সম্ভাবনাময় একচ্যুয়ারিয়াল সায়েন্স
পাপলু রহমান: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)’র ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধীনে একচ্যুয়ারিয়াল সায়েন্সে প্রথমবারের মতো ১৩ জন শিক্ষার্থী মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা হলেন সামিরা ইউনুস, নাদিরা ইসলাম, মো. মোশাররফ হোসেন, মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, নুসরাত জাহান, প্রণব কুমার দাশ, মো. নাজমুল ইসলাম বিশ্বাস, মো. এনামুল হক, মাহফুজ ইবনে মান্নান, মোহাম্মদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, উত্তম কুমার রায়, মো. রুবেল চৌধুরী এবং তানিয়া হাবিব।
পেশাগত এই ডিগ্রিটির সম্ভাবনা আছে কিনা এ প্রসঙ্গে শিক্ষার্থী উত্তম কুমার রায় বলেন, বাংলাদেশে এ ডিগ্রির ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। এই ডিগ্রির মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ইন্স্যুরেন্স খাতকে দৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে পারে। দেশের আর্থিক খাতকে আরও শক্তিশালী ও প্রতিযোগিতামূলক করতে পারে।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থী সামিরা ইউনুস বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একচ্যুয়ারিয়াল সায়েন্সের সিলেবাসটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন। তাই দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই ডিগ্রির মূল্যায়ন অনুধাবন করা প্রয়োজন বলে মনে করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ ডিগ্রি অর্জন করতে পেরে আমি গর্বিত।
আর্থিক তথা বীমা খাতগুলোতে এই ডিগ্রি কতোটা পরিবর্তন আনতে পারে সে বিষয়ে শিক্ষার্থী প্রণব কুমার দাশ বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক কোম্পানিগুলোর গ্রাহকসেবার জন্য ভ্যালুয়েশন, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, নৈতিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা এবং বর্তমানে বেশিরভাগ কোম্পানির প্রচলিত অনৈতিক ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড বন্ধে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষও (আইডিআরএ) এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রসঙ্গত, এ বছরের জুলাইয়ে মাস্টার্স অব একচ্যুয়ারিয়াল সায়েন্স (এমএএস) প্রোগ্রামের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন এবং সবাই উত্তীর্ণ হন। উত্তীর্ণরা সবাই বীমাসহ সকল আর্থিক খাতে কর্মরত আছেন।