প্রতিষ্ঠার দেড় বছরে ৮ কোটি টাকার লাইফ ফান্ড গড়েছে এনআরবি ইসলামিক লাইফ
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতিষ্ঠার দেড় বছরে ৮ কোটি টাকার বেশি লাইফ ফান্ড গড়ে তুলেছে দেশের বেসরকারি খাতে সর্বশেষ লাইসেন্স পাওয়া এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। কোম্পানিটি ২০২১ সালের ৬ মে বীমা ব্যবসার অনুমোদন পায়।
২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপনী হিসাব অনুসারে, কোম্পানিটির মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ ৪৩৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম ২৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং গ্রুপ বীমার প্রিমিয়াম ১২ লাখ টাকা।
এর আগে ২০২১ সালে ব্যবসা শুরুর প্রথম ৭ মাসে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মোট প্রিমিয়াম সংগ্রহ ছিল ৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
গেলো বছর কোম্পানিটির দ্বিতীয় বর্ষ নবায়ন প্রিমিয়াম এসেছে ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। যা আগের বছর ২০২১ সালে সংগৃহীত প্রথম বর্ষ প্রিমিয়ামের ৫১ শতাংশ।
২০২২ সালে এনআরবি ইসলামিক লাইফ ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করেছে ২০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা; যা মোট প্রিমিয়ামের ৬৮.৬৭ শতাংশ।
এর মধ্যে কমিশন ব্যয় ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা, প্রশাসনিক ও অন্যান্য ব্যয় ১০ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং উন্নয়ন কর্মকর্তাদের ব্যয় ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
গেলো বছর কোম্পানিটির ব্যয়ের অনুমোদন ছিল ২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৪৯ লাখ টাকা বা ২.৪৫ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যয় করেছে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এনআরবি ইসলামিক লাইফে ১৯টি বীমা দাবি উত্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি মৃত্যুদাবি। সবগুলো বীমা দাবি যথাসময়ে পরিশোধ করেছে কোম্পানিটি।
বর্তমানে বীমা কোম্পানিটির মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি খাতে বিনিয়োগ ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও অন্যান্য খাতে ১৬ কোটি টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ১৮ কোটি টাকা।
সারাদেশে এনআরবি ইসলামিক লাইফের ৫০টি ব্রাঞ্চ ও সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। কোম্পানিটিতে এজেন্ট রয়েছে ৩ হাজার ৫২২ জন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ১৩০ জন।
প্রথমবারের মতো ইউরোপসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বীমা ব্যবসা করার অনুমোদন পেয়েছে এনআরবি ইসলামিক লাইফ। এই অনুমোদনের ফলে প্রবাসী বাংলাদেশীরা এনআরবি ইসলামিক লাইফের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি প্রিমিয়ামের টাকা পাঠাতে পারবে।
এর মাধ্যমে প্রবাসীদের আর্থিক নিরাপত্তা ও সঞ্চয় বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের রেমিটেন্স আয় বাড়বে বলে মনে করছে বীমা কোম্পানিটি।
এনআরবি ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান জি এম কিবরিয়া বলেন, ব্যবসা শুরু বছরে সাধারণত ব্যবস্থাপনা ব্যয় একটু বেশি হয়, আমাদের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তবে এরইমধ্যে আমরা আমাদের ব্যবস্থাপনা ব্যয় সীমার নীচে নামিয়ে এনেছি।
জি এম কিবরিয়া বলেন, বীমা দাবি পরিশোধের ক্ষেত্রে আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সব কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে গ্রাহকের দাবি উত্থাপনে দেরি হওয়ায় কয়েকটি বীমা দাবি পরিশোধে আমাদের সর্বোচ্চ ৭ দিন সময় লেগেছে।
তিনি আরো বলেন, যেসব কারণে দেশের বীমা খাতে অনাস্থা তৈরি হয়েছে আমরা সেসব বিষয়ে শুরু থেকেই খুব সচেতন ছিলাম। আমাদের চেষ্টা অনেকটাই সফল। তবে গেলো বছরের আমরা যা করতে পারিনি, আশা করছি এ বছরে তা করতে সক্ষম হবো।