জহির উদ্দিনকে নিয়ে আইডিআরএ’র নির্দেশনা বেআইনি
নিজস্ব প্রতিবেদক: জহির উদ্দিনের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী পদে দায়িত্ব পালন বেআইনি সংক্রান্ত আইডিআরএ’র নির্দেশনাটিকে একতরফা, তথ্যভিত্তিক নয় এবং অন্যের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে পক্ষাশ্রিত, অন্যায়, বেআইনি ও রাগ-অনুরাগের বহিঃপ্রকাশ এবং অসত্য বলে দাবি করেছেন প্রগ্রেসিভ লাইফের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা আহমেদ।
গত ২৫ জুন ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’তে ‘ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী পদে জহির উদ্দিনের দায়িত্ব পালন বেআইনি’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে এ দাবি করেন গোলাম মোস্তফা আহমেদ। গত ২৬ জুন (সোমবার) রাত ৯.২১টায় নিজের ই-মেইল থেকে তিনি এই প্রতিবাদলিপি পাঠান। ৩ পৃষ্ঠার এই প্রতিবাদলিপির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২০ পৃষ্ঠার নথিও পাঠিয়েছেন তিনি।
প্রতিবাদলিপিতে গোলাম মোস্তফা আহমেদ দাবি করেন, প্রকাশিত সংবাদটি তথ্য বহুল নয় এবং অনেকটা ভুল তথ্যে ভরপুর। আবার সংবাদটি ‘কর্তৃপক্ষের ভুল তথ্যে’ প্রকাশ করা হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
প্রতিবাদলিপিতে তিনি দাবি করেছেন, জহির উদ্দিন একজন নির্ভিক, উচ্চ শিক্ষিত, সৎ সাহসী ও মেধাবী নির্বাহী এবং ইন্স্যুরেন্স সেক্টরের অভিজ্ঞ ও দক্ষ নির্বাহী। এতে আরো উল্লেখ করেন, তিনি ও তার পরিচালনা পর্ষদ মনে করেন কর্তৃপক্ষ জহির উদ্দিনের প্রতি অন্যায় করছেন।
গোলাম মোস্তফা আহমেদ প্রতিবাদলিপিতে ‘প্রকৃত সত্য ঘটনা’ শিরোনামে তার বক্তব্য তুলে ধরে তা হুবহু প্রকাশের দাবি জানান। ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র পাঠকদের জন্য প্রতিবাদলিপিটি বানান সংশোধন করে হুবহু প্রকাশ করা হলো।
“মাননীয় পরিচালনা পর্ষদ সর্বসম্মতিক্রমে জনাব মোঃ জহির উদ্দিনকে সর্বশেষ উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি প্রদান করে (কপি সংযুক্ত)। উহার অব্যবহিত পূর্বে তিনি এসইভিপি [সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট]। পদ মর্যাদায় কোম্পানী সচিব হেড অব এইচ.আর, লিগ্যাল এবং উন্নয়ন প্রশাসন বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন। উপযুক্ত পদসমূহ পরিচালনা পর্ষদ সর্বসম্মতিক্রমে প্রদান করে। কোম্পানী সচিব আইনের বিধান মতে একটি সংবিধিবদ্ধ পদ, ইহা কোন পদবী নহে। পদবী পূর্বে উল্লিখিত হয়েছে। সম্মানিত কর্তৃপক্ষের স্মারক নং ৫৩.০৩.০০০০.০৫২.১১.০০৭.২২.৪৪ তারিখ: ২৮ জুলাই, ২০২২ এর বিপরীতে কোম্পানী পত্র সূত্র নং-এইচও/এইচ.আর-০০০৫৩০/২০২২ তারিখঃ ০৮/০৮/২০২২ইং এর মর্মমতে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ জহির উদ্দিন কোম্পানীর দ্বিতীয় ব্যক্তি এবং অব্যবহিত নিম্ন পদধারী হিসাবে প্রেরণ করে, যা আইডিআরএ নথিভূক্ত করে (সংযুক্ত) এবং গৃহীত হয়।
অতঃপর কোম্পানী হতে অপসারিত লুটেরা চক্র বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে গত ১৮/০৬/২০১৩ইং তারিখে স্মারক নং ৫৩.০৩.0000.0৬৯.৬৩.০২২.১৯.১৪ এর মাধ্যমে এইচ.আর, লিগ্যাল ও উন্নয়ন প্রশাসন এর দায়িত্ব পালন নিয়ম বহির্ভূত উল্লেখ করে কর্তৃপক্ষ হতে অব্যাহতি দেয়ার যে পত্রটি আনয়ন করে উহা আইন ও নিয়ম বিরুদ্ধ। কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে অভিভাবকসুলভ আচরণ করছে না, ব্যক্তি বিশেষকে টার্গেট করে রাগ-অনুরাগে এমন অন্যায় নিপীড়নমূলক আচরণ করছেন, যা বীমা সেক্টরের অভিভাবক প্রতিষ্ঠানের নিকট কোম্পানী বা বীমা শিল্প আশা করে না।
অথচ গত ১০/০৫/২০২৩ইং তারিখে এইচ.আর ১৮/০৬/২০২৩ইং তারিখে ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হওয়ায় লিগ্যাল ও উন্নয়ন প্রশাসন বিভাগ হতে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি দেন কিন্তু আইডিআরএ এ সম্পর্কিত স্মারকটি অনুচিত প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে ১৯/০৬/২০২৩ইং প্রদান করে, যা কাংখিত ছিল না। এ বিষয়ে মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় ২০ জুন, ২০২৩ইং তারিখে এবং কোম্পানীর প্রচলিত প্রশাসনিক কার্যক্ষেত্রে উল্লিখিত এবং আইডিআরএ এর সার্কুলার নং-এ-০৬/২০২১ এর মর্মমতে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার অব্যবহিত (প্রমানক সংযুক্ত) নিম্ন পদধারী জনাব মোঃ জহির উদ্দিন কোম্পানীর সংঘবিধির ১২৬ বিধিমতে আমার নির্দেশে রেজুলেশন বাই সার্কুলেশন দ্বারা সম্মানিত পরিচালনা পর্ষদের মাননীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ই-মেইলে প্রদত্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসাবে (৫-৩) দায়িত্ব প্রদানের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয় (কপি সংযুক্ত)।
উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানী সচিব জনাব মোঃ জহির উদ্দিন অসংখ্যবার পেশাগত হয়রানি, সম্মানহানী, পেশাগত ক্ষতি ও শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন হতে রক্ষার আকুল আবেদন জানিয়ে কর্তৃপক্ষের মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয়কে তিনটি আবেদন করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই। তাই তিনি অদৃশ্য কারণে ভুক্তভোগী ও জুলুমের শিকার। গত ১৯/০৬/২০১৩ইং তারিখে মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনরূপ তদন্ত না করে অজ্ঞাত কারণে এরূপ পত্র দিয়েছেন, যা আইনের দৃষ্টিতে অচল ও তথ্য ঘটনার প্রেক্ষিতে খুবই মন্দ ।
এতে কর্তৃপক্ষের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে বাধ্য, যা ওয়েবসাইটে কোম্পানী সচিব উল্লেখ আছে এমন হাস্যকর তথ্য দিয়ে বে-আইনী বলা হচ্ছে। কোম্পানী সচিব আইনের বিধান মতে সংবিধিবদ্ধ পদ, তবে তিনি একই সাথে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বটে। কোম্পানীর Organogram মতে দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তি।
যেহেতু, পরিচালনা পর্ষদের সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে জনাব জহির উদ্দিন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হয়েছেন, যেহেতু সর্বসম্মতভাবে মাননীয় পর্ষদের সিদ্ধান্ত আসেনি, যেহেতু, তিনি উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানী সচিব, সেহেতু, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনে বিব্রত হয়ে অনিবার্য কারণবশত: ২৫/০৬/২০২৩ইং সকল ১০:০০ ঘটিকায় মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার (ভারপ্রাপ্ত) পদ হতে ২৬ জুন, ২০২৩ ইং অপরাহ্ন হতে পদত্যাগ করে উহা কোম্পানীর চেয়ারম্যান বরাবর প্রেরণ করেন, যা এখনও পর্ষদ কর্তৃক গৃহীত হয়নি এবং উক্ত সংবাদ Listing Company হিসাবে অর্থাৎ উক্ত ঘটনা Material Fact হওয়ায় কর্তৃপক্ষসহ মাননীয় চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ সকল রেগুলেটরিতে প্রেরণ করা হয় (কপি সংযুক্ত)।
কর্তৃপক্ষ পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ করতে বললেও জনাব শাহজাহান আজাদীর নামে একটি আইন বহির্ভূত ও পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত ব্যতিরেকে সার্কুলার জারী করে তাকে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসাবে কথিত দায়িত্ব প্রদান করার কথা বলা হয়েছে, যা আইন সিদ্ধ নহে।
এখানে উল্লেখ্য যে, জনাব আজাদী বর্তমান কর্মস্থল চট্টগ্রাম। সে মাঠ কর্মকর্তা। মাঠ কর্মকর্তার জন্য অত্র কোম্পানীতে কোন Organogram নেই। তবে কর্তৃপক্ষের ডিএডি সার্কুলার ০৯/২০২১ বাস্তবায়নের কাজ প্রক্রিয়াধীন। আশা করি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অনুধাবন করবেন এবং পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত ব্যতিরেকে যে সার্কুলার জারী করে জনাব আজাদীকে কথিত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে, যা বে-আইনী কার্যকলাপ ও অপরাধ।
আপনি সত্য ঘটনা প্রকাশে অবিচল এবং একজন সাংবাদিকতা বিভাগ হতে সর্বোচ্চ ডিগ্রীধারী। প্রকাশিত প্রতিবেদনে লিখা হয়েছে জনাব শাহজাহান আজাদীকে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন, উহা কি আইন সম্মত? পরিচালনা পর্ষদ বিদ্যমান আছে, চেয়ারম্যান আছে। তাহলে এটি কি বীমা সেক্টরের অভিভাবক হিসাবে আইডিআরএ অনুসন্ধান বা তদন্ত না করে এবং তাদের চাহিদা মতে প্রেরিত কোম্পানীর অব্যবহিত নিম্নপদে পদধারীকে, তা যাচাই না করে পত্র প্রদান, আইনের প্রতি কর্তৃপক্ষ শ্রদ্ধাশীল নয় এবং একপেশে আচরণ করছেন মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে, যা বীমা শিল্পের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে না। আইডিআরএ জনগণের প্রতিষ্ঠান, বীমা পেশাজীবী ও বীমা কর্মকর্তা কর্মচারীদের অভিভাবক ও শেষ আশ্রয় ও ভরসার স্থল। কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি বা প্রতিষ্ঠান নহে এবং কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নহে।
আপনি প্রতিবেদনের এক জায়গায় লিখেছেন নানান অভিযোগের প্রেক্ষিতে, গত ১৮ জুন জহির উদ্দিনকে কোম্পানী সচিব ব্যতিত প্রগ্রেসিভ লাইফের অন্য সকল পদ হতে অব্যাহতির নির্দেশ দিয়েছে আইডিআরএ। আপনার বিবেচনার জন্য পত্রটির (আলোকলিপি সংযুক্ত)। এটি মনগড়া এবং বানোয়াট। প্রগ্রেসিভ লাইফের ঘটনা নিয়ে গত ২০/০৬/২০২৩ ইং পল্টন থানার সাধারন ডাইরী নং-১৩২ - রুজু করা হয়েছে (সংযুক্ত), যা তদন্তাধীন।
মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কোন পদ নহে, অতিরিক্ত দায়িত্ব মাত্র। মাননীয় পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব দিয়েছেন, জনাব জহির সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় বিব্রত হয়ে পদত্যাগ করছেন।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে পদত্যাগ পত্র প্রেরণ করা হয়েছে ২৫/০৬/২০২৩ইং ১:১৫ মিনিটে ই-মেইলে এবং হার্ড কপি একই সময়ে জমা দেয়া হয়েছে (কপি সংযুক্ত)। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ইহা আমলে গ্রহণ না করে একই তারিখে ২:৩০ মিনিটে ই-মেইলে আলোচ্য পত্রটি পাঠায়, যা ষড়যন্ত্র ও হয়রানিমূলক। কর্তৃপক্ষিয় প্রতিষ্ঠান বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের এরূপ অসত্য এবং ওয়েবসাইট দেখে সিদ্ধান্ত ও পত্র প্রদান নিশ্চয় অনুসন্ধান বা তদন্ত বলা যায় না বরং ব্যক্তি কেন্দ্রিক সিদ্ধান্ত হিসাবে বলা যায়, যা বে-আইনী (প্রমানক সংযুক্ত)।
জনপ্রিয় ও জননন্দিত Insurance News bd হতে একজন সম্মানিত সাংবাদিক জনাব জহিরকে ফোন করেছিলেন, তখন জনাব জহির ভার্চুয়ালী উন্নয়ন সভায় বক্তব্যরত। তাই সম্মানিত সাংবাদিক বন্ধু তাকে ১ ঘন্টা পরে ফোন করবেন বলেছিলেন, কিন্তু করেননি।
তাছাড়া জনাব জহির একজন ব্যক্তিমাত্র। কোন পাবলিক লিঃ কোম্পানী ব্যক্তি বিশেষের কথায় চলে না এবং ব্যক্তি বিশেষের মতামতের কোন মূল্য নেই । এখানে কর্তৃপক্ষ আছে, বিজ্ঞ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন আছে, ষ্টক এক্সচেঞ্জ আছে, আরো রেগুলেটরি আছে। তাছাড়া, আইন, বিধি এবং পরিচালনা পর্ষদ দ্বারা প্রগ্রেসিভ লাইফের কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। জনাব জহিরের দখলে প্রগ্রেসিভ একথা সত্য নহে। জনাব জহির একজন নির্ভিক, উচ্চ শিক্ষিত, সৎ সাহসী ও মেধাবী নির্বাহী এবং ইন্স্যুরেন্স সেক্টরের অভিজ্ঞ ও দক্ষ নির্বাহী। সে কোম্পানীর স্বার্থে আইন, বিধি ও পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত পরিপালনের মাধ্যমে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করায় তার প্রতি অন্যায়ভাবে মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে। কাজ না করলে এরূপ অপবাদ আসত না।
কেউ পর্ষদ সিদ্ধান্ত ও আইন অমান্য করলে আইন ও বিধি মতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মূলত সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের ভুল তথ্যে এবং কর্তৃপক্ষ জনাব মোঃ জহির উদ্দিনের প্রতি অন্যায় করছেন মর্মে আমি ও আমার পরিচালনা পর্ষদের নিকট প্রতীয়মান হয়েছে। সাক্ষী মিথ্যা বললেও পারিপার্শ্বিক অবস্থা মিথ্যা বলে না। কর্তৃপক্ষের পত্রগুলো তার জলন্ত উদাহরণ। উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির উদ্দিন আইন ও কর্তৃপক্ষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, নিরীহ নাগরিক। মিথ্যা অপবাদ, পেশাগত ক্ষতি সুনামহানী এবং শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনে ভুক্তভোগী।
তাই প্রকৃত সংবাদ পরিবেশন করে আপনার মূল্যবান পাঠককে প্রকৃত ঘটনা জানাতে আপনার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি এবং প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রতিবাদটি হুবহু ছাপানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। এতে কোম্পানী এবং বীমা জীবীরা ও বীমা শিল্প আপনার নিকট কৃতজ্ঞ থাকবে।”
প্রতিবেদকের বক্তব্য:
‘ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী পদে জহির উদ্দিনের দায়িত্ব পালন বেআইনি’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র চিঠি থেকে প্রাপ্ত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবাদলিপিতে দাবি করা হয়েছে, “প্রকাশিত প্রতিবেদনে লিখা হয়েছে জনাব শাহজাহান আজাদীকে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন, উহা কি আইন সম্মত?”
গোলাম মোস্তফা আহমেদের এই দাবির কোন সত্যতা নেই। কারণ, প্রতিবেদনে শাহজাহান আজাদীকে ‘ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা’র দায়িত্ব প্রদানের কথা লেখা হয়েছে। তাকে ‘মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা’ হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কথা প্রতিবেদনের কোথাও বলা হয়নি। এছাড়া শাজাহান আজাদীকে ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী নিয়োগ পত্রের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এ নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বৈধ না অবৈধ সে বিষয়ে সংবাদটিতে কোন মন্তব্য করা হয়নি।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, “প্রতিবেদনের এক জায়গায় লিখেছেন নানান অভিযোগের প্রেক্ষিতে, গত ১৮ জুন জহির উদ্দিনকে কোম্পানী সচিব ব্যতিত প্রগ্রেসিভ লাইফের অন্য সকল পদ হতে অব্যাহতির নির্দেশ দিয়েছে আইডিআরএ।”
প্রতিবেদনটিতে উল্লেখিত এই বক্তব্য ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র নয়। এটি প্রগ্রেসিভ লাইফের সাবেক চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক বজলুর রশিদের বক্তব্য।
সর্বোপরি সংবাদটিকে ‘তথ্যবহুল নহে এবং অনেকটা ভুল তথ্যে ভরপুর’ আখ্যা দিয়ে গোলাম মোস্তফা আহমেদ যে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রতিবেদনটিতে আমাদের নিজস্ব কোন বক্তব্য নেই। প্রগ্রেসিভ লাইফের বিভিন্ন নথি ও কর্তৃপক্ষের চিঠিতে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই সংবাদটি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকল নথিপত্র ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র কাছে সংরক্ষিত আছে।