সরকারী বাজেটে বীমা খাতের জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবি বিআইএ'র

নিজস্ব প্রতিবেদক: উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংকাস্যুরেন্স, কৃষি বীমা, শিল্প বীমা ও স্বাস্থ্য বীমা প্রসারের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা সহ সরকারী বাজেটে বীমা খাতের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ)’র প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল)।

সোমবার (১৮ জুলাই) আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এবং জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন ইউএনডিপির আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও এ ‘কান্ট্রি ডায়াগনস্টিক অন ইনক্লুসিভ ইন্স্যুরেন্স এন্ড রিস্ক ফিন্যান্স ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় বিআইএ’র প্রতিনিধি হিসেবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী ও ইউএনডিপি উপ-আবাসিক প্রতিনিধি মিজ ভ্যান গুয়েন।

কর্মশালায় লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বিভিন্ন দূতাবাস ও বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল) বলেন, জনসংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে ৮ম বৃহত্তম দেশ। যার বতর্মান জনসংখ্যা ১৬.১৪ কোটি। দেশে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটলে ব্যাপক জনগোষ্ঠী মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক কালে সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলের বন্যায় প্রায় ৭২ লক্ষ মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এ সকল মানুষ বীমার আওতায় থাকলে দেশ ও জনগণ উপকৃত হত। বাংলাদেশে কর্মরত মানুষের মধ্যে ৪০.৩৮ শতাংশ সেবা খাতে, ৩৮.৩০ শতাংশ কৃষি খাতে এবং ২১.৩২ শতাংশ মানুষ শিল্প খাতে কাজ করছে। এ সকল মানুষের সক্ষমতা অনুযায়ী নতুন বীমা পণ্য উদ্ভাবন ও বিপণন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত অধিকাংশ জনগণকে বীমার আওতায় আনার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন, ইউএনডিপি এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মেলিত প্রচেষ্টার বিশেষ প্রয়োজন।

বাংলাদেশে বীমা শিল্পকে প্রসারের জন্য আরও গবেষণা ও স্টাডি করার জন্য তিনি ইউএনডিপিকে অনুরোধ করেন এবং কর্মশালা আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।