বীমা কোম্পানিগুলোকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের পৃথক হিসাব খোলার নির্দেশ আইডিআরএ'র
তাফহিমুল ইসলাম সুজন: প্রভিডেন্ট ফান্ড একটি দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয় প্রকল্প, সাধারণত কোনও ব্যক্তি চাকরি করার সময়ে মাসিক বেতনের একটি অংশ এই সঞ্চয় প্রকল্পে দেন। কর্মজীবনে মানুষ যত টাকা সঞ্চয় করেন তার একটি বড় অংশ এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন নামক একটি প্রশাসক সংস্থার অধীনে চলা এই প্রকল্পে জমা হয়।
দেশে ব্যবসা করা বীমা কোম্পানিগুলো স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য গঠিত প্রভিডেন্ট ফান্ডের জমাকৃত অর্থ কোম্পানির হিসাবের সাথে একীভূত করে জমা রাখছে। অনেক ক্ষেত্রে বীমা কোম্পানিগুলো প্রভিডেন্ট ফান্ডের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে না। এতে করে সুষ্ঠু আর্থিক ব্যবস্থাপনার অভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ অপব্যবহার হচ্ছে।
অপব্যবহার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং ন্যায্য পাওনা হতে বঞ্চিত হওয়া রুখতে ২ অক্টোবর ২০২২ তারিখে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যার মোহাম্মদ জয়নুল বারীর স্বাক্ষরিত একটি সার্কুলার জারি করেছে বীমা খাতের এই নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। যার সার্কুরার নং-জিএডি ১০/২০২২।
সার্কুলারে বলা হয়, বীমা কোম্পানিতে স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য গঠিত প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ বীমা কোম্পানির তহবিল হতে পৃথক করে স্বতন্ত্র ব্যাংক হিসাবে সংরক্ষণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
প্রভিডেন্ট ফান্ড পরিচালনার জন্য গঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ বিনিয়োগ ও তহবিলে অংশগ্রহনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি পরিশোধ ব্যতীত অন্য কোন কাজে প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ ব্যবহার করা যাবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েক জন বীমা কোম্পানির কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তারা জনান, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত আসলে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। প্রভিডেন্ট ফান্ডের আলাদা হিসাব না থাকায় অনেক কর্মকর্তা অবসরের সময় কোন সুবিধা পেতেন না। এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন থেকে এই সুবিধা পাবে সকলে।