স্মার্ট বীমার মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি হ্রাস করতে পারলে সরকার ও জনগণ উপকৃত হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্মার্ট বীমার মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষতি হ্রাস করতে পারলে সরকার ও জনগণ উপকৃত হবে। এ জন্য সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ)'র ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ( পাভেল)।
শনিবার (২৪ জুন) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে হোটেল রেডিসনে "প্রাইভেট সেক্টরস পার্টিসিপেশন ইন ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট: টুওয়ার্ডস স্মার্ট বাংলাদেশ" শীর্ষক একটি ন্যাশনাল সিম্পোজিয়ামে প্যানেল আলোচকের বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এছাড়াও গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিআই এর প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন। সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার সামির সাত্তার।
নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল ) বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়, যা দেশের জিডিপির প্রায় ১.২ শতাংশের সমান। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, ভূমিকম্প, ভূমিধস ইত্যাদি দুর্যোগের ক্ষতি হ্রাসকল্পে বীমা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
এ বিষয়ে বীমা খাতের প্রতিনিধিসহ আইডিআরএ, অর্থমন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন নাসির উদ্দিন আহমেদ।
তিনি আরো বলেন, ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে শুধু অগ্নি বীমা বাধ্যতামূলক। তবে দুর্যোগ ঝুঁকিপুর্ণ জেলাসমূহে ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় বীমা গ্রহণে বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত। স্মার্ট প্রযুক্তি ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমেও দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের সহজেই জীবন বীমা ও স্বাস্থ্য বীমার আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব।
নেপালের সকল ইন্সুরেন্স পলিসির সঙ্গে ভূমিকম্প ঝুঁকি গ্রহণ বাধ্যতামূলক উল্লেখ করে নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকি আশঙ্কা বিদ্যমান। তাই ভূমিকম্প পরবর্তী ক্ষতি কিভাবে মোকাবেলা করা যেতে পারে, সে বিষয়েও এখনই পদক্ষেপ নেয়া উচিত। কারণ সাম্প্রতিককালে তুরস্কের ভূমিকম্পে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে ও ১৫ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে।