তুরস্কে বীমার জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: বীমার জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে তুরস্কের একটি আদালত। ৪ লাখ তুর্কি লিরা বা ২৯ হাজার মার্কিন ডলার জীবন বীমার টাকার জন্য স্ত্রীক হত্যা করে ঐ তুর্কি নাগরিক। তুরস্কের স্থানীয় গণমাধ্যম এ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
গণমাধ্যম বলছে, তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের একটি আদালত গর্ভবতী স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে।
২০১৮ সালে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের প্রদেশ মুগলার একটি জনপ্রিয় স্থান কেলেবেক্লার (বাটারফ্লাই) উপত্যকায় ঐ নারীর মৃত্যু হয়। ২০২০ সালে আদালত এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করলে নিহত মহিলার স্বামীকে আটক করে পুলিশ।
নিহত মহিলার স্বামী (আসামী) দাবি করেন, তার স্ত্রী নিজেই পাহাড়ের উপর থেকে পড়ে গেছিল, নিহতের পরিবার আমার উপর অভিযোগ করেছে আমি তাকে জীবন বীমার টাকার জন্য হত্যা করেছি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতের স্বামী তার স্ত্রীকে উপত্যকার এমন একটি অংশে নিয়ে গিয়েছিলেন যেখানে সাধারন মানুষেরা খুব বেশি যায় না। সেখানে তার স্ত্রীকে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করান তিনি।
স্ত্রীর মৃত্যুর কিছু দিন আগে তার নামে জীবন বীমার পলিসি নিয়েছিল তার স্বামী। যার মূল্য ২৯ হাজার মার্কিন ডলার বা ৪ লাখ তৃর্কি লিরা।
নিহতের স্বামী (আসামী) দাবি করেন যে, কিভাবে তার স্ত্রী পহাড় থেকে পড়ে গেছে তিনি তা দেখেননি। তবে তার বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে প্রসিকিউটর আদালতে হত্যাকারীর চূড়ান্ত শাস্তির আবেদন করে।
নিহতের ভাই নাইম ইয়ল্কু বলেন, ন্যায়বিচার জয়ী হয়েছে। আমাদের এখনও বোন হারানোর ব্যথা আছে কিন্তু তা কিছুটা উপশম হয়েছে।