মানবসেবা ও বেকারত্ব নিরসনে কাজ করছে জেনিথ ইসলামী লাইফ: মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী
নিজস্ব প্রতিবেদক: মানবসেবা ও বেকারত্ব নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। এরই অংশ হিসেবে বীমা পলিসির গুণগত মান বৃদ্ধি, সময়োপযোগী বীমা পলিসি ডিজাইন ও গবেষণার পরিধি সম্প্রসারণে একটি মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন বীমা কোম্পানিটির চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী।
আজ শনিবার (১৩ নভেম্বর) কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত কোম্পানির উন্নয়ন সম্মেলনে তিনি সভাপতির বক্তব্য রাখছিলেন। ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে টেকসই উন্নয়নে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী বীমা কোম্পানি বিনির্মাণ এবং দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে আমরা এগিয়ে চলেছি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইডিআরএ চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন। কোম্পনির ভাইস চেয়ারম্যান এ টি এম এনায়েত উল্লাহ, ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলীল, আইডিআরএ’র পরিচালক মো. শাহ আলম, কোম্পানির নিরপেক্ষ পরিচালক কাজী মো. মোরতুজা আলী ও গোলাম নবী এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন।
ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণার ক্ষেত্র জোরদার করার জন্য একাডেমিক প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেকে যে পেশায় প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, আমরা সেই পেশারই গর্বিত কর্ণধার। বঙ্গবন্ধু এই পেশায় নিয়োজিত ছিলেন বিধায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন জাতীয় বীমা দিবস।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আজ বেঁচে থাকলে বীমা খাতে প্রধানমন্ত্রীর এই অসামান্য অবদানের জন্য নিশ্চয়ই গর্ববোধ করতেন। আমরা জেনিথ পরিবার তাই জাতির পিতা এবং তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি জানাই বিশেষ কৃতজ্ঞতা। আজকে এই সম্মেলনে দাঁড়িয়ে জাতির পিতার এই পেশাকে সর্বোচ্চ সম্মানজনক পেশার মর্যাদায় নিয়ে যেতে আমরা সকলের সহযোগীতা প্রত্যাশা করি।
একটি অফিস এবং গুটি কয়েক কর্মকর্তা নিয়ে ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করে জেনিথ ইসলামী লাইফ। আজ তার কলেবর ও পরিসর অনেক বিস্তৃত। দেশব্যাপী ৪১টি অফিস এবং ৩ হাজারের অধিক কর্মকর্তা নিয়ে জেনিথ ইসলামী লাইফ তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমাদের প্রত্যেক বিভাগে রয়েছে দক্ষ, সৎ ও যোগ্য কর্মী বাহিনী। ইতোমধ্যে আমাদের একক গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজারের অধিক। গ্রুপবীমা গ্রাহক সংখ্যা ৭৬ এবং বেনিফিসিয়ারী প্রায় ১৬ হাজার, তাছাড়া হসপিটাল নেটওয়ার্ক ১০০টি ছাড়িয়ে গেছে।
চেয়ারম্যান ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, নবায়ন প্রিমিয়াম হলো কোম্পানির প্রাণ। তাই বিগত বছরে বিক্রিত পলিসিসমূহের শতভাগ নবায়ন প্রিমিয়াম অর্জনের লক্ষ্যে আজ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানোর জন্য আমি উন্নয়ন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। নবায়ন প্রিমিয়ামের পাশাপাশি নতুন পলিসি বিক্রয়ের মাধ্যমে প্রত্যেক উন্নয়ন কর্মকর্তার বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ করার আহবান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, উন্নয়ন কর্মকর্তা এবং গ্রাহক স্বার্থে প্রধান কার্যালয়ে আমরা কল সেন্টার স্থাপন করাসহ ওয়ান স্টপ সার্ভিস নিশ্চিত করেছি। চলমান করোনা ভাইরাসের মধ্যেও মনোবল ঠিক রেখে স্ব-স্ব কাজে আত্মনিয়োগ করলে আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। আর জেনিথ ইসলামী লাইফ পরিবারের সেটাই হোক প্রত্যাশা।