করোনাকালে লাইফ ফান্ড কমেছে ১২ কোম্পানির
নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা মহামারীর মধ্যে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশের ১২টি লাইফ বীমা কোম্পানির ফান্ড বা তহবিল কমে গেছে। আর বেড়েছে ১৯টি কোম্পানির লাইফ ফান্ড। স্থিতিশীল রয়েছে একটি বীমা কোম্পানির। এসব কোম্পানির মধ্যে আবার ৬টির লাইফ ফান্ডে ঘাটতি রয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
লাইফ ফান্ড কমে যাওয়া কোম্পানিগুলো হলো- ফারইস্ট ইসলামী লাইফ, পপুলার লাইফ, প্রোগ্রেসিভ লাইফ, হোমল্যান্ড লাইফ, গার্ডিয়ান লাইফ, সানলাইফ, বায়রা লাইফ, গোল্ডেন লাইফ, বেস্ট লাইফ, এনআরবি গ্লোবাল লাইফ, যমুনা লাইফ এবং জেনিথ ইসলামী লাইফ। আর স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে সানফ্লাওয়া লাইফের ফান্ড।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার হিসাব মতে, বর্তমানে দেশের ৩২টি লাইফ বীমা কোম্পানির সর্বমোট তহবিল বা লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ৩৪ হাজার ১৪১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর আগে প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিগুলোর মোট লাইফ ফান্ড ছিল ৩৩ হাজার ৫৪১ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আর ২০১৯ সাল শেষে এই লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ছিল ৩৪ হাজার ৪৪৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে বছরের প্রথমার্ধে লাইফ ফান্ড কমেছে ৩০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা বা ০.৮৮ শতাংশ।
তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিক শেষে ফারইস্ট ইসলামী লাইফের ফান্ড ছিল ৩ হাজার ২৭৬ কোটি ২১ লাখ টাকা। তবে দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে এই লাইফ ফান্ড দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৭৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৭৮ লাখ টাকা বা ০.০২ শতাংশ কমেছে। ১ হাজার ৭১০ কোটি ২৯ লাখ টাকা থেকে ৪৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা বা ২.৮৮ শতাংশ কমে পপুলার লাইফের বর্তমান লাইফ ফান্ড দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৬১ কোটি ৬ লাখ টাকা।
প্রোগ্রেসিভ লাইফের ফান্ড ২৭৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা থেকে ০.৬৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৭৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা। হোমল্যান্ড লাইফের ফান্ড ২৫৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা থেকে ১.৭৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৫২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। গার্ডিয়ান লাইফের ফান্ড ২৫১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা থেকে ৯.২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২২৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
একইভাবে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের লাইফ ফান্ড ১৬.০৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। বায়রা লাইফের ফান্ড ১৪.২৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬৬ কোটি ৬ লাখ টাকা। গোল্ডেন লাইফের ফান্ড ১.৮৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৩ লাখ টাকা। বেস্ট লাইফের ফান্ড ২২.৬৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা।
এ ছাড়াও লাইফ ফান্ড ঘাটতিতে থাকা এনআরবি গ্লোবালের ফান্ড আরো ৩২.৬৬ শতাংশ কমে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। যমুনা লাইফের ফান্ড আরো ০.৮০ শতাংশ কমে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮২ লাখ টাকা। জেনিথ ইসলামী লাইফের ফান্ড আরো ১১.৫৫ শতাংশ কমে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আর স্থিতিশীল থাকা সানফ্লাওয়া লাইফের ফান্ডের পরিমাণ ১৪১ কোটি ২ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, আলফা ইসলামী লাইফ, এনআরবি গ্লোবাল লাইফ, স্বদেশ লাইফ, যমুনা লাইফ, জেনিথ ইসলামী লাইফ এবং ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের লাইফ ফান্ডে এখনো ঘটতি রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাটতিতে রয়েছে ডায়মন্ড লাইফ, ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। অন্যদিকে আলফা ইসলামী লাইফের ফান্ডে ঘাটতির পরিমাণ ১৮ লাখ টাকা।