছে বলে ধরে নিচ্ছি।

তিনি বলেন, যদি এটার জন্য ৩ বছর, ওটার জন্য ৫ বছর- এটা যদি নির্দিষ্ট করে আইনে না বলা থাকে এবং যদি দুটোই থাকে তাহলে দুটোই কনসিডার করা হবে। সেই রকম যদি আইনে বলা না থাকে তাহলে আসলে ৫ বছরটাই। ৫ বছরের বেশি আসলে হবে না। সর্বোচ্চ ৫ বছরই হওয়া উচিত।

ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আরো বলেন, আইন যদি নির্দিষ্ট করে বলে দেয় যে, যদি কারো দুটো ডিগ্রিই থাকে সে ক্ষেত্রে ৮ বছর বাদ দেয়া হবে। তাহলে সেখানে প্রশ্ন করার কিছু নাই। তবে আইনে না থাকলে ৫ বছরটাই ধরে নেয়া হবে।

যেভাবে পদ্মা লাইফের মুখ্য নির্বাহী পদে নিয়োগ অনুমোদন পেয়েছিলেন ওয়াসিউদ্দিন

চৌধুরী মোহাম্মদ ওয়াসিউদ্দিন এর আগে পদ্মা ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী ছিলেন। ওই সময় আইন লংঙ্ঘন করেই ওয়াসিউদ্দিনকে নিয়োগ দেয় আইডিআরএ।

আইনে বলা হয়েছে, প্রবিধানমালার শর্ত পূরণ না করলে কোনো কোম্পানিতে মুখ্য নির্বাহী পদে কোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ দেবে না আইডিআরএ। কিন্তু আইন রক্ষাকারী বীমা খাতের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিজেই আইন লঙ্ঘন করে ওয়াসিউদ্দিনের নিয়োগ অনুমোদন করে।

পদ্মা ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী পদে ওয়াসিউদ্দিনের নিয়োগ অনুমোদন করা হয় ২০১৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। পরে পদ্মা ইসলামী লাইফ থেকে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পদত্যাগ করেন চৌধুরী মোহাম্মদ ওয়াসিউদ্দিন। যদিও আইডিআরএ তাকে ৩ বছরের জন্য নিয়োগ অনুমোদন করেছিল।

ওয়াসিউদ্দিন ২০১০ সালে ১ জুন পদ্মা ইসলামী লাইফে নিয়োগ নিয়ে ৬ মাস চীফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার হিসেবে চাকরি করেন। এরপর তিনি চলে যান ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে। সেখানে ৮ মাস চাকরি করে আবারো তিনি পদ্মা ইসলামী লাইফের ডিএমডি পদে নিয়োগ নেন। পরে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি পান ২০১৩ সালের ৩ মার্চ। এরপর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ থেকে কোম্পানিতে মুখ্য নির্বাহী পদে চলতি দায়িত্ব পালন করে।

ওয়াসিউদ্দিনকে পদ্মা ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী পদে নিয়োগ দিতে আবেদন করা হয় ২০১৬ সালের ১৬ জুন। এ সময় কর্ম অভিজ্ঞতা না থাকায় ওয়াসিউদ্দিনকে মুখ্য নির্বাহী পদে নিয়োগ অনুমোদন না করার সিদ্ধান্ত নেয় আইডিআরএ। তবে অদৃশ্য কারণে পরবর্তীতে ওয়াসিউদ্দিনের নিয়োগ অনুমোদন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

আইডিআরএ ওয়াসিউদ্দিনকে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত কর্তৃপক্ষের ৯৩তম সভায়। সভার কার্যবিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ওয়াসিউদ্দিনের নিয়োগ অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে কোম্পানিটির তৎকালিন চেয়ারম্যান ড. এ বি এম জাফর উল্লাহর আবেদনকেই বিবেচনায় নিয়ে নিয়োগ অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আইডিআরএ।

অথচ ওয়াসিউদ্দিনের নিয়োগ অুনমোদন সংক্রান্ত আইডিআরএ’র নথিতে উল্লেখ করা হয়, ওয়াসিউদ্দিনের এফসিএ ডিগ্রি থাকায় ১৫ বছরের কর্ম অভিজ্ঞতা থেকে ৩ বছরের ছাড় পাবেন। কিন্তু ওয়াসিউদ্দিনের বীমা খাতে ১২ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা নেই।

নিয়োগ নথিতে আইডিআরএ’র তৎকালীন সদস্য (আইন) মো. মুরশিদ আলম তার মতামতে উল্লেখ করেন, ‘অনুচ্ছেদ ২০ এর বর্ণনা অনুযায়ী ১২ বছরের কর্ম অভিজ্ঞতা অর্জন না হওয়ায় জনাব চৌধুরী মো. ওয়াসিউদ্দিনকে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ অনুমোদন করা যাইতে পারে না’।

ওয়াসিউদ্দিন পদ্মা ইসলামী লাইফ থেকে পদত্যাগ করেন ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ। এই হিসেবে বর্তমানে ওয়াসিউদ্দিনের কর্ম অভিজ্ঞতা ৮ বছর। অর্থাৎ এফসিএ ডিগ্রিধারীদের ১২ বছর বীমা খাতে কর্ম অভিজ্ঞতার যে ছাড় দেয়া হয়েছে সেটি এখনো অর্জন হয়নি ওয়াসিউদ্দিনের।

ওয়াসিউদ্দিনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ

পদ্মা ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী পদে থাকাকালীন দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে ওয়াসিউদ্দিনের বিরুদ্ধে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তে আইডিআরএ’র কাছে তথ্য চেয়ে ২০২০ সালের ১৬ জুলাই চিঠি পাঠায় দুদক। যার স্মারক নং ০০.০১.০০০০.৫০১.০১.০০২.১৯.১৪০৬২।

অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণে বলা হয়, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবেক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ড. চৌধুরী মোহাম্মদ ওয়াসিউদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের ওই চিঠিতে পদ্মা ইসলামী লাইফের মালিকানাধীন পদ্মা লাইফ টাওয়ার ক্রয় সংক্রান্ত বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিচালিত সর্বশেষ বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদনসহ ফাইন্ডিংস এর সত্যায়িত কপি চাওয়া হয় আইডিআরএ’র কাছে। সে সময় দুদকের একজন কর্মকর্তা বিষয়টির তদন্ত চলছে বলে জানান।

এসব বিষয় নিয়ে চৌধুরী মোহাম্মদ ওয়াসিউদ্দিন ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’কে বলেন, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রবিধানমালায় ১৫ বছরের কর্ম অভিজ্ঞতার শর্ত দেয়া হয়েছে। তবে একচুয়ারিয়াল ডিগ্রির ক্ষেত্রে ৫ বছর এবং এফসিএ ডিগ্রির ক্ষেত্রে ৩ বছর শিথিল করার কথাও বলা হয়েছে।

ওয়াসিউদ্দিন বলেন, আমার এফসিএ ডিগ্রি আছে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একচুয়ারিয়াল বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রিও অর্জন করেছি। তাই উভয় ডিগ্রির ক্ষেত্রে আমি মোট ৮ বছর কর্ম অভিজ্ঞতা শিথিলের সুবিধা পাবো।

পদ্মা ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী পদে থাকাকালীন দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ও দুদক’র তদন্তের বিষয়ে ওয়াসিউদ্দিন বলেন, সেটি ছিল অফিসিয়াল কারণে তদন্ত। তবে দুদকের সেই তদন্তে আমার কোন দোষ খুঁজে পায়নি।