03/29/2024
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে আসার পথে গ্রিসের কাভালা শহরে বিধ্বস্ত বিমানে থাকা সামরিক সরঞ্জামগুলো বীমার আওতাভুক্ত ছিল বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গতকাল শনিবার এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় বিমানের সব ক্রু নিহত হয়েছেন। সার্বিয়া আজ রোববার এ বিমান বিধ্বস্তের তথ্য জানিয়েছে।
সার্বিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কার্গো বিমানটিতে সাড়ে ১১ টন সামরিক সরঞ্জাম ছিল। এর মধ্যে ছিল মর্টার ও প্রশিক্ষণের জন্য গোলা। এসব অস্ত্র সার্বিয়ার তৈরি। এ মালামালের ক্রেতা বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
তবে আইএসপিআর জানিয়েছে, ওই চালানে কোনো অস্ত্র ছিল না এবং চালানটি বীমার আওতাভুক্ত। প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তর (ডিজিডিপি) ক্রয় চুক্তির আওতায়, কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সার্বিয়া থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জন্য ক্রয়কৃত প্রশিক্ষণ মর্টার শেল বহন করছিল বিমানটি।
বিধ্বস্ত এই বিমান ইউক্রেনীয় একটি কোম্পানির মালিকানাধীন। রোববার (১৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
গ্রিসের রাষ্ট্রীয় টিভি ইআরটি জানিয়েছে, আন্তোনভ অ্যান-১২ মডেলের এই কার্গো প্লেনটির মালিক ইউক্রেনীয় একটি কোম্পানি। শনিবার এটি সমরাস্ত্র নিয়ে সার্বিয়া থেকে বাংলাদেশে আসছিল। মাঝআকাশে থাকার সময় ইঞ্জিনে সমস্যার কারণে পাইলট জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানালেও পরে বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ইআরটিনিউজ.জিআর-এ আপলোড করা ভিডিও ফুটেজে আগুনের শিখাসহ বিমানটিকে দ্রুত নেমে আসতে দেখা গেছে। পরে মাটিতে আঘাত করার পর এটিতে একটি বিস্ফোরণ হয় বলে মনে হচ্ছে। ফায়ার ব্রিগেড বিমানের ধরণ নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে জানিয়েছে যে, বিমানটিতে আটজন আরোহী ছিলেন বলে প্রাথমিক খবর পাওয়া গেছে।