766

01/11/2025

বীমার টাকা পেতে ৩বার মৃত্যু!

প্রকাশ: ২ ডিসেম্বর ২০১৭

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: বীমার টাকা পেতে পর পর ৩বার মৃত্যুবরণ করলেন এক ব্যক্তি। অভিনব এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্য প্রদেশের নবগাঁও নামক এক উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে। ৩বার তার নামে মৃত্যুসনদ ইস্যু করেছেন গ্রাম পঞ্চায়েত। প্রধানমন্ত্রীর জন ধন কর্মসূচির আওতায় বীমা দাবি পেতে এই অপকৌশলের আশ্রয় নেন বাবাদিন বাইগা নামক ওই মৃত ব্যক্তির নিকটাত্মীয়রা।

টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানায়, ঘটনার সূত্রপাত হয় ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর যখন বাইগা মৃত্যুবরণ করেন। এসময় তার মৃত্যুসনদ ইস্যু করে গ্রাম পঞ্চায়েত। তার মৃত্যুর পক্ষকাল পরেই ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ তে জন ধন প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর বীমা যোজনার অধীনে নেয়া হয় তার বীমা। এ ঘটনার পরই বাবাদিন বাইগার মৃত্যুর তারিখ ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ উল্লেখ করে পুনরায় মৃত্যুসনদ ইস্যু করে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং তার জন্য বীমা দাবি উত্থপন করা হয়।

গোপাহরু পুলিশ স্টেশন ইনচার্জ উমা সঙ্কর যাদেব বলেন, অল্প কয়েক দিনের মধ্যে (এ ঘটনার ক্ষেত্রে ১০ দিন) যদি কারো মৃত্যু হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বীমা দাবি নিষ্পত্তিতে নিষেধাজ্ঞার যে আইন রয়েছে সেটির ওপর প্রতারকরা অসন্তুষ্ট ছিল। এ কারণে বীমা দাবি নাকোচ হওয়ার পর নতুন করে বাবাদিন বাইগার ভূয়া মৃত্যুসনদ দাখিল করে প্রতারকরা, যুক্ত করেন তিনি।

উমা সঙ্কর যাদেব বলেন, বীমা দাবি নাকোচ হওয়ার পর প্রতারকচক্র দ্বিতীয় দফা ভূয়া মৃত্যুসনদ দাখিল করে, যাতে বাবাদিন বাইগার মৃত্যুর তারিখ উল্লেখ করা হয় ২০ জানুয়ারি, ২০১৭। দ্বিতীয় দফায় তাদের মৃত্যুদাবি গ্রহণযোগ্য হয় এবং তারা ২ লাখ রুপি পান। তবে তাদের এই প্রতারণা সম্পর্কে কেউ একজন পুলিশকে জানিয়ে দেয়। এ প্রতারণার সঙ্গে মৃতের বিধবা স্ত্রী, একজন ব্যাংক ম্যানেজার এবং কয়েকজন গ্রাম কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন।

পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনায় আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের পর ৪ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন- ভিলেজ সেক্রেটারি পিয়ারেলাল সিং, গ্রামের রোজগার সহায়ক জিতেন্দ্র কুমার উপাধ্যায়, সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এর খারোন্দি শাখার ম্যানেজার শামিয়ো রঞ্জন বেহরা এবং বাবাদিন বাইগার বিধবা স্ত্রী শান্তি বাই।