প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৭% লভ্যাংশ অনুমোদন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: ২০২৩ সালের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২৭% লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে প্রগতি ইন্সুরেন্স লিমিটেড। এর মধ্যে ২০% নগদ লভ্যাংশ এবং ৭% বোনাস শেয়ার। বুধবার (২৬ জুন) ডিজিটাল প্লাটফরমে আয়োজিত কোম্পানির ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এই লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।
কোম্পানির চেয়ারম্যান সৈয়দ এম আলতাফ হোসাইন সভায় সভাপতিত্ব করেন। কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান তাবিদ আউয়াল এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মোহাম্মাদ আব্দুল আউয়াল, মোহাম্মাদ আব্দুল মালেক, নাসির লতিফ, সৈয়দ মোহাম্মাদ জান , তাজওয়ার এম আউয়াল, নিগার জাহান চৌধুরী, এন ইয়াহিয়া, এএসএম মহিউদ্দিন মোনেম;
স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মাদ জামালউদ্দিন, এইচ নাহার, মাহাবুব আনাম এবং কোম্পানির উপদেষ্টা মো. রেজাউল করিম, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সেহাব উল্লাহ আল-মনজুর (এসিআইআই), চীফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার অমর কৃষ্ণ শীল, কোম্পানি সচিব সৈয়দ আনিসুল হকসহ আরও অনেক শেয়ারহোল্ডার ডিজিটাল প্লাটফরমের মাধ্যমে এ সভায় যুক্ত হন।
কোম্পানির ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তারা তাদের মতামত জানান এবং ই-ভোটিং এর মাধ্যমে প্রস্তাবিত আলোচ্যসূচীসমূহের অনুমোদন করেন।
২০২৩ সালে প্রগতি ইন্স্যুরেন্স গ্রস প্রিমিয়াম বাবদ আয় করে ২৩৪ কোটি টাকা। উক্ত বছরে কোম্পানির কর পূর্ব মুনাফা আয় হয় ৪৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। নীট দাবি পরিশোধের পরিমাণ ৩৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, যা গত বছরে ছিল ২৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। বীমা খাত থেকে আয় হয়েছে ৩৪ কোটি ১০ লাখ টাকা । মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৩৪ কোটি ৯ লাখ টাকা ।
কোম্পানির চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন, এবছর প্রগতি ইন্স্যুরেন্স তার শেয়ারহোল্ডারদের জন্য মোট ২৭% ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এটা প্রগতির সাফল্য। এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে সম্মানিত বীমা গ্রাহকদের অসীম অবদান, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সঠিক দিক নির্দেশনা, কোম্পানির সকল স্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং কর্মনিষ্ঠা।
কোম্পানি সচিব এবং চীফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার শেয়ারহোল্ডারদের উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
৩৮তম সাধারণ সভায় বিপুল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার অনলাইনে যুক্ত হয়ে তাদের মতামত এবং ই-ভোট প্রদান করেন এবং কোম্পানির কার্যক্রমে এবং অর্জিত সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেন। বার্ষিক সাধারণ সভা সঞ্চালনা করেন কোম্পানি সচিব সৈয়দ আনিসুল হক।
সভায় উদ্যোক্তা পরিচালক হতে ৩ জন পরিচালক পুননির্বাচিত হন। তারা হলেন- আবদুল আউয়াল মিন্টু, মোহাম্মাদ আবদুল মালেক এবং হাজী নিগার জাহান চৌধুরী। সাধারণ শেয়ারহোল্ডারের পক্ষ থেকে ২ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। তারা হলেন- তাজওয়ার মোহাম্মাদ আউয়াল এবং সৈয়দ মোহাম্মাদ জান।