গৌরবময় পথচলার ৩৯ বছরে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: দেশের শীর্ষস্থানীয় লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ৩৯ বছরে পদার্পণ করেছে। ২৩ এপ্রিল কোম্পানিটি গৌরবময় পথচলার ৩৮ বছর পেরিয়ে আরেকটি নতুন বছরে পদার্পন করে। সম্পূর্ণ নতুন ভাবনায় ও প্রতিকূল পরিবেশে ১৯৮৫ সালের ২৩ এপ্রিল দেশের প্রথম বেসরকারি লাইফ বীমা কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিল ন্যাশনাল লাইফ। এই সুদীর্ঘ পথ চলায় ন্যাশনাল লাইফকে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করতে হয়েছে। নানা চড়াই-উতরাই পার করে কোম্পানিটি বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ কোম্পানি হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।

সর্বোত্তম গ্রাহক সেবা, দ্রুত বীমা দাবি পরিশোধ ও শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ফলে ন্যাশনাল লাইফ বর্তমানে একটি পরিপূর্ণ ও প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিতে পরিণত। সর্বোচ্চ বীমা দাবি পরিশোধে বিশেষ অবদানের জন্য কোম্পানিটি জাতীয় সম্মাননা লাভ করে। গত ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোম্পানির চেয়ারম্যান আলহাজ মোরশেদ আলম এমপির হাতে উক্ত সম্মাননা ও সনদপত্র তুলে দেন। বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এফবিসিসিআই বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডসহ দেশী-বিদেশী অসংখ্য অ্যাওয়ার্ড লাভ করে ন্যাশনাল লাইফ।

ন্যাশনাল লাইফ এ পর্যন্ত প্রায় ৬১ লাখ লোককে বীমার আওতায় নিয়ে এসেছে এবং প্রায় ২৮ লাখ গ্রাহককে তাদের বীমার টাকা সর্বোচ্চ বোনাসসহ যথাসময়ে পরিশোধ করেছে। পরিশোধিত বীমা দাবির পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। কোম্পানিটি শুধু ২০২২ সালে বীমা দাবি বাবদ ১০৫১ কোটি টাকা পরিশোধ করে। সময়মতো বীমা দাবি পরিশোধ করায় জনগণের কাছে আস্থা বৃদ্ধি পায় ন্যাশনাল লাইফের, ফলে ২০২২ সালে প্রিমিয়াম আয় করে ১৬১০ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড ৪৮৪৭ কোটি টাকা, স্থায়ী সম্পদ ৫৭২৩ কোটি টাকা এবং বিনিয়োগ প্রায় ৫০৩৬ কোটি টাকা। কোম্পানির বর্তমান বেতন ভিত্তিক কর্মকর্তা কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার এবং কমিশন ভিত্তিক প্রায় ৭০ হাজার।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দের মধ্যে ৩৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতে পেরে কোম্পানির সবস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী বাড়তি আনন্দ উপভোগ করে এবং এ জন্য মহান আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া জ্ঞাপন করে। প্রতিষ্ঠা দিবস কোম্পানির চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম এমপি ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাজিম উদ্দিন বীমা গ্রাহকসহ দেশবাসীর প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।