মিথ্যা তথ্য দিয়ে মূখ্য নির্বাহী দীপেন কুমার, ৩ বছরে হাতালেন ৩ কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক: অভিজ্ঞতার সনদে দিয়েছেন মিথ্যা তথ্য। পূরণ করেননি শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্তও। তারপরও তিনি বাগিয়ে নিয়েছেন ২টি কোম্পানির মূখ্য নির্বাহীর পদ। বহাল তবিয়তে আছেন সাড়ে ৩ বছরের বেশি। হাঁকিয়ে বেড়াচ্ছেন দামি গাড়ি। বেতন-ভাতা ছাড়াও পাচ্ছেন নানান রকম আর্থিক সুবিধা। এ সময়ে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় তিন কোটি টাকা।
তিনি হলেন দীপেন কুমার সাহা রায় এফসিএ। প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বর্তমান মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা। ময়মনসিংহের ছোটবাজারে তার গ্রামের বাড়ি। পিতা স্বর্গীয় যতীন্দ্র মোহন সাহা রায়। ১৯৯০ সালে বেঙ্গল গ্রুপে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তবে বীমা পেশায় যোগ দেন ১৯৯৯ সালে।
ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’র অনুসন্ধানে দেখা যায়, দীপেন কুমার প্রথমবার মূখ্য নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ পান ২০১৪ সালে বেসরকারি লাইফ বীমা কোম্পানি স্বদেশ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে। চুক্তি ছিল তিন বছরের। তবে পারফরমেন্স ভালো না হওয়ায় স্বদেশ লাইফের মূখ্য নির্বাহী পদ থেকে অব্যহতি নেন তিনি।
এ বীমা কোম্পানিতে তিনি চাকরি করেন মাত্র ১ বছর ৯ মাস। বেতন ছিল ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর সাথে ছিল ২টি গাড়ি, মোবাইল বিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি, ফেস্টিভ্যাল বোনাস ও অন্যান্য সুবিধা। যা থেকে তার মাসে আসত প্রায় দেড় লাখ। সব মিলিয়ে তিনি ১ বছর ৯ মাসে হাতিয়ে নেন প্রায় দেড় কোটি টাকা।
পারফরমেন্স ভালো না হওয়ায় তাকে ছাড়তে হয় কোম্পানিটির মূখ্য নির্বাহী পদ। এ পদে তিনি নিয়োগ নেন ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে। আর চাকরি ছাড়েন ৩০ নভেম্বর ২০১৫ সালে। ২০১৪ সালে তিনি ১ম বর্ষ প্রিমিয়াম আয় করেন ৯১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। যার মধ্যে পরের বছরে নবায়ন আসে মাত্র ৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। ২০১৫ সালে তিনি ১ম বর্ষ প্রিমিয়াম আয় করেন ১ কোটি ৬১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। যার মধ্যে নবায়ন আসে মাত্র ২৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ দীপেন যে টাকা বেতন নিয়েছেন সেই পরিমাণ টাকা প্রিমিয়ামও সংগ্রহ করতে পারেননি। এমন পারফরমেন্সেও তার চাকরি পাওয়া থামেনি।
স্বদেশ লাইফের পরে আবার ৩ বছরের জন্য নিয়োগ পান অপর লাইফ বীমা কোম্পানি প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সে। এ কোম্পানিতে আছেন ১ বছর ৯ মাস থেকে। এখানে বেতন বরং আগের চেয়ে বেড়েছে। এখন তিনি বেতন পাচ্ছেন ৪ লাখ ৩৪ হাজার। এ ছাড়াও রয়েছে তেল খরচসহ ফুল টাইম ২টি গাড়ি, ২ হাজার টাকা মোবাইল বিল, ফ্যাস্টিভ্যাল বোনাস, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি ও অন্যান্যা আরো সুবিধা। যা থেকে তার মাসে আসে প্রায় দেড় লাখের ওপরে। সব মিলিয়ে এ কোম্পানি থেকে হাতিয়েছেন আরো প্রায় দেড় কোটি।
ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’র অনুসন্ধানে দেখা যায়, দীপেন কুমার স্বদেশ লাইফে নিয়োগ পেতে মূখ্য নির্বাহীর অব্যবহিত পরের পদে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা আছে এমন একটি সনদ দাখিল করেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে। নিয়োগের অনুমোদন পেতে শর্ত হিসেবে তিনি এ সনদ দাখিল করেন। সনদটি তিনি নেন ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড থেকে।
ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডির পর্যালোচনায় দেখা যায়, নানা রকম বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সনদটি সাজানো। দীপেন কুমার মূখ্য নির্বাহীর অব্যবহিত পরের পদে ৩ বছর চাকরি করেছেন তার কোনো প্রমাণ নেই। অথচ সনদটির তথ্যগুলো এমন করে সাজানো যাতে মনে হবে দীপেন কুমার মূখ্য নির্বাহীর অব্যবহিত পরের পদে ৩ বছর চাকরি করেছেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে তথ্য বিভ্রান্তির কারিশমাটি তিনি দেখিয়েছে খুব সুচতুরভাবেই।
সনদে দেয়া তথ্য অনুসারে, সনদটি ইস্যু করা হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে। আর মূখ্য নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ কার্যকর করা হয় ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে। অর্থাৎ নিয়োগ কার্যকর করার তারিখ থেকে ২৫ দিন পরে ইস্যু করা হয় অভিজ্ঞতার সনদ। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ নিয়োগপত্রের পূর্বানুমোদন দেন এরও প্রায় সাড়ে ৩ মাস পর ১৪ মে ২০১৪ সালে। তবে তাতে লেখা ‘০২/০২/২০১৪ ইং তারিখ হতে ভুতাপেক্ষভাবে কার্যকর হয়েছে বলে গণ্য হবে’। অর্থাৎ নিয়োগের এমন অনুমোদনপত্র নিয়েও রয়েছে বিভ্রান্তি।
সনদে দেয়া তথ্যে আরো দেখা যায়, সনদটিতে স্বাক্ষর করেন মো. জাহিদ আলী। তিনি ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ও এসভিপি পদে কর্মরত।
অভিজ্ঞতার সনদে উল্লেখ করা হয়, দীপেন কুমার সাহা রায় এফসিএ ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সে বিভিন্ন নির্বাহী পদে থেকে কোম্পানির দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ৪ বছর ১৫ দিন দায়িত্ব পালন করেন। অর্থাৎ ‘পদ’ নয় ‘ব্যক্তি’। অথচ ‘মূখ্য নির্বাহী নিয়োগ ও অপসারণ প্রবিধান মালা ২০১২’ অনুযায়ী শর্ত হল মূখ্য নির্বাহীর অব্যবহিত পরের ‘পদ’ এ ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
সনদের বর্ণনায় বলা হয়, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদটি কোম্পানির অর্গানোগ্রাম অনুসারে সর্বোচ্চ পদ। ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি দীপেন কুমার এ পদে পদোন্নতি পান।
আবার এই সনদেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে (মূখ্য নির্বাহীর অব্যবহিত পরের পদ) দায়িত্ব পালনের বিষয়টি পৃথকভাবে দেখানো হয়েছে। যাতে আবার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদের মেয়াদ ১৬ মে ২০১১ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সাল।
অর্থাৎ দীপেন কুমার সাহা ১ জানুয়ারি ২০১১ থেকে ১৬ মে ২০১১ পর্যন্ত এই ৫ মাস উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে থাকলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে ছিলেন না।
এই ৫ মাস দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ হিসেবে কেন বিবেচিত হবে না, তার কোন ব্যাখ্যা সনদে নেই।
অন্যদিকে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান মূখ্য নির্বাহী জামাল এমএ নাসের তার জীবন বৃত্তান্তে উল্লেখ করেছেন ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর (এক বছর) তিনি ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেন।
অর্থাৎ জামাল এমএ নাসেরকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ধরা হলে দীপেন কুমারের উপ-ব্যবস্থাপনা পদটি কোনভাবেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ হিসেবে বিবেচনার সুযোগ থাকে না।
যেখানে উপ-ব্যবস্থাপনা পদটি সর্বোচ্চ দ্বিতীয় পদ নয়, সেখানে ওই সনদে দীপেন কুমারের নির্বাহী ভাইস- প্রেসিডেন্ট ও সিনিয়র নির্বাহী ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করাকেও দেখানো হয়েছে সর্বোচ্চ দ্বিতীয় পদে দায়িত্ব পালন।
এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয় পৃথকভাবে । এতে দীপেন কুমার নির্বাহী ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদে ৮ মে ২০০৮ সাল থেকে ২১ ডিসেম্বর ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৭ মাস দায়িত্ব পালন করেন। আর সিনিয়র নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ২৪ মে ২০১০ থেকে ১৩ জানুয়ারি ২০১১ পর্যন্ত ৮ মাস দায়িত্ব পালন করেন।
উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ভাইস প্রেডিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালনকালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে দীপেন ৪ বছর ১৫ দিন দায়িত্ব পালন করেন বলে হিসাব দেখানো হয় অভিজ্ঞতার সেই সনদে।
ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’র অনুসন্ধানে আরো বেরিয়ে আসে, মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেতে শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত পূরণ করেননি দীপেন কুমার সাহা রায় এফসিএ।
মূখ্য নির্বাহী নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার যে শর্ত দেয়া দেয়া হয়েছে তাও পূরণ করেননি দীপেন কুমার সাহা। মূখ্য নির্বাহী নিয়োগ ও অপসারণ প্রবিধানমালা ২০১২ ’তে শর্ত দেয়া আছে, কোন ব্যক্তি মূখ্য নির্বাহী পদে নিয়োগ পেতে হলে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে ৩ বছরের অনার্স ও ১ বছরের মাস্টার্স অথবা ৪ বছরের অনার্স ও সমমানের ডিগ্রির অধিকারী।
অথচ দীপেন কুমার সাহা সরকারি আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ১৯৮৩ সালে তৃতীয় বিভাগে বিকম পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৮৬ সালে প্রিলিমিনারি ও ১৯৮৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানেজমেন্টে দ্বিতীয় শ্রেণীতে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। সে হিসাবে তিনি প্রবিধানে নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত পূর্ণ করেন না।
অভিজ্ঞতার সনদের বিষয়ে কথা বলা হয়, ন্যাশনাল লাইফের সনদ ইস্যুকারী কর্মকর্তা জাহেদ আলীর সঙ্গে। মূখ্য নির্বাহীর অব্যবহিত পরের পদে দীপেন কুমারের অভিজ্ঞতা না থাকার বিষয়টি তিনি ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’র কাছে স্বীকার করেন। আলাপকালে তিনি বলেন, মূখ্য নির্বাহী নিয়োগ ও অপসারণ প্রবিধানমালা ২০১২ তে অভিজ্ঞতার যে শর্ত দেয়া হয়েছে তা দীপেন কুমার পূরণ করেন না।
তাহলে এ ধরণের সনদ কেন দিয়েছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে জাহেদ আলী বলেন, কোম্পানিতে দীপেন কুমার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তি -এমন আলোচনা চলত। আর এ কারণেই তিনি দীপেন কুমারকে এ সনদ দিয়েছেন। এ ধরণের সনদ দেয়া আইনসঙ্গত হয়নি বলেও স্বীকার করেন তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামাল এ নাসের স্যার তখন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন এটা ঠিক। আবার অর্গানোগ্রামে এখনো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
তাহলে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদটি কীভাবে আসলো- এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি জাহেদ আলী।
বীমাখাত বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরণের প্রতারণার সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত। নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে নিয়োগ দেয়ার আগে আবেদনকারীর দেয়া তথ্য কেন সঠিকভাবে যাচাই করা হল না তাও খতিয়ে দেখার দাবি করেন তারা।
তবে কোম্পানি মালিকদের অনেকে মনে করেন, এ দায়িত্ব শুধু একা নিয়ন্ত্রণ সংস্থার নয়। মূখ্য নির্বাহী নিয়োগে কোম্পানির পরিচালনা পরিষদকে সচেতন হতে হবে। যে ব্যক্তি সনদে মিথ্যা তথ্য দিয়ে চাকরি নিতে পারে, তার হাতে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের আমানত ছেড়ে দেয়া কোনোভাবেই নিরাপদ না।
খাত সংশ্লিষ্টদের দাবি, আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি অবৈধভাবে নিয়োগ নিয়ে যেসব আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন তার পুরোটাই ফেরত দিতে হয়। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) গঠনের পর মূখ্য নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ বৈধ না হওয়া ব্যক্তিদের টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছেন এমন উদাহরণ রয়েছে। দীপেন কুমারের নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি এ যাবৎ নেয়া আর্থিক সুবিধা ফেরত নেয়ার উদ্যোগ নেয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।
এ সব বিষয়ে দীপেন কুমার সাহা রায় এফসিএ’র সাথে আলাপকালে তিনি জানান আমার নিয়োগ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আমি কোনো পয়সা দিয়ে নিয়োগ নেইনি।
এ সময় তিনি দাবি করেন, অর্গানোগ্রামে সর্বোচ্চ দ্বিতীয় ব্যক্তির সুনিদ্রিষ্ট কোনো পদ নেই। তা হতে পারে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা অন্যকিছু। তবে অর্গানোগ্রামে এসব থাকলেই হবে না। এসব পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি থাকতে হবে। আর তা না হলে তার পরের পদটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ হিসেবে গণ্য হবে। তবে ওই কর্মকর্তাকে সরাসরি মূখ্য নির্বাহীর সাথে কাজ করতে হবে।
দীপেন কুমারের দেয়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ'র এমন সংজ্ঞা নিয়ে কথা হয় বীমাখাত সংশ্লিষ্টদের সাথে। বিষয়টি স্পর্শকাতর বলে কেউ নাম প্রকাশে রাজি হননি। তবে তাদের বেশিরভাগের মতে, ‘ব্যক্তি’ নয় ‘পদ’-ই এ ক্ষেত্রে বিবেচিত হবে।
তবে কেউ কেউ মনে করেন, মূখ্য নির্বাহী হিসেবে সরাসরি কাজ করছেন যে ব্যক্তি সেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদের ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হবে।
মূখ্য নির্বাহীর পিয়ন বা পিএস দু'জনই মূখ্য নির্বাহীর সাথে সরাসরি কাজ করেন। তাহলে তারা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদের জন্য বিবেচিত হবেন কি না? এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি কেউ।