৩৩% নতুন ব্যবসা কমেছে সানফ্লাওয়ার লাইফের
নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যবসা ধরে রাখতে পারছে না সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স। একদিকে কমছে নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহ। অন্যদিকে বাড়ছে পলিসি ল্যাপস বা প্রিমিয়াম তামাদির পরিমাণ। গেলো দুই বছরে কোম্পানিটির প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে ৩৩ শতাংশ। আর প্রথম বর্ষের নবায়ন প্রিমিয়াম তামাদি হয়েছে ৭৯ শতাংশ পর্যন্ত। নিয়ন্ত্রক সংস্থায় দাখিলকৃত বীমা কোম্পানিটির তথ্য পর্যালোচনায় এ চিত্র উঠে এসেছে।
তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে সানফ্লাওয়ার লাইফের প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম সংগ্রহ ৩৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা। যা আগের বছর ২০১৮ সালে ছিল ৪২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এর আগে ২০১৭ সালে এই প্রিমিয়াম সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৫৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে ১৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বা ৩৩ শতাংশ কম প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
এদিকে ২০১৯ সালে দ্বিতীয় বর্ষ নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ হয়েছে ১০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০১৮ সালে সংগৃহীত ৪২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা নতুন প্রিমিয়ামের মধ্যে ৩১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বা ৭৫ শতাংশ প্রিমিয়াম তামাদি হয়ে গেছে। এর আগে ২০১৮ সালে এই প্রিমিয়াম তামাদির পরিমাণ ৪২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা বা ৭৯ শতাংশ এবং ২০১৭ সালে ৩৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বা ৭৯ শতাংশ।
এ ছাড়াও ২০১৯ সালে সানফ্লাওয়ার লাইফের মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ ১০৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এর আগে ২০১৮ সালে এই প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ১০৪কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আর ২০১৭ সালে সানফ্লাওয়ার লাইফের মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ১১৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে ১৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা বা ২০ শতাংশ কম প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
এ বিষয়ে সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্সুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুল আলমের সঙ্গে ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’র পক্ষ থেকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি লিখিত প্রশ্ন চান। পরবর্তীতে বীমা কোম্পানিটির অফিসে গিয়ে প্রশ্নগুলো লিখিত আকারে তার কাছে উপস্থাপন করে ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি। কিন্তু লিখিত প্রশ্নেরও কোন জবাব দেয়নি সানফ্লাওয়ার লাইফ। পরবর্তীতে মোবাইল ফোনে আবারো যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।