ডিজিটাইজেশনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে: আসাদুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমাখাতে ডিজিটাইজেশনের ওপর গুরুত্ব দিতে বললেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ডিজিটাইজেশনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। দক্ষ জনশক্তি আনতে হবে। এই টেকনোলজির ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাবো।

আজ বুধবার লাইফ বীমা কোম্পানির গ্রাহকদের মৃত্যুদাবির চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বঙ্গবন্ধু আশার আলো-বীমা দাবি নিষ্পত্তির প্রয়াস’ নামে এই অনলাইন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

আসাদুল ইসলাম বলেন, এখন সব জায়গাই ডিজিটাইজেশন হচ্ছে। এটাকে গ্রহণ করার মানসিকতা থাকতে হবে। সক্ষমতা বাড়াতে প্রযুক্তির ওপর যেতে হবে। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। প্রয়োজনে প্রশিক্ষণ দিয়ে কোম্পানিগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিটা জরুরি, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশ বীমাখাত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আনার বিষয়ে বীমা মালিকদের সংগঠন বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেনের প্রস্তাবের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা খুবই ভালো প্রস্তাব। আপনারা প্রস্তাবনা দিলে আমি অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে কাজ করব।

তিনি বলেন, এটি বাস্তবায়ন হলে কোন গ্রাহক মারা গেলে খুব সহজেই আমরা তা জানতে পারবো। ক্লেইমের জন্য তাকে আমাদের কাছে আসতে হবে না। তার স্থানীয় ব্যাংক একাউন্টে তার ক্লেইমের টাকা চলে যাবে। এর ফলে গ্রাহকদের মধ্যে আস্থা বাড়বে। এতে বীমার পেনিট্রেশনও বাড়বে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীমার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। তাই যারা বীমাখাতের সাথে জড়িত আছেন তারা অত্যন্ত ভাগ্যবান। আজকের অনুষ্ঠানটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমিও অনুপ্রাণিত।

তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিতে বীমার অবদান অপরিসীম। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এটা সারা পৃথিবীতেই। ব্যাংকিং সেক্টরের অবদান যেমন রয়েছে। অর্থনীতির কথা বলতে গেলেই দু’টো বিষয় চলে আসে,  ব্যাংক-বীমা।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার আগেও বীমা ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এই বীমার সাথে জড়িত ছিলেন। স্বাধীনতার পরও বঙ্গবন্ধুর হাতেই অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে বীমাখাত একটা সুদৃঢ় ভিত্তি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু প্রত্যেকটা  বীমা কোম্পানিকে গুটিয়ে নিয়ে দু’টি বীমা কোম্পানিতে রূপান্তর করেন।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি বলেন, বীমা দাবি পরিশোধ করা, এটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। এটাতো লিগ্যাল অবলিগেশন। তিনি বলেন, এটা আমাদের মানবিকতা নয়, এটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা যে কাজ করছি সেই কাজের সেন্ট্রাল পার্ট হচ্ছে দাবি পরিশোধ। তাই দাবি পরিশোধ শতভাগ করতে হবে। কোন ক্লেইম আনসেটেল রাখা উচিত না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন, আইডিআরএ’র সদস্য (আইন) মো. দলিল উদ্দিন ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট বি এম ইউসুফ আলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মইনুল ইসলাম। উপস্থাপনা করেন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মো. সরওয়ার আলম।