4308

04/18/2024

দেশে হেলথ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি চালুর চেষ্টা চলেছে- অতিরিক্ত সচিব আবদুল্লাহ হারুন পাশা

প্রকাশ: ৪ আগষ্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে স্বাস্থ্য বীমা কোম্পানি নেই। যদিও লাইফ বীমার মাধ্যমে কিছুটা স্বাস্থ্য বীমা চালু আছে, তবে নন-লাইফে নেই। সরকার চেষ্টা করছে আলাদা স্বাস্থ্য বীমা চালু করার। এ জন্য মন্ত্রণালয় এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আলাদা স্বাস্থ্য বীমা কোম্পানি চালুর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবদুল্লাহ হারুন পাশা। 

বুধবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৭ হাজার ৪৬৮ জন্য বীমা গ্রাহকের ২৪ কোটি ৪১ লাখ ৬৮ হাজার ১৮৯ টাকার বীমা দাবি পরিশোধ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পপুলার লাইফ‌ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট বি এম ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইন্সুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) ম‌ইনুল ইসলাম এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (লাইফ) কামরুল হাসান, সদস্য (নন-লাইফ) নজরুল ইসলাম।

অতিরিক্ত সচিব আবদুল্লাহ হারুন পাশা আরো বলেন, উন্নত বিশ্বে বীমা ছাড়া এক পা চলা যাবে না। আমাদের পাশের দেশেগুলোতেও এখন বীমাকে অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়। উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যাবে তাদের অর্থনীতিতে বীমার অবদান ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। কিন্তু আমাদের দেশে মাত্র দশমিক ৫৬ শতাংশ। ২০২১ সালে বীমাতে অবদান ৪ শতাংশ হবে বলে ধরা হলেও তা আমরা করেতে পারিনি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে দুই ধরনের বীমা কোম্পানি ব্যবসা করে আসছে। লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে থেকে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে। তারা সেই প্রান্তিক মানুষের কাছ থেকে এজেন্সির মাধ্যমে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে থাকে। কিন্তু এই এজেন্সিগুলো মানুষকে ভুলভাল বুঝিয়ে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে। তারা যদি মানুষকে ভালোভাবে বুঝাতো তাহলে এসব মানুষ হয়রানির শিকার হতো না। কিন্তু তাদের বুঝানো হয় না। তাই প্রান্তিক অঞ্চলে বীমার প্রতি মানুষের আস্থা কমছে।

অতিরিক্ত সচিব আবদুল্লাহ হারুন পাশা বলেন, পপুলার লাইফের আজকের এই দাবি পরিশোধ অনুষ্ঠানে এসে আমার মনে হচ্ছে আমি এখন মানুষকে বলতে পারবো বীমাতে দাবি পরিশোধ করা হয়। কেননা এখানে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার জনের প্রায় সাড়ে ২৪ কোটি টাকার দাবি পরিশোধ করা হচ্ছে। পপুলার লাইফ আমাদের খাতায় সবসময় ভালো কোম্পানি হিসেবে ছিল এবং থাকবে বলে আশা করি।