4024

04/19/2024

বীমা সেক্টরকে প্রাতিষ্ঠানিক মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা সময়ের দাবি: আইডিআরএ চেয়ারম্যান

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমা সেক্টরকে প্রাতিষ্ঠানিক মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তপক্ষ (আইডিআরএ)'র চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এই সেক্টরে কাজ করেছেন। এ সেক্টরের অনেক অবদান রয়েছে আমাদের স্বাধীনতার পিছনে। সত্তরের নির্বাচন জয়ের পিছনেও বীমা সেক্টরের অবদান রয়েছে।

বীমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ) আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্ত্যবে এসব কথা বলেন আইডিআরএ চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, পুলিশ, আর্মি কাজ করেছে তাদের দ্বায়িত্ব ছিল। এ সেক্টরকে অবশ্যই প্রাতিষ্ঠানিক মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণার বিষয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। জাতির পিতার পদচারণা এই সেক্টরে পড়েছে। 

বীমার উন্নয়নে তিনি বলেন, আজকে এখানে বীমা নিয়ে যারা কাজ করি আমরা সবাই আছি।আমরা যদি ভালোভাবে বীমা পরিচালনার টার্গেট ঠিক করি এবং সে অনুযায়ী কাজ করা হয় তাহলে আমরা আমাদের কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছাতে পারবো। জাতির পিতা সোনার বাংলা বিনির্মাণে যে স্বপ্ন দেখেছেন তা বাস্তবায়ন করতে পারবো।

বীমা সেক্টরে অর্থনীতিতে অবদান ০.৪ শতাংশ। এটা কেন ০.৪% থাকবে। এটা হওয়া উচিত উন্নত দেশের মতো ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। অন্যদেশে জিডিপির ২০% আসে বীমা থেকে। সেখানে আমাদের অবদান ০.৪ শতাংশ।

তিনি আরো বলেন, দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা যদি সেভাবে এগিয়ে যেতে না পারি তাহলে আমরা সবদিক থেকেই লজ্জিত হব। বলা যায় যে, আমাদের ঋণ অপরিশোধিত থাকবে। একদিক হচ্ছে জাতির পিতা আমাদের সেক্টরে ছিলেন। আরেক দিক হচ্ছে সব সেক্টর যেভাবে এগোচ্ছে, সেভাবে যদি আমরা না এগোতে পারি আসলে সেটা আমাদের সাথে যায় না।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের যেভাবে টার্গেট ঠিক করেছেন।আমরা যদি বীমা সেক্টরে আমাদের টার্গেট ঠিক করতে পারি এবং আমরা যদি আমার টার্গেট নিয়ে কাজ করতে পারি তাহলে আমরা আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবো। যদিও আমাদের টার্গেট ছিল ২০২১ সালে জিডিপির ৪% অবদান রাখবে বীমা কিন্তু আমরা সেই টার্গেট বাস্তবায়ন করতে পারিনি।

দেশে অনেকগুলো টার্গেট মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাস্তবায়ন হয়েছে। ২০৩০ আমাদের দেশ মধ্যম আয়ের দেশ টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে আমরা যদি ৩০ কোটি পলিসি টার্গেট নির্ধারণ করি। ২০৪১ সালে মধ্যে ৪১ কোটি পলিসি টার্গেট নির্ধারণ করা হয়। তাহলে জিডিপিতে আমাদের অবদান ২০৩০ সালে ১০% এবং ২০৪১ সালে ২০ থেকে ২৫% হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স ইনস্টিটিউট সেখানে আমাদের টার্গেট করতে হবে যে, এখানে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার এডুকেশন রেন্ডার করা হবে। বিদেশ থেকে লোকেরা এসে এখানে পড়াশোনা করবে। কারণ মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স কিন্তু বাংলাদেশের প্রথম চালু হয়েছিল, পৃথিবীর কেউ কিন্তু মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স আবিষ্কার করেনি। তাহলে কেন অন্যান্য দেশের মানুষেরা বাংলাদেশে এসে শিক্ষা অর্জন করবে না।

বীমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশেন (বিআইএ)  আয়োজিত এই আলোচনা সভায় সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দেশের সকল লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান, পরিচালক ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।