বীমা গ্রহণের পরদিন গ্রাহকের মৃত্যু, ৮ লাখ টাকার দাবি পরিশোধ করল আস্থা লাইফ

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: বীমা পলিসি গ্রহণের পরদিন-ই দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের একজন বীমা গ্রাহক। একদিন বয়সের এই বীমা পলিসির বিপরীতে সম্প্রতি গ্রাহকের পরিবারকে ৮ লাখ টাকার মৃত্যুদাবি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত এই লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠান।

আস্থা লাইফ জানিয়েছে, বীমা গ্রাহক যেদিন পলিসির কাগজ পত্র সম্পন্ন করেন এবং প্রথম কিস্তি প্রিমিয়াম জমা করেন দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার পরের দিন সকাল বেলা তিনি মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। গতানুগতিক নিয়ম অনুযায়ী যেকোন পলিসির কাগজপত্র ও প্রথম কিস্তি প্রিমিয়াম জমা হওয়ার পর আনুষঙ্গিক দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করে পলিসি বীমা দলিল গ্রাহকের নিকট হস্তান্তর করতে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ কর্ম দিবসের প্রয়োজন হয়।

এই পলিসির ক্ষেত্রেও কোন ভিন্নতা ছিল না। কিন্তু বদলে দেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি কর্তৃপক্ষ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় প্রিয়জন হারানো পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। কুমিল্লা এলাকার অধিবাসী মৃত বীমা গ্রাহকের বীমা দাবির চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানটি পরিবারের সুবিধার্থে আস্থা লাইফ কুমিল্লা সেনানিবাসে আয়োজন করেন।

আস্থা লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আনোয়ার শফিক এনডিসি, পিএসসি, এমফিল, পিএইচডি (অব.) এর উপস্থিতিতে মৃত বীমা গ্রাহকের স্ত্রী ও সন্তানদের হাতে চেক হস্তান্তর করেন কুমিল্লা সেনানিবাসের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল মো. মাইনুর রহমান, এসউপি, এডব্লিউসি, পিএসসি। এছাড়াও কুমিল্লা সেনানিবাসের জিওসি এর কার্যালয়ের এবং আস্থা লাইফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এক দিনের ও কম বয়সের বীমা পলিসিটির পূর্ণাঙ্গ বীমা দলিল তৈরির কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে উত্থাপিত বীমা দাবিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিস্পত্তি করায় মৃত বীমা গ্রাহকের পরিবার আস্থা লাইফের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন। তারা আরও বলেন, সকল জীবন বীমা কোম্পানি যদি অঙ্গীকার রক্ষায় একইভাবে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে আসে তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বদলে যাবে বীমার প্রতি সাধারণ মানুষের ধারণা।