লাইফ ও নন-লাইফ বীমাখাত

বছরের প্রথমার্ধে ২৬২ শাখা অফিস বন্ধ, জানে না আইডিআরএ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত সারাদেশে ২৬২টি শাখা অফিস বন্ধ করেছে লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো। এরমধ্যে লাইফ বীমা কোম্পানির ২৪১টি এবং নন-লাইফ বীমা কোম্পানির ২১ শাখা অফিস বন্ধ করা হয়েছে।

তবে এসব শাখা অফিস বন্ধের বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’কে জানায়নি কোম্পানিগুলো। লাইফ ও নন-লাইফ বীমাকারীর ব্যবসার দক্ষতা মূল্যায়ন শীর্ষক দ্বিতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে আইডিআরএ।

বীমা আইন ২০১০ এর ১৪ ধারার বিধান অনুসারে বীমা গ্রাহকদের দ্রুত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে শাখা অফিস খোলার ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ থেকে যথাযথ লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক।

একইভাবে বীমা গ্রাহকের স্বার্থে বীমা কোম্পানিগুলোর শাখা অফিস বন্ধ করার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ’কে অবহিত করতে হবে এবং সেই সাথে বীমা গ্রাহকদেরও অবহিত করতে হবে।

তথ্য অনুসারে, ২০১৮ সালের জুন শেষে দেশজুড়ে লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানির ৭ হাজার ৯৮৫টি শাখা অফিস সচল রয়েছে। এরমধ্যে লাইফ বীমা কোম্পানি সচল শাখা অফিস রয়েছে ৬ হাজার ৬১৮টি এবং নন-লাইফ বীমা কোম্পানির ১ হাজার ৩৬৭টি।

তবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ এই ৩ মাসে সারাদেশে লাইফ বীমা কোম্পানির ১৫৭টি শাখা অফিস বন্ধ হয়েছে। এরপর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত এই ৩ মাসে ৮৪টি শাখা অফিস বন্ধ করে দিয়েছে লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো।

একইভাবে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো বছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ১৫টি শাখা অফিস বন্ধ করেছে। এরপর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত এই ৩ মাসে আরো ৬টি শাখা অফিস বন্ধ করেছে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো।

অন্যদিকে লাইফ বীমাখাতে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে ৯৯টি এবং এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ৯১টি শাখা অফিস খোলা হয়েছে। অর্থাৎ বছরের প্রথমার্ধে ১৯০টি শাখা অফিস খুলেছে লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো।

একইভাবে নন-লাইফ খাতে বছরের প্রথম ৩ মাসে ১৩টি এবং পরবর্তী ৩ মাসে ৯টি শাখা অফিস চালু করা হয়েছে। অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এই ৬ মাসে ১৯০টি শাখা অফিস খুলেছে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো।

ত্রৈমাসিক ওই প্রতিবেদনে আইডিআরএ উল্লেখ করেছে, প্রিমিয়াম আয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে অফিস খুলতে হবে। কারণ, অফিসের ভাড়া, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ভাতাদিসহ অন্যান্য অধিকাংশ ব্যয় অনুমোদিত সীমার মধ্যে প্রিমিয়ামের মধ্যে হিসাব করে করা হয়।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এ বিধান পরিপালন করা হয় না। ফলে বীমা আইনে নির্ধারিত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের অনুমোদিত ব্যয় সীমার চেয়ে অতিরিক্ত ব্যয় করে ব্যবসা পরিচালনা করে বীমা কোম্পানিগুলো। যার ফলে বীমা গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয় না।