3902

03/28/2024

জাতীয় বীমা দিবস উদযাপনে স্থানীয় প্রশাসনকে সরকারের নির্দেশনা

প্রকাশ: ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমা খাতের উন্নয়ন ও বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৩য় বারের মত ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস উদযাপিত হতে যাচ্ছে। জাতীয় বীমা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য বিভাগ,জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার।

এসব কর্মসূচী সফল ভাবে আয়োজনের জন্য বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (বীমা শাখা)। সাম্প্রতি উপসচিব মো. জাহিদ হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি স্থানীয় প্রশাসনকে পাঠিয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ তৎকালীন আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেছিলেন। তার এ যোগদানের দিনটিকে জাতীয় পর্যায়ে স্মরণীয় করে রাখতে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে প্রতিবছর ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার।

বীমা উন্নয়ন ও বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২০ সালের বছরের ১ মার্চ এটি প্রথম দিবস হিসেবে পালিত হয়। জাতীয় বীমা দিবস প্রতি বছর 'খ' ক্যাটাগরিতে পালনের জন্য সরকার অনুমোদন প্রদান করে। তবে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান বীমা দিবসকে খ শ্রেণি থেকে ক শ্রেণীতে উন্নীতকরণের আবেদন জানিয়েছে।

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে সারাদেশে গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং বীমা প্রতিষ্ঠানসমূহ পোস্টার, ব্যানার দিয়ে সজ্জিতকরণ, গ্রাহকদের জন্য বিশেষ সেবা প্রদান, ট্রাকে সীমিত সংখ্যক লোক নিয়ে বীমা বিষয়ে গান প্রচার, আলোচনা সভার আয়োজন ইত্যাদির মাধ্যমে বীমার প্রতি জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণসহ নানান কর্মসূচি গ্রহণ করে স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।

উল্লেখ্য, ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবসের ঢাকায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এই বছরের জাতীয় বীমা দিবসের প্রতিপাদ্য “ বীমায় সুরক্ষিত থাকলে, এগিয়ে যাবো সবাই মিলে।