সোনালী লাইফের নতুন চেয়ারম্যান কাজী মনিরুজ্জামান
নিজস্ব প্রতিবেদক: সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির নিরপেক্ষ পরিচালক কাজী মনিরুজ্জামান। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত বীমা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের জরুরি বৈঠকে তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হয়।
কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সোনালী লাইফের বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস পদত্যাগ করেন। সেই প্রেক্ষিতে বোর্ড সভার সিদ্ধান্তে কোম্পানির নিরপেক্ষ পরিচালক কাজী মনিরুজ্জামানকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়।
কাজী মনিরুজ্জামান ম্যাক্স সোয়েটার্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং রুপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পরিচালক। এ ছাড়াও তিনি বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে রয়েছেন বলে তথ্য দেয়া হয়েছে সোনালী লাইফের ওয়েবসাইটে।
এর আগে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নিরীক্ষক নিয়োগ দেয় আইডিআরএ। অডিট ফার্ম হুদাভাসী চৌধুরী এন্ড কোং-কে এই নিরীক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়।
কোনো রকমের বিনিয়োগ ছাড়াই চেয়ারম্যান হওয়া, পরিবারের সদস্যদের পরিচালক বানানো এবং ফ্লোর ক্রয়ের অনুমোদনের আগেই কোম্পানির তহবিল থেকে অর্থ নেয়াসহ বীমা কোম্পানিটির ১৭টি বিষয়ে তদন্ত পরিচালনা করে ৩০ দিনের মধ্যে কার্যক্রম সম্পন্নের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য কার্যপরিধির মধ্যে রয়েছে- ২০১৮ সালে পরিচালকদের শেয়ার ক্রয়ের অর্থ পরিশোধের তথ্য যাচাই; এফডিআর এর বিপরীতে নেয়া ঋণের হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন; কোম্পানির বোর্ডে পারিবারিক কর্তৃত্ব বজায় রাখতে পরিবারের সর্বাধিক সদস্যকে পরিচালক রাখার অভিযোগ যাচাই করা;
কোম্পানির হিসাব থেকে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঋণের কিস্তি পরিশোধ; আইডিআরএ’র অনুমোদন ছাড়াই কোম্পানির নামে চেয়ারম্যানের মালিকানাধীন ভবন ক্রয়ে ৩৫০ কোটি টাকার সমঝোতা চুক্তি এবং এফডিআর এর বিপরীতে ঋণ নিয়ে মূল্য পরিশোধ ও সুদ প্রদানের বিষয় পরীক্ষা করা;
চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের সদস্য পরিচালকদের অতিরিক্ত লভ্যাংশ গ্রহণ এবং চেয়ারম্যানের বিদেশে চিকিৎসার যাবতীয় খরচ, নিজের ও পরিবারের সদস্যদের ভ্রমণ ও শপিং খরচ, বিদেশে পড়ালেখার খরচ অবৈধভাবে কোম্পানির তহবিল হতে নির্বাহের বিষয় যাচাই করা:
ব্যক্তিগত ঋণ সমন্বয় ও আইপিও খরচের নামে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ, পরিচালক না হয়েও বোর্ড সভায় অংশগ্রহণ ও সম্মানী-বোনাসসহ বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ এবং ব্যাংক হিসাবের সিগনেটরী থাকা; ব্যক্তিগত অফিসের ভাড়া ও সকল ইউটিলিটি বিল কোম্পানি হতে পরিশোধের বিষয় ইত্যাদি যাচাই করা।