বন্যাদুর্গতদের সহায়তা দিতে বীমা কোম্পানিগুলোর প্রতি বিআইএ’র আহবান

আবদুর রহমান আবির: নগদ সহায়তা দিয়ে দ্রুত বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে দেশের লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছে বীমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ) । ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র সাথে আলাপকালে সংগঠনটির ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল) এ আহবান জানান।

বীমা কোম্পানিগুলোকে আজ রোববার (১৯ জুন) এ সংক্রান্ত চিঠি দেয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছেন বিআইএ’র ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট।  

পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলা সিলেট ও সুনামগঞ্জে। মানবেতর জীবনযাপন করছেন এসব অঞ্চলের পানিবন্দি মানুষ। তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে খাদ্য ও নিরাপদ পানির। এমন পরিস্থিতিতে দেশের বীমা খাতের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে তার সাথে যোগাযোগ করেন ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র এই প্রতিবেদক।

পাভেল বলেন, বিগত বছরেও বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের বীমা খাত। সক্ষমতা অনুযায়ী সব কোম্পানির কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সহায়তা দেয়া হয়েছে। তবে ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করাটা সময়সাপেক্ষ। তাই তাৎক্ষণিক প্রয়োজনের কথা বিবেচনায় নিয়ে এবার বীমা কোম্পানিগুলোর নিজস্ব উদ্যোগে এই সহায়তা দেয়ার আহবান জানানো হচ্ছে।

তিনি  আরো বলেন, গেলো দু’দিনে দেশের বন্যা পরিস্থিতি বেশি অবনতি হয়েছে। কিন্তু সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় এসময় কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ পায়নি বিআইএ। তবে বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। বন্যার্তদের দ্রুত সহায়তা দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে আজই আমরা বীমা কোম্পানিগুলোর কাছে চিঠি পাঠানোর চেষ্টা করবো।

বিআইএ’র ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, বন্যা দুর্গত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বীমা গ্রাহকদের খোঁজ নিয়ে দ্রুত বীমা দাবি পরিশোধের ব্যবস্থা নিতে বলা হবে। একইসঙ্গে বন্যার্ত মানুষদের জন্য খাদ্য, নিরাপদ পানি ও চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়ার আহবান জানানো হবে। এ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের প্রিমিয়াম জমা দেয়ার জন্য সময় বাড়ানোর বিষয়েও উদ্যোগ নেয়া হবে।

এদিকে বিআইএ’র উদ্যোগের বিষয়ে মুখ্য নির্বাহীদের সাথে আলাপকালে ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’কে তারা জানান, বিআইএ’র পক্ষ থেকে বীমা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে তাদের সক্ষমতা অনুসারে অর্থ সংগ্রহ করে বন্যাদুর্গতদের সহায়তা দিলে সেটা বেশি ফলপ্রসু হবে। এতে অর্থের পরিমাণ যেমন বেশি হবে, তেমনি ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা পাওয়ার পরিমাণও বাড়বে বলেই তাদের প্রত্যাশা।