বিজয় দিবস উদযাপনে নানান আয়োজন বীমা খাতে

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ আয়োজন করা হয়েছে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। আলোকসজ্জাসহ এরইমধ্যে ব্যানার-ফেস্টুনে সাজানো হয়েছে দেশের লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর অফিস।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতেই রঙ-বেরঙের আলোকচ্ছটায় ঝলমলিয়ে উঠেছে অনেক বীমা কোম্পানির অফিস ভবন। লাল আর সবুজ বর্ণের আলোকসজ্জা যেন এক উজ্জ্বল পতাকায় রূপ নিয়েছে। আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে এসব আয়োজন।

দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। সেই থেকে প্রতি বছর বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতি স্মরণ করে মহান বিজয় দিবস। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে পালিত হয় দিবসটি। ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনে দিনটিকে বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় এবং সরকারিভাবে এ দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বীমা খাতে এই আয়োজন। তবে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ’র একটি সূত্র বলছে, সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে এবার কোম্পানিগুলোকে আলোকসজ্জার কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। এমনকি প্রতি বছরের ন্যায় অন্যান্য কর্মসূচি আয়োজনের মৌখিক নির্দেশনা ছাড়া লিখিত কোন নির্দেশনাও দেয়া হয়নি বীমা কোম্পানিগুলোকে।

মহান বিজয় দিবস উদযাপনের বিষয়ে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস এম নুরুজ্জামান বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ব্যয় সংকোচন নীতি ঘোষণা করায় এ বছর বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ব্যাপক আয়োজনের বড় উদ্যোগ নেই বীমা খাতে। তবে প্রতি বছরের ন্যায় অন্যান্য সকল কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে প্রায় সব কোম্পানিতে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের বীমা খাতে ৮১টি কোম্পানি ব্যবসা পরিচালনা করছে। এর মধ্যে লাইফ বীমা কোম্পানির সংখ্যা ৩৫টি এবং নন-লাইফ কোম্পানির সংখ্যা ৪৬টি। লাইফ ও নন-লাইফ খাতে একটি করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীনসহ লাইফ বীমা খাতে একটি বিদেশি কোম্পানির শাখা এবং একটি দেশি-বিদেশি যৌথ উদ্যোগের কোম্পানি রয়েছে।