করোনা প্রতিরোধে বীমা পরিবারকে সচেতন হতে হবে: শেখ কবির হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বীমা পরিবারকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ)’র প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন। তিনি বলেন, নিজের জন্য, আপনজনদের জন্য সর্বোপরি সমাজের অন্যান্যদের জন্য স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা এবং জনসমাবেশ এড়িয়ে চলতে অন্যদেরকে উৎসাহিত করতে হবে। করোনা প্রতিরোধে সচেতনা বৃদ্ধি করা বীমা পরিবারের সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের আওতাভূক্ত।

শেখ কবির হোসেন বলেন, স্বাধীনতার মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের বীমা শিল্পে সম্পৃক্ত ছিলেন। জাতির পিতার উত্তরাধিকার হিসেবে আমরা সকলেই গর্বিত। তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নিজেকে বীমা পরিবারের সদস্য হিসেবে মনে করেন। তাই তার হাতকে শক্তিশালী করা এবং দেশের জনগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভূমিকা রাখা বীমা পরিবারের সকল সদস্যদের পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য।

গণমাধ্যমকে বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মহামারী আকারে বিস্তৃত হয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৮৪ দেশ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে ৩ লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, এই রোগে আক্রান্ত ১৩ হাজারের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা এশিয়া তথা দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশসহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের মত জনবহুল দেশে এই ভাইরাসের বিস্তৃতির সম্ভাবনা আরও বেশি। বাংলাদেশে এ যাবৎ ২৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ৩ জন সুস্থ হয়েছেন এবং ২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ ছাড়া কয়েক হাজার মানুষ হোম কোয়ারেন্টাইন বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন। আমরা আশা করি আক্রান্ত সকলেই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে তারাও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন।

শেখ কবির হোসেন বলেন, করোনার ভয়াবহতা থেকে নিজেদেরকে এবং অন্যদেরকে রক্ষার জন্য বীমা পরিবারের সবাইকে সচেতন হতে হবে। এ জন্য সরকারের স্বাস্থ্যবিভাগের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) কর্তৃক করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যে সকল স্বাস্থ্য বিধি জারি করা হয়েছে সেগুলো আমাদের যথাযথ প্রতিপালন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, মাক্স ব্যবহার, সাবান পানি অথবা হ্যান্ডস্যানিটাইজার দিয়ে প্রয়োজন মাফিক হাত ধোয়া এবং হাঁচি-কাশির বিষয়ে সাধারণ শিষ্টাচার মেনে চললেই এ ভাইরাসকে প্রাথমিকভাবে প্রতিরোধ করা যায়। সচেতনতামূলক কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলে বীমা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ দেশের জনসাধারণ করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে মুক্ত হতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি।