তাফহিমুল ইসলাম: রাত পোহালেই জাতীয় বীমা দিবস। “বীমা সুরক্ষিত থাকলে, এগিয়ে যাব সবাই মিলে” এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে পালিত হবে এবের বীমা দিবস। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে ২০২০ সাল থেকে সারাদেশে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। এই বছরেও তার ব্যতিক্রম নয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে বর্ণিল সাজে সেজেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষসহ সরকারি-বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলো।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজন করা হয়েছে দিবসটির মূল অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন।
এতে সভাপতিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অতিথিবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখবেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন ও বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন।
১৯৬০ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেন। দিনটিকে স্মরণে রাখতে ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। ২০২০ সাল থেকে সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে জাতীয় বীমা দিবস। সে অনুযায়ী আগামীকাল দিবসটি বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হবে।
সরেজমিন বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণিল সাজে সেজেছে বীমা কোম্পানিগুলো। রাজধানীসহ সারাদেশে সরকারি বেসরকারি লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর ভবন ও কার্যালয়ে জ্বল জ্বল করছে বিভিন্ন রঙের বাতি। সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে বিভিন রঙের ব্যানার-ফেস্টুন আর ইলেক্ট্রিক লাইটিং বোর্ড। যেন উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছে বীমা প্রতিষ্ঠানগুলো।
এছাড়াও দেশব্যাপী জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন এবং বীমা প্রতিষ্ঠান ও বীমা জরীপকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের উদ্যোগে জাতীয় বীমা দিবস উদযাপনের জন্য আলোচনা সভা, ৫০ জনের উপস্থিতিতে স্থির র্যালিসহ নানান ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
কোডিড-১৯ মহামারিকে বিবেচনায় রেখে ঢাকার মধ্যে ২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় সজ্জিত ট্রাকের মাধ্যমে প্রচার ও প্রচারণা করা হবে। জেলা-উপজেলার শহরগুলোতে বীমা বিষয়ক পোস্টার, জাতীয় বীমা দিবসের থিম সং বাজানো হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালের ১ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেন। সে সময় তার মাসিক মূল বেতন ছিল ১৪ শ’ টাকা। এর সঙ্গে ২৫০ টাকা ভাতা ও ২৫০ টাকা বিনোদন ভাতা পেতেন। অর্থাৎ মোট ১৯ শ’ টাকা পেতেন।
১৯৫২ সালে পাকিস্তানের করাচিতে প্রতিষ্ঠিত আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ঢাকায় শাখা স্থাপন করে ১৯৫৯ সালের অক্টোবরে। তৎকালীন জিন্নাহ এভিনিউয়ে ছিল এ শাখা অফিস। এরপর চট্টগ্রামের অন্দরকিল্লায় কোম্পানিটির আরেকটি শাখা কার্যালয় স্থাপন করা হয়।