প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ডেল্টা লাইফে, কমেছে ব্যবস্থাপনা ব্যয়
নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যবসা সংগ্রহে ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় গেলো বছরে প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে সাড়ে ৫ শতাংশের বেশি। একইসঙ্গে বেড়েছে লাইফ ফান্ড এবং বিনিয়োগ। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের হিসাবে এ চিত্র উঠে এসেছে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। সম্প্রতি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে আর্থিক প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স সর্বমোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ করেছে ৭০১ কোটি ১০ লাখ টাকা। এর আগে ২০১৮ সালে প্রিমিয়াম সংগ্রহের এই পরিমাণ ছিল ৬৬৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ গেলো বছরে কোম্পানিটির প্রথম বর্ষ ও নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ বেড়েছে ৫.৫৯ শতাংশ বা ৩৭ কোটি ১০ লাখ টাকা।
এরমধ্যে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম আয় ১৫৮কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং নবায়ন প্রিমিয়াম আয় ৪৭৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে মোট প্রিমিয়াম আয় ছিল ১৩৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা এবং নবায়ন প্রিমিয়াম আয় ৪৫৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম আয় বেড়েছে ১৩ শতাংশ এবং নবায়ন প্রিমিয়াম আয় বেড়েছে সাড়ে ৪ শতাংশ।
তবে গেলো বছরে গ্রুপ বীমা খাতে প্রিমিয়াম আয় ৩.২১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৮ সালে ছিল ৬৫ কোটি টাকা ৬৫ লাখ টাকা। আর ২০১৮ সালের প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম আয়ের বিপরীতে ২০১৯ সালে নবায়ন প্রিমিয়াম আয় হয়েছে ৮৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
অন্যদিকে ২০১৯ সালে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ব্যবস্থাপনা খাতে সর্বমোট ব্যয় করেছে ১৯৩ কোটি ১ লাখ টাকা, যা অনুমোদিত ব্যয়সীমার চেয়ে ৮.৪৭ শতাংশ কম। এর আগে ২০১৮ সালে কোম্পানিটির মোট ব্যবস্থাপনা ব্যয় ছিল ১৮২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, যা অনুমোদিত ব্যয়সীমার চেয়ে ৬.১৪ শতাংশ কম।
২০১৯ সালের শেষে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স জীবন বীমা তহবিলে যোগ করেছে ১৫৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ফলে বর্তমান মোট তহবিলের পরিমাণ ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯৮৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা। যা ২০১৮ সালে ছিল ৩৮২৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা এবং ২০১৭ সালে ছিল ৩৬৭৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
২০১৯ বর্ষ সমাপনীতে ডেল্টা লাইফের মোট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ৩৭১৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, যা ২০১৮ সালে ছিল ৩৬১০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ৮৩ কোটি ২৩ লাখ টাকার নতুন ট্রেজারি বন্ড কিনেছে, ফলে সরকারি খাতে মোট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ১২১৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ সরকারি খাতে মোট বিনিয়োগের হার ৩২.৭৭ শতাংশ।
এ ছাড়াও অন্যান্য খাতে কোম্পানিটি নতুন বিনিয়োগ করেছে ১৪৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, নগদায়ন করেছে ১৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। ফলে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫০০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ বেসরকারি খাতে মোট বিনিয়োগের হার ৬৭.২৩ শতাংশ। কোম্পানিটির বর্তমান পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১২৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।