বঙ্গবন্ধুর জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে বীমার গুরুত্ব অনেক: এনআই খান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খান (এনআই খান) বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে বীমার গুরুত্ব অনেক। তিনি বলেন, ১৯৬০ সালের ১ মার্চ বঙ্গবন্ধু আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেন। বীমা পেশার আড়ালে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন।

আজ বুধবার লাইফ বীমা কোম্পানির গ্রাহকদের মৃত্যুদাবির চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘বঙ্গবন্ধু আশার আলো-বীমা দাবি নিষ্পত্তির প্রয়াস’ নামে এই অনলাইন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। অনুষ্ঠানে ১২টি লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠানের ২৪ কোটি ১৯ লাখ ৮৬ হাজার ৯১১ টাকার মৃত্যুদাবির চেক হস্তান্তর করা হয়।

এনআই খান বলেন, ভারত ও পাকিস্তান আলাদা হওয়ার পর আলফা ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর ১৯৫৯ সালের অক্টোবরে ঢাকায় এর শাখা স্থাপন করে। বঙ্গবন্ধু আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতাদের কোম্পানিটির বিভিন্ন শাখায় ম্যানেজার পদে চাকরি দেন এবং তাদের সাথে বৈঠক শুরু করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর বলেন, আলফা ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের এর কর্মকাণ্ড বন্ধ করে শুধু ভারতে এটাকে চালু রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু এটাকে এগিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, আলফা ইন্স্যুরেন্সে বঙ্গবন্ধুর হাতে ছোঁয়া না পড়লে কোম্পানিটি অনেক পিছিয়ে পড়তো। দেশের স্বাধীনতাও পিছিয়ে যেতো।

বীমার গুরুত্ব উল্লেখ করে সাবেক এই সচিব আরো বলেন, যদি বীমা না থাকতো তা হলে অনেক পিছিয়ে যেতো দেশ। বীমা না থাকলে বঙ্গবন্ধুর জীবনও ঝুঁকিতে পড়তো। তিনি বলেন, পরিবার ও সমাজের জন্য বীমা একটি সেফটি নেটওয়ার্ক। এ জন্য বীমা আরো বাধ্যতামূলক করা দরকার, সরকারের আরো সহযোগিতা দরকার।