বন্যাকবলিত এলাকার ৫০০ পরিবারের পাশে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সিলেট ও সুনামগঞ্জের অধিকাংশ এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্বিষহ দিন পার করছেন। এই সব এলাকার খাদ্য, বাসস্থান সংকটে রয়েছে অগনিত মানুষ।

এই সংকটের সময়ে প্রশাসনের পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষও নানান মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। তেমনই একটি উদ্যোগ নিয়েছে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। পানিবন্দি এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি।

এরই প্রেক্ষিতে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৫০০ পরিবারের জন্য শুকনো খাবার এবং প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহন করে। যার মধ্যে ছিল আধা কেজি প্যকেটজাত মুড়ি, আধা কেজি প্যাকেটজাত চিড়া, আধাকেজি গুড়, এক প্যাকেট মোমবাতি, দুইটি দেশলাই, এক বক্স খাবার স্যালাইন, চার প্যাকেট বিস্কুট, ২.৫ লিটার পানির বোতল। 

ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন প্রত্যক্ষভাবে সম্পূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং কোম্পানির সিলেট বিভাগের প্রতিনিধি ডিএমডি ফজলুল বারী চৌধুরীর কাছে এসব খাদ্য সামগ্রি হস্তান্তর করেন।

প্রত্যকটি জিনিস উন্নত মানের ব্যাগে করে গত সোমবার রাত বারোটায় সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্য একটি তিন টনের কাভার্ড ভ্যানের মাধ্যমে পাঠানো হয়, যা সুনামগঞ্জের ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিশ সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম মঙ্গলবার  রাদানগর, চানপুর, সুবানগর, ওয়েজখালী, নবীনগর, উকিলপাড়া, গোবিন্দগঞ্জ, ঝিগলী, কৃষ্ণ নগর ইত্যাদি গ্রামে বিতরণ করবেন।

ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন এসময় বলেন, সিলেট বিভাগ বাংলাদেশের বীমা শিল্পের জন্য খুব উৎকৃষ্ট একটি স্থান। এই পবিত্র স্থানে বিশেষ করে সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যাকবলিত হয়ে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং বীমা সেক্টরের অন্যান্য অনেক কর্মী কর্মকর্তা, সম্মানিত বীমা গ্রাহক এবং সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন।

আমাদের পরিচালকদের আন্তরিকতায় এই সময় আমরা কোম্পানির পক্ষ থেকে তাদের জন্য সামান্য কিছু উপহার পাঠাতে পেরে মানুসিকভাবে স্বস্তি বোধ করছি। আমাদের কোম্পানির সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীর দিনব্যপী কঠোর পরিশ্রম করে এই কাজ সম্পন্ন করতে সফল হয়েছেন। আশা করি দ্রুত সিলেট বিভাগ বিশেষ করে সুনামগঞ্জ জেলায় এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের অবসান ঘটবে এবং সবাই স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন আবার।