প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন চিন্তায় বঞ্চিত হয়নি বীমা খাত: শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেছেন¸ প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন চিন্তায় বঞ্চিত হয়নি বীমা খাত। এ খাতের উন্নয়নে আইনি কাঠামো তৈরি এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ভিত রচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করে বীমা শিল্পের উন্নয়নে ইন্স্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট শীর্ষ প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। যার বাস্তবায়ন শেষ পর্যায়ে।

তিনি আরো বলেন, বীমা খাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক একচ্যুয়ারি সৃষ্টিতে বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ব্যাংকাস্যুরেন্সের প্রবর্তন করেছেন। মানুষের আস্থা বৃদ্ধিতে বীমা দাবির দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সুনিপুন হাতের ছোঁয়া আর অপত্য স্নেহে দ্রুত গড়ে উঠবে কাংখিত বীমা খাত।

শুক্রবার (১ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ৫ম জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন।

শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি নিজেকে বীমা পরিবারের একজন গর্বিত সদস্য মনে করেন। এই মেলবন্ধন সূচিত হয় ১৯৬০ সালের এই দিনে। জাতির পিতার আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদানের মধ্য দিয়ে। এই বন্ধন সমৃদ্ধ করেছে স্বাধীনতার ইতিহাসকে। জাতির পিতা বাঙালীর ঐতিহাসিক মুক্তির সনদ ৬ দফা রচনা করেছিলেন এখানে বসেই ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করে ইতিহাসের অংশ হিসেবে গৌরাবান্বিত করেছেন বীমা খাতকে। লাল সবুজের আবহমান বাংলাকে বিশ্বমানচিত্রে শুধু ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্রমুক্ত করাই নয়, বরং তার দৃষ্টি আরো দিগন্ত বিস্তারিত। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ, সমৃদ্ধির পথে; নেতৃত্বে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।