বীমা শিল্পকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়ার দাবি বিআইএফ প্রেসিডেন্টের
নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমা শিল্পকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম (বিআইএফ)’র প্রেসিডেন্ট ও পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম ইউসুফ আলী। তিনি বলেন, বীমা অফিসে বসেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ৬ দফা লিখেছিলেন এবং তার পরই দেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই আমি মনে করি এই বীমা শিল্পকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া উচিত।
তিনি আরো বলেন, অনেকেই স্বাধীনতা পুরস্কার পায়; একটি গান লিখেই স্বাধীনতা পুরস্কার পায়; একটি কবিতা লিখেই পায়। তাহলে যেই খাতে বঙ্গবন্ধু কাজ করলেন, যেই খাতে গার্মেন্টসের পরে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান সেই খাতকে কেন একটি জাতীয় পুরস্কার দেয়া হবে না। তিনি এ বিষয়ে আইডিআরএ চেয়ারম্যান ও বিআইএ’র প্রেসিডেন্টকে উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) প্রটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বি এম ইউসুফ আলী। পূর্বাচল ক্লাবে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।
বি এম ইউসুফ আলী বলেন, জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছেন- বঙ্গবন্ধু বীমা পেশায় কাজ করেছেন। তার বীমা কোম্পানি আলফা ইন্স্যুরেন্সে বসেই তিনি স্বাধীনতার জন্য ৬ দফা প্রণয়ন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই ৬ দফা টাইপ মেশিনে টাইপ করেছিলেন তার পিএস হানিফ। সুতরাং আমরা বীমা পেশাজীবীরা খুবই ভাগ্যবান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিআইএফ’র ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ও জেনিথ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী এস এম নুরুজ্জামান বলেন, আমরা জানতে পারলাম প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের রিটেইল ইন্স্যুরেন্সের গ্রাহক প্রায় ৩০ হাজার আর করপোরেট গ্রাহক প্রায় ১০ লাখ। এক্ষেত্রে রিটেইল ব্যবসাকে যদি আরেকটু বাড়ানো যায় তাহলে আমি মনে করি প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
তিনি আরো বলেন, আমার জানামতে প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ গ্রুপ ব্যবসায় গুরুত্ব দিচ্ছে। এ কারণে আগামীতে মেটলাইফের পরে যে কোম্পানিটি গ্রুপ ব্যবসায় শীর্ষে যাবে তার নাম হবে প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ এবং এটি হবে কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী ডা. কিশোর বিশ্বাসের নেতৃত্বে।
এস এম নুরুজ্জামান বলেন, আমরা এক সময় বুঝতাম যে একক জীবন বীমার ওপরই একটি লাইফ বীমা কোম্পানি দাঁড় করানো যায়; কিন্তু গ্রুপ বীমা দিয়েও যে একটি কোম্পানি ভালো ও শীর্ষ পর্যায়ে যেতে পারে সেটা আমাদের দেখিয়েছে প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ। এ জন্য আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে এবং জেনিথ ইসলামী লাইফের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও প্রোটেক্টিটভ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. কিশোর বিশ্বাস বলেন, চতুর্থ প্রজন্মের যেকোন কোম্পানির চেয়ে আমরা ভালো অবস্থানে রয়েছি। আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইর্ষণীয় অবস্থানে চলে আসবে। এরইমধ্যে আমরা আইপিও আবেদনের খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।
তিনি বলেন, কোম্পানির বিনিয়োগ রিটার্নের হার বাজারের সুদের তুলনায় সব সময় ভালো অবস্থানে ছিল। ২০২২ সালে কোম্পানির লাইফ ফান্ডের তুলনায় দায়ের পরিমাণ কম ছিল। ২০১৪ সাল থেকে কোম্পানিটি মৃত্যুদাবি পরিশোধ শুরু করে।প্রথম দিকে আমাদের মৃত্যুদাবি পরিশোধের হার ছিল শতভাগ। পরবর্তীতে বছরগুলোতেও এই শতভাগের কাছাকাছিই ছিল।
ডা. কিশোর বিশ্বাস আরো বলেন, কোভিডের শেষ ২০২২ সালেও মৃত্যুদাবি পরিশোধের হার ছিল ৯৪.৫৩ শতাংশ। এর মধ্যে গ্রুপ বীমা দাবি পরিশোধের হার সব সমই শতভাগ। সর্বনিম্ন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা বীমা দাবি পরিশোধ করেছি। বর্তমানে কোম্পানির একক বীমা গ্রাহক সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি এবং ক্ষুদ্রবীমা হচ্ছে ১০ লাখের কাছাকাছি। কোম্পানির পলিসি তামাদি রোধ করার জন্য আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি।