আইডিআরএ’র আবেদন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে ২৬ বীমা কোম্পানিকে ছাড় দিল বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে ২৬টি লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিকে ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) । প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও)’র মাধ্যমে নূন্যতম অর্থ উত্তোলেনে এই ছাড় দেয়া হয়েছে। বুধবার অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এর অনুমোদন দেয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানিয়েছেন, ফিক্স প্রাইস ম্যাথডে বা ১০ টাকা অভিহিত মূল্য আইপিওতে শেয়ার ছেড়ে কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র আবেদনের প্রেক্ষিতে অতালিকাভুক্ত ২৬ বীমা কোম্পানিকে এক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হয়েছে।

এই ২৬টি লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানি ফিক্সড প্রাইস ম্যাথডে আইপিওতে সর্বনিম্ন ১৫ কোটি টাকা উত্তোলন করতে পারবে। এ বিষয়ে শিগগির বিএসইসি একটি নোটিফিকেশন জারি করবে বলেও জানিয়েছেন মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

উল্লেখ্য, বীমা আইন, ২০১০ এর তফসিল-১ এর ধারা ১ (ক) -তে লাইফ বীমা ব্যবসার জন্য বাংলাদেশে নিবন্ধিত কোম্পানির ক্ষেত্রে নূন্যতম পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ১৮ কোটি টাকা উদ্যোক্তাগণের এবং অবিশষ্ট ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ১২ কোটি টাকা জনসাধারণের প্রদানার্থে উন্মুক্ত থাকবে।

এ ছাড়াও ধারা ১ (খ) -তে নন-লাইফ বীমা ব্যবসার জন্য বাংলাদেশে নিবন্ধিত কোম্পানির ক্ষেত্রে নূন্যতম পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ২৪ কোটি টাকা উদ্যোক্তগণ কর্তৃক প্রদত্ত হবে ও অবিশষ্ট ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ১৬ কোটি টাকা জনসাধারণ কর্তৃক প্রদানার্থে উন্মুক্ত থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলস, ২০১৫ এর ধারা ৩(সি) অনুযায়ী পরিশোধিত মূলধন হতে হবে সর্বনিম্ন ৫০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে পাবলিক মানি তথা জনগণের শেয়ারের পরিমাণ হতে হবে সর্বমনিম্ন ৩০ কোটি টাকা।

অর্থাৎ পুঁজিবাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা নিলে বীমা আইন অনুসারে উদ্যোক্তাদের অংশ দাঁড়ায় ৪৫ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে লাইফ বীমার উদ্যোক্তার অংশ আরো ২৭ কোটি টাকা এবং নন-লাইফ বীমার উদ্যোক্তার অংশ আরো ২১ কোটি টাকা বাড়াতে হয়। যা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে বীমা কোম্পানিগুলোর প্রধান বাঁধা। এই বাধা দূর করতে বিএসইসি’র কাছে আইডিআরএ’র আবেদনের প্রেক্ষিতে ছাড় পেলো ২৬ বীমা কোম্পানি।