ভূমিহীন ও প্রান্তিক কৃষকের জন্য বীমার প্রস্তাব অর্থনীতি সমিতির

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভূমিহীন ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য বীমা চালু করার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে শস্য বীমা, কৃষি বীমা ও গোবাদি পশু বীমা চালুর কথাও জানায় সংগঠনটি।

আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংগঠনটির বিকল্প বাজেট প্রস্তাব সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাব করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সমিতি'র সভাপতি ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত।

ভূমিহীন ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্য “শস্য বীমা”, “কৃষি বীমা”, “জীবিকা বীমা”, “প্রাকৃতিক দুর্যোগ বীমা”, “গোবাদি পশু বীমা” ইত্যাদি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার পথ নির্দেশসহ ব্যয়-বরাদ্দ আসন্ন বাজেটে উল্লেখ থাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

দেশে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৯ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি। এই রাজস্ব আদায়ে ২২টি নতুন খাত চিহ্নিত করে সুনিদিষ্ট আয়ের প্রস্তাবও করেন তারা।

আর এই ২২ খাতের একটি বীমাখাত যেখান থেকে ১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় সম্ভব বলে জানান ড. আবুল বারকাত। চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আদায়ে বীমাখাত থেকে কিছুই আসে না বলে জানায় তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির বাজেট প্রস্তাবনা ২০১৮-১৯ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব বক্তব্য তুলেন ধরেন সংগঠনটির নেতারা। এতে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ।

আগামী অর্থ বছরের জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৪ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার সম্ভাব্য বাজেট প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, দেশে ৩২টি লাইফ ও ৪৫টি নন-লাইফ বীমা কোম্পানি রয়েছে। এ ছাড়াও লাইফ ও নন-লাইফ খাতে সরকারি দু'টি বীমা করপোরেশন রয়েছে।