লাইফ বীমা খাত

সংগঠনিক স্তর ও কমিশন হার পুনর্নির্ধারণে বিআইএফ’র ৭ সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: লাইফ বীমা কোম্পানির উন্নয়ন কর্মী এবং কর্মকর্তাদের অভিন্ন কমিশন হার ও সাংগঠনিক স্তরবিন্যাস পুনর্নির্ধারণ করাসহ সকল প্রকার লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পন্ন করা এবং সঠিক সময়ে বীমা দাবি পরিশোধের বিষয়ে ৭টি সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম (বিআইএফ) ।

সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট বি এম ইউসুফ আলী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি গত ২৫ এপ্রিল বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র কাছে পাঠিয়েছে মুখ্য নির্বাহীদের এই সংগঠন।

বিআইএফ’র ৭টি সুপারিশ হলো-

মাঠ পর্যায়ে তৃণমূলে কর্মরত তিন স্তর যথা- এফএ, ইউএম এবং বিএম এর কমিশন হার এবং সাংগঠনিক কাঠামো বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ২০১২ সালে জারিকৃত সার্কুলার অনুযায়ী কার্যকর থাকবে। সুপারভাইজরের লেভেলে সর্বোচ্চ তিনটি স্তর থাকবে। তবে কোন কোম্পানির সুপারভাইজারি লেভেলে তিনটি স্তরের চেয়ে কম সংখ্যক স্তর দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।

মাঠ পর্যায়ে পিরামিড আকারে সাংগঠনিক কাঠামো গঠিত হবে। যেমন- ১ জন ইউনিট ম্যানেজারের অধীনে  ৫ জন সক্রিয় এজেন্ট বা এফএ, ১ জন ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের অধীনে ৪ জন সক্রিয় ইউনিট ম্যানেজার বা ইউএম,১ জন সুপারভাইজারের অধীনে ৩ জন অধীনস্থ কর্মরত থাক।

সুপারভাইজারি লেভেলে ৩টি স্তরের জন্য সংগৃহীত প্রথম বর্ষ প্রিমিয়ামের সর্বোচ্চ ১৮ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় করা যাবে। কোন কোম্পানি এর বেশি ব্যয় করতে পারবেনা।

বীমা প্রতিষ্ঠানে আর্থিক শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে প্রিমিয়ামের অর্থ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন করতে হবে। সংগৃহীত প্রিমিয়ামের অর্থ বীমা আইন অনুসযায়ী পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাংকে জমাকরণ নিশ্চিত করতে হবে। 

যথাযথ ডকুমেন্টসহ বীমা দাবি উত্থাপিত হওয়ার পর স্বল্পতম সময়ে যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বীমা দাবি পরিশোধ করতে হবে।

সকল কোম্পানির জন্য অভিন্ন অফিস অর্গানোগ্রামে উল্লেখিত সহকারী ব্যবস্থাপক পরিচালক, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে সুপারভাইজারি লেভেনের কোন উন্নয়ন কর্মকর্তাকে নিয়োগ, পদায়ন বা দায়িত্ব প্রদান করা যাবে না।

স্বল্প সময়ের মধ্যে উপরোক্ত সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের জন্য বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ হতে সার্কুলারের মাধ্যমে সকল লাইফ বীমা কোম্পানিসমূহকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নির্দেশনা দেয়া প্রয়োজন। কেননা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার সাথে এর কোন বিকল্প নেই বলে আমরা মনে করছি।ৃ