বীমাতে প্রযুক্তির ব্যবহার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমা খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। তিনি বলেন, আজকে আমরা কৃষি, প্রাণী ও মৎসে এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি গ্রহণ এবং এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমেই আমরা এগিয়ে আসছি।

আজ রোববার সূর্যমুখী প্রাণী সেবা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন আশরাফ আলী খান খসরু। সূর্যমুখী লিমিটেড ও ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স এর আয়োজক। ডিজিটাল খামার গড়ি, গবাদি প্রাণীর বীমা করি- এ প্রকল্পের স্লোগান।

আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, প্রযুক্তির অভাবে একসময় প্রাণী সম্পদের বীমায় ফেল করেছে সাধারণ বীমা করপোরেশন। কিন্তু বর্তমানে বীমা খাতে যুক্ত হয়েছে প্রযুক্তি। চিপস লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে প্রাণীর দেহে। তাই প্রাণী চিহ্নিত করতে কোন সমস্যা হচ্ছে না। আগে যেটা সম্ভব ছিল না। এ কারণে বীমাকারীরা আবারো প্রাণী সম্পদের দিকে এগিয়ে আসছে।

দেশের প্রাণী সম্পদ নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যখন আমদানি দুধে ৫ শতাংশ কর বসানো হলো তখন গুঞ্জণ শুরু হলো যে, দেশিয় দুধে এন্টিবায়োটিক আছে যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর। অথচ পরে পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে এটা সহনশীল মাত্রায় রয়েছে।

একইভাবে পল্ট্রি শিল্পে যখন আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ তখনো বলা হলো- ডিম খাওয়া যাবে না, মুরগী খাওয়া যাবে না, এটা ক্ষতিকর। এ কথা ছড়িয়ে পড়ার পর পল্ট্রি শিল্পেও ধস নেমে এলো। আসলে এটা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র এবং দেশিয় কিছু ব্যবসায়েদের ষড়যন্ত্র।

বর্তমানে আমাদের দেশে ২ কোটি ৪২ লাখ গরু, ১৪ লাখ ৩৭ হাজার মহিষ, ৩৫ লাখের বেশি ভেড়া এবং ২ কোটি ৫২ লাখ ছাগল আছে উল্লেখ করে আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, দেশের প্রাণী সম্পদের উন্নয়ন ও দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অনেক প্রকল্প নেয়া হয়েছে।

শাইখ সিরাজ বলেন, কৃষি ও গবাদি প্রাণীতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহারে যারা পিছিয়ে রয়েছে তারা সম্পদেও পিছিয়ে। সরকারকে পলিসি সাপোর্ট দিয়ে দেশের ফার্মকে এগিয়ে নিতে হবে। কৃষি খাতে ভর্তুকি দেয়ার কথাও বলেন তিনি।

খামারিদের সব দিক থেকেই সুরক্ষা দিতে হবে উল্লেখ করে কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেন, প্রযুক্তি নির্ভর বীমা হলে সফলতা অবশ্যই আসবে। তবে তিনি বীমার খরচ ও প্রযুক্তিতে খরচ আরো কমানোর দাবি জানান। তিনি বলেন, শতভাগ ব্যবসায়িক মানসিকতা নিয়ে কাজ করা যাবে না।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আলী আশরাফ, মৎস ও প্রাণী সম্পদ সচিব মো. রাইছউল আলম মন্ডল, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য গকুল চাঁদ দাস, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শোয়েব, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. হিরেশ রঞ্জন ভৌমিক, প্রাণী সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথুরাম সরকার।  

এ ছাড়াও ডিএলএস’র ডাইরেক্টর জেনারেল ইনচার্জ আবদুল জব্বার সিকদার, বিএফপি-বি’র টিম লিডার ফয়সাল হোসাইন, সূর্যমুখী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিদা হক, ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের প্রাণী বীমার প্রকল্পের পরিচালক ও কোম্পানি সচিব রফিকুর রহমান বক্তব্য রাখেন।