বঙ্গবন্ধুর বীমা খাতে যোগদান বীমা পরিবারের জন্য গৌরবের: আইডিআরএ চেয়ারম্যান
নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধুর বীমা খাতে যোগদান বীমা পরিবারের জন্য গর্বের ও গৌরবের বলে মন্তব্য করেছেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) চেয়াম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী। জাতীয় বীমা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীনতার প্রস্তুতিতে বঙ্গবন্ধু বীমা কোম্পানিতে কাজ করেছেন এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটাকে আমরা আমাদের অনুপ্রেরণার উৎসহ হিসেবে ব্যবহার করতে চাই। আর সেটার জন্যই বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে এই জাতীয় বীমা দিবসের আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আইডিআরএ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মইনুল ইসলাম, সদস্য (আইন) মো. দলিল উদ্দিন, সদস্য (লাইফ) কামরুল হাসান ও সদস্য (নন-লাইফ) মো. নজরুল ইসলাম সহ বিআইএফ’র প্রেসিডেন্ট বি এম ইউসুফ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, গত দু’বছর করোনা মহামারীর কারণে সীমিত পর্যায়ে এই বীমা দিবস উদযাপন করা হয়েছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছেন। তবে এ বছর জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে স্ব-শরীরে উপস্থিত থাকার সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
‘আমার জীবন আমার সম্পদ, বীমা করলে থাকবে নিরাপদ’ এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে এ বছর ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় বীমা দিবস উদযাপন করা হবে বলে জানান আইডিআরএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।
সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এ বছর জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে কোন ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে না। বীমা দাবি পরিশোধের ভিত্তিতে লাইফ বীমা খাতের দু’টি এবং নন-লাইফ বীমা খাতের দু’টি কোম্পানিকে পুরস্কার দেয়া হবে।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, বীমা খাতে অনেক সমস্যার মধ্যেও প্রতি বছরই আমাদের প্রিমিয়াম আয়ের হার বাড়ছে। বীমা দাবি পরিশোধের সংখ্যাও বাড়ছে। আমাদের লাইফ ফান্ড বাড়ছে। কোম্পানিগুলোর সম্পদও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু দেশের সার্বিক অর্থনীতির তুলনায় আমরা যেহেতু পিছিয়ে আছি, সেক্ষেত্রে আমাদের আরো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বীমা বিষয়ে মানুষের সচেতনতার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা মানুষের সামনে বীমা খাতের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে পারিনি। বীমা দাবিও সঠিকভাবে পরিশোধ করতে পারিনি। তাই বীমা নিয়ে মানুষের মাঝে অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
বীমার বিকল্প খোঁজার প্রবণতা আছে উল্লেখ করে উল্লেখ করে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা বীমা পরিকল্প তৈরি করতে পারিনি। আমাদের বীমা শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল কম। এজেন্টরা কোড অব কন্ডাক্ট জানে না।