4310

03/29/2024

৫ হাজার ২৩৯ কোটি টাকার দাবি পরিশোধ করেছে পপুলার লাইফ: বি এম ইউসুফ আলী

প্রকাশ: ৪ আগষ্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এই পর্যন্ত ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৯০৩ জন গ্রাহকের ৫ হাজার ২৩৯ কোটি ৬ লাখ ৫২ হাজার টাকার বীমা দাবি পরিশোধ করেছে। আর আজ ৭ হাজার ৪৬৮ জন্য বীমা গ্রাহকের ২৪ কোটি ৪১ লাখ ৬৮ হাজার ১৮৯ টাকার বীমা দাবি পরিশোধ করা হচ্ছে বলে জানান কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট বি এম ইউসুফ আলী।

বুধবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বীমা দাবি পরিশোধ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) ম‌ইনুল ইসলাম এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (লাইফ) কামরুল হাসান ও সদস্য (নন-লাইফ) নজরুল ইসলাম।

বি এম ইউসুফ আলী বলেন, আমাদের যখন দাবি দেয়া শুরু হলো তখন গ্রাহকের টাকা গ্রাহকের কাছে দিচ্ছি। দাবির আবেদনের সাত দিনের মাথায় আমরা দাবি পরিশোধ করে আসছি। কোন ক্ষেত্রে কিছুটা দেরি হচ্ছে তাও সেগুলোর নাম বা ন্যাশনাল আইডি কার্ডের তথ্য ভুল হওয়ার জন্য এই দেরি হয়ে থাকে। তা না হলে পপুলার লাইফ ৭ দিনের মধ্যে দাবি পরিশোধ করে আসছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা বছরের শুরুতে পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকি গ্রাহকের দাবি কিভাবে কত কম সময়ের মধ্যে পরিশোধ করবো। পপুলার লাইফে শুধু দাবি পরিশোধ করে আসছে তা না। আমরা কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছি, প্রায় ৫০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী আমাদের সাথে যুক্ত রয়েছে।  

এছাড়াও সামাজিক কর্মকাণ্ড হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর কথা মতো মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য মাদক বিরোধী কার্যক্রমের মাধ্যে পর পর ১৩ বার, করোনার সময় দুই বছর বাদে শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার অর্জন করেছি। দুর্নীতি মুক্ত, মাদক মুক্ত দেশ গড়ার জন্য পপুলার লাইফ সব সময় কাজ করে যাবে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন কোম্পানিতে লাইফ ফান্ডের একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, লাইফ ফান্ড কে কত বাড়াবে। আসলে দেখতে হবে লাইফ ফান্ড- এটা কার টাকা। একটা কোম্পানি প্রতিষ্ঠার সময় কোন কোম্পানি দিয়েছে ৭ কোটি, কোন কোম্পানির ৮ কোটি; এখন লাইফের জন্য ১৮ কোটি, নন-লাইফের জন্য ৩০ কোটি টাকা দিয়ে শুরু করতে হয়।

অনেক কোম্পানি মনে করে লাইফ ফান্ড আমার টাকা। এই টাকা আমি ভাঙব না। আমি গ্রাহককে টাকা দিব না। এই গ্রাহকের টাকা দিয়ে অনেক কোম্পানি বড় বড় জায়গা জমি কিনে বিল্ডং করে অনেক কিছু করে। কিন্ত গ্রাহেকের টাকা দিচ্ছে না, এটা অন্যায়।