ডায়মন্ড লাইফের ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী জেল হাজতে
নিজস্ব প্রতিবেদক: বেসরকারি লাইফ বীমা কোম্পানি ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৮ কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন ঢাকার সিএমএম কোর্ট। চাকরি দেয়ার প্রলোভন দিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গত রোববার ডায়মন্ড লাইফের মিরপুরস্থ শাখা অফিস ও পল্টনন্থ প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে র্যাব সদস্যরা তাদের গ্রেফতার করেন।
এরা হলেন, কোম্পানির ডিএমডি মো. হাবিবুর রহমান (৩৪), পিতা মো. আকবর মুন্সি ও এএমডি মোখলেসুর রহমান (২৮), পিতা মো. হুজুর আলী। এই দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে রয়েছে মো. আবু হানিফ (২৪), পিতা মো. ফজলুল হক, মো. রাসেল মিয়া (২৭) পিতা মৃত আবদুস সোবহান, মো. মাহমুদ হোসেন (২৫), পিতা মৃত আবুল হোসেন, মো. ইয়াসিন মিয়া (৩৫), পিতা মৃত ফজলু রহমান, মো. মেহেদী হাসান (১৯) পিতা মো. হেমায়েত মোল্লা এবং মো. তানভীর মাহতাব (২৩) পিতা মো. আমিনুর রহমান।
সূত্র মতে, গত রোববার অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা ডায়মন্ড লাইফের মিরপুরস্থ শাখা অফিস ও পল্টনস্থ প্রধান কার্যালয়ে ৮ প্রতারককে গ্রেফতার করেন। এছাড়া বিপুল সংখ্যক নথিপত্র জব্দ করেন।
পরের দিন সোমবার চাকরির প্রলোভন দিয়ে টাকা আত্মসাতকারী চক্রের মূল হোতাদের ধরতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার সাব-ইনস্পেক্টর আকমিলা আক্তার আসামিদের রিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেন।
আদালত ডিএমডি মো. হাবিবুর রহমান ও এএমডি মোখলেসুর রহমান এর ২ দিনের এবং মো. রাসেল মিয়া ও আবু হানিফের ১ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া বাকি ৪ আসামি মো. মাহমুদ হোসেন, মো. ইয়াসিন মিয়া, মো. মেহেদী হাসান এবং মো. তানভীর মাহতাবকে জেলে পাঠান।
রিমান্ড শেষে আসামিরা জেল হাজতে আছেন বলে ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি'কে জানান তদন্ত কর্মকর্তা আকলিমা আক্তার।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদি মির্জা গালিব। তিনি একজন চাকরি প্রার্থী। জরুরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে বন্ধুদের নিয়ে মিরপুর ১০ এ অবস্থিত ডায়মন্ড লাইফের অফিসে যান। এ সময় কোম্পানির কর্মকর্তাদের চাকরির আবেদনের জন্য ৫শ' টাকা করে নেন।
এছাড়া বীমা করার জন্য ১ হাজার ২৬০ টাকা করে মোট ৪ হাজর ৭শ' টাকা নেন। পরবর্তীতে নানা অজুহাতে নানা সময় টাকা দাবি করেন। অন্যদিকে চাকরির নিয়োগের বিষয়ে আসামিদের সাথে কথা বললেও তারা নানা টালবাহানা করতে থাকে। এতে তাদের সন্দেহ হয়।
গত রোববার ৪টার দিকে তারা মিরপুরের অফিসে গিয়ে তাদের জমা করা টাকা ফেরত চাইলে আসামিরা তাদের টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। এ সময় মির্জা গালিব অফিসের কাউকে কোন কিছু না বলে অফিস থেকে বের হয়ে আসেন।
মির্জা গালিব রাস্তায় বের হয়ে ডিউটিরত র্যাব সদস্যদের বিষয়টি অবহিত করলে র্যাব সদস্যরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ডায়মন্ড লাইফে মিরপুর অফিস ও প্রধান কার্যালয় থেকে প্রতারণার সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করেন।
এ বিষয়ে জানতে ডায়মন্ড লাইফের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পিপলু বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি দাবি করেন, মিরপুরের অফিসটি আমাদের অনুমোদিত অফিস নয় এবং এ ঘটনার সঙ্গে কর্তৃপক্ষ জড়িত নয়। যেসব কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে গত আগস্টের ২০ তারিখে। এরমধ্যে অনেকেই যোগদান করেননি।