3884

04/19/2024

এস আলমের সাড়ে ৫ কোটি টাকার বীমা দাবি পরিশোধ করেছে জেবিসি

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের মেয়াদোত্তর বীমা দাবি পরিশোধ করেছে জীবন বীমা করপোরেশন (জেবিসি)। তার মেয়াদোত্তর বীমার ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬শ' টাকা পরিশোধ করে করপোরেশনটির চট্রগ্রাম রিজিওনাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার কাজী নাজিমুল ইসলাম।

জীবন বীমা করপোরেশনের তথ্য মতে, ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির চট্রগ্রাম রিজিওনাল অফিসে ৩ কিস্তি মেয়াদোত্তর বীমা করেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম। যেখানে বীমা অংকের পরিমাণ ছিল ৪ কোটি টাকা। বীমার মেয়াদ শেষ হয় ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর।

বীমার ছয় বছর পরে বীমা পলিসির ২৫ শতাংশ ১ কোটি টাকা এবং আরো ছয় বছর পরে ১ কোটি টাকা পেয়েছেন। শেষে বীমা পলিসির ২ কোটি টাকা সহ ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬শ' টাকা ভ্যাট বাদ দিয়ে বোনাস পেয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুল আলম।

মেয়াদ শেষে বীমা দাবির কাগজপত্র জমা দিলে জীবন বীমা করপোরেশন (জেবিসি) এক মাসের কম সময়ের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তি করে।

চট্রগ্রাম রিজিওনাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার ও উপসচিব কাজী নাজিমুল ইসলাম ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’কে বলেন, আইডিআরএ’র নির্দেশনায় আমরা গ্রাহকের বীমা দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিশোধ করার চেষ্টা করতেছি। বড় দাবিগুলোর কিছুটা সময় লাগলেও তাও এক সপ্তাহের মধ্যে চেষ্টা করি। কিন্তু ছোট দাবি যেমন ১ কিংবা ৫ লাখ টাকা হয় তাহলে এক থেকে দুই দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়।

তিনি আরো জানান, আমরা গ্রাহক হয়রারি বন্ধ করার জন্য গ্রাহকের কাছে গিয়ে বীমা দাবি চেক প্রদান কারার চেষ্টা করছি। সবার  একটা ধারণা যে, সরকারি অফিসে এসে সেবা পাওয়া যায় না, আমরা সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করতে চাচ্ছি।

বড় শিল্পপতি হওয়াতে কি দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি? জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা নয়, আমার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনা বাস্তবায়ন করছি। এখানে কে বড় শিল্পপতি আর কে ছোট এটা দেখি না। সকল বীমা গ্রাহকই আমাদের কাছে সমান। আমরা চেষ্টা করতেছি আমাদের সেবা গ্রাহকের দোরগোরায় পৌয়ছে দেয়ার।

উল্লেখ্য, মোহাম্মদ সাইফুল আলমের জন্ম ১৯৬০ সালে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। তার পিতা মরহুম মোজাহের আনোয়ার এবং মাতা চেমন আরা বেগম।

সাইফুল আলম মাসুদ ১৯৮৫ সালে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এর পর থেকে ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। সততাকে পুঁজি করে চট্রগ্রামের খুতুনগঞ্জে ট্রেডিং বিজনেস দিয়ে ব্যবসায় যাত্রা শুরু করেন। গড়ে তুলেন আজকের শিল্পগ্রুপ এস আলস গ্রুপ।

এই গ্রুপের অধীনে শিল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের একাধিক ব্যাংক, খাদ্য ও সম্পর্কিত পণ্য, ইস্পাত, ব্যাংক, বীমা, ভোক্তা পণ্য, চিনি, সিমেন্ট, শক্তি, পরিবহন, শিপিং, উৎপাদন, আতিথেয়তা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, কৃষি, বাণিজ্য, তেল এবং গ্যাস। সেখানে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।