একেএম ইলিয়াস হোসেন ছিলেন বীমা জগতের নক্ষত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক: সদ্য প্রয়াত বিশিষ্ট বীমা ব্যক্তিত্ব একেএম ইলিয়াস হোসেনকে বীমা জগতের নক্ষত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তার স্মরণে আয়োজিত সভার আলোচকরা। ইলিয়াস হোসেনকে হারিয়ে বীমা জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো বলেও মন্তব্য করেছেন বক্তারা।  

আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মালিবাগে ইম্পেরিয়াল ক্যাফেতে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ডেল্টা লাইফের সাবেক মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) দাস দেব প্রসাদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পদ্মা ইসলামী লাইফের কনসালটেন্ট এটিএম জাফর উল্লাহ চৌধুরী।

ইলিয়াস হোসেনের স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে বক্তারা বলেন, বীমাখাতে সবেচেয়ে আধুনিক চিন্তার সমন্বয় করেছিলেন ইলিয়াস হোসেন। তিনি কখনো আপোস করতে পারেননি। সত্যটি প্রকাশ্যেই বলতেন। একারণে তাকে বারবার চাকরি হারাতে হয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন, ইলিয়াস হোসেন ছিলেন একজন শিক্ষক। বীমাখাতের সত্যিকারের একজন শুভাকাঙ্খী। এদেশের বীমাখাতে উচ্চশিক্ষার একজন পথিকৃত। আর একারণেই তাকে প্রভাবশালী শ্রেণীর রোষাণলে পরতে হয়। তার প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একচ্যুয়ারিয়াল সোসাইটি অব বাংলাদেশ প্রভাবশালীদের রোষানলে বন্ধ করে দিতে হয়। তার প্রতি ক্ষোভটা এমন ছিল যে, তাকে জেল-জুলুমের শিকারও হতে হয়েছে। তার দোষ ছিল একটাই তিনি এদেশের বীমাখাতের ভালো চেয়েছেন। তিনি চেয়েছেন এ দেশের বীমাখাত সমৃদ্ধ হোক উচ্চ শিক্ষিত একদল পেশাজীবীর সমন্বয়ে।

বক্তারা বলেন, আজকে ইলিয়াস হোসেনকে কেউ স্বরণ না করলেও আগামী প্রজন্ম তাকে স্বরণ করবে। তার প্রতিষ্ঠিত একচ্যুয়ারিয়াল সোসাইটি তাকে স্মরণ করবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সোনালী লাইফের সিইও অজিত চন্দ্র আইচ, এনআরবি গ্লোবাল লাইফের সিইও (সিসি) আবু মুসা সিদ্দিকী ও কোম্পানিটির সাবেক সিইও অমল দাস, গোল্ডেন লাইফের সাবেক সিইও সুশান্ত প্রামাণিক, ব্যাংক বীমা অর্থনীতি পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান, ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র সম্পাদক ও প্রকাশক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

একেএম ইলিয়াস হোসেন গত ২২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে নওগাঁর সদর বশাইল ইউনিয়ন চক আতিতা গ্রামে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। গত দু’বছর যাবৎ তিনি ক্যান্সার ও কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন।   

আন্তর্জাতিক এ বীমা ব্যক্তিত্ব একচ্যুয়ারিয়াল সোসাইটি অব বাংলাদেশ'র প্রেসিডেন্ট ছিলেন। কর্মজীবন শুরু করেন জীবন বীমা করপোরেশনে। ইন্স্যুরেন্স একডেমির পরিচালক পদেও দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ন্যাশনাল লাইফ, গোল্ডেন লাইফ ও বায়রা লাইফের মূখ্য নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বীমা বিষয়ক একাধিক বই লেখেন। এছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে তিনি অগণিত প্রবন্ধ পাঠ করেন।